ডেটলাইন ১২ মার্চ-ঢাকা প্রায় বিচ্ছিন্ন

আগামীকাল ১২ মার্চ বিএনপির ঢাকা চলো কর্মসূচি সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন সংকটের খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে সড়কপথে দূরপাল্লার বাসের টিকিট মিলছে না। রাস্তায় স্বাভাবিকের চেয়ে বাস কম। ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখার খবর রয়েছে। কয়েকটি রুটে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে পুলিশ দূরপাল্লার বাস রিকুইজিশন করেছে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে ঢাকার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার আলামত পাওয়া যাচ্ছে।
এ কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রী দুর্ভোগের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা অগ্রিম টাকা দিয়ে বাস ভাড়া করলেও পরিবহন মালিকরা শেষ মুহূর্তে এসে গাড়ি দিতে পারবেন না বলে জানাচ্ছেন এবং টাকা ফেরত দিচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের চাপের কারণে পরিবহন মালিকরা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিংবা রাস্তা থেকে বাস তুলে নিয়েছেন।
প্রশাসনের চাপের কারণে পরিবহন মালিকরা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁরা বলছেন, বিএনপির কর্মসূচির দিন রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর ও হয়রানি হতে পারে বলে তাঁরা রবি ও সোমবার দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখছেন।
হাইওয়ে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হুমায়ুন কবির বার্তা সংস্থা বিডিনিউজকে বলেছেন, প্রশাসনের কোনো অলিখিত নির্দেশনা বা নিষেধাজ্ঞার কথা তাঁর জানা নেই।
এদিকে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। বিএনপি অভিযোগ করেছে, ঢাকায় মহাসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য সারা দেশে দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি ও হয়রানি করছে পুলিশ। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, যাদের ধরা হচ্ছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে নতুবা তারা সন্দেহভাজন। এটা নিয়মিত অভিযানেরই অংশ।
দূরপাল্লার বাস চলবে না : রবি ও সোমবার বিভিন্ন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রাখার ব্যাপারে পরিবহন মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, সিলেট থেকে ঢাকাগামী বাস না চালানোর ব্যাপারে পরিবহন মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার রাতে আমাদের রাজশাহী অফিস জানিয়েছে, গতকাল বিকেলে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপ ও বাস মালিক সমিতির এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার ভোর ৪টা থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ এই রুটে কোনো বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহন মালিকদের এই সংগঠন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনজুর রহমান পিটার গতকাল সন্ধ্যায় জানান, ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে সৃষ্ট সম্ভাব্য যেকোনো অপ্রীতিকর ও সহিংস ঘটনা ঘটলে পরিবহনের ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই তাঁরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
খুলনা অফিস জানায়, খুলনা থেকে ঢাকাগামী দূরপাল্লার সব পরিবহনের বাস চলাচল গতকাল শনিবার রাত থেকে বন্ধ হয়ে গেছে।
খুলনার ইগল, সোহাগ, হানিফ, গ্রিন লাইন, সৌদিয়া, এ কে পরিবহন, কমফোর্টসহ বিভিন্ন কাউন্টারে খোঁজ নিয়েও টিকিট পাওয়া যায়নি। কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা একটি পরিবহনের আবুল খায়ের ও নীহার কুমার বলেন, ঢাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা চলছে। এ দুটি পথে গাড়ি ভাঙচুর বা হামলার শিকার হতে পারে- এমন আশঙ্কায় মালিকরা গাড়ি চালাতে আগ্রহী নন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তাঁরা বলেন, এমন কোনো নির্দেশ তাঁরা পাননি। এটা মালিকদের সিদ্ধান্ত।
বরিশাল অফিস জানায়, শ্রমিক লীগ নিয়ন্ত্রিত জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের নির্দেশে বরিশাল থেকে ঢাকা রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন।
শ্রমিকরা জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহসভাপতি আইউব আলী মজুমদার প্রতিটি কাউন্টারে গিয়ে বাস চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। তবে এ ব্যাপারে শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহসভাপতি আইউব আলী মজুমদার কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
রংপুর অফিস জানায়, ঢাকা ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার মধ্যে চলাচলকারী দিবা ও নৈশ কোচগুলো শনিবার ঢাকা থেকে ছাড়ছে না। ফলে আজ রবিবার রংপুর অঞ্চল থেকে কোনো গাড়ি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে না। রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা জানান, চলো চলো ঢাকা কর্মসূচির কারণে বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর হতে পারে এমন আশঙ্কায় ঢাকায় যেসব কোচ ট্রিপ নিয়ে গেছে সেগুলো শনিবার আর রংপুর অঞ্চলে ফেরত আসবে না। সেগুলো ঢাকায় থাকবে। ফলে রবিবার রংপুর অঞ্চল থেকে ঢাকা রুটে কোনো গাড়ি চলাচল করবে না।
কুড়িগ্রাম জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বক্সি একই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করে গাড়ি বন্ধ থাকবে বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন।
সিলেট অফিস জানায়, ঢাকা রুটে অনেক পরিবহন সংস্থার গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। সিলেট থেকে ঢাকাগামী বিলাসবহুল গ্রিন লাইন পরিবহন আগামী দুই দিন বাস চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গ্রিন লাইন পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. বদিয়ার রহমান জানিয়েছেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁদের সার্ভিস বন্ধ থাকবে। সোহাগ পরিবহনের বিপণন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, এ বিষয়ে তাঁরা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তবে রবিবার দুপুরের বাসের টিকিট আপাতত বিক্রি করছেন না। হানিফ পরিবহন তাদের বাস চলাচল অব্যাহত থাকবে বলে জানালেও শ্যামলী পরিবহন এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সিলেট-৪ আসনের সাবেক সাংসদ দিলদার হোসেন সেলিম বলেন, অন্তত ৬৫টি গাড়িতে নেতা-কর্মীদের ঢাকা যাওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনের বাধার কারণে এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ছাড়া মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে খবর পাওয়া গেছে বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যাত্রীবাহী যান চলাচল কমে গেছে। লৌহজং প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর থেকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে যান চলাচল কমে গেছে। মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঢাকা-মানিকগঞ্জ-আরিচা রুটে যানবাহন চলাচল অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে।
লঞ্চ চলাচল বন্ধ : চাঁদপুরের সঙ্গে নদীপথে ঢাকার সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে আমাদের চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান। শুধু চাঁদপুরই নয়, দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে চাঁদপুর হয়ে ঢাকাগামী অন্য লঞ্চ-স্টিমারও বন্ধ রয়েছে। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসেনি স্টিমার পিএস মাহসুদ। ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী লঞ্চ মালিকদের একজন প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে জানান, 'ওপরের' নির্দেশে সকাল থেকে চাঁদপুর-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনি, রবি ও সোমবার লঞ্চ চলবে না। চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটের লঞ্চ টার্মিনাল প্রতিনিধি রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে প্রতিদিন ১২টি লঞ্চ চলাচল করে। কিন্তু ওপরের নির্দেশ থাকায় শনিবার সকাল থেকে চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জমুখী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বিআইডাব্লিউটিএর চাঁদপুর নদীবন্দরের পরিদর্শক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, টার্মিনালে লঞ্চ পৌঁছায়নি তাই ছাড়ার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। ওপরের নির্দেশে বন্ধ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ বিষয় কিছু বলতে পারব না।'
বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাগামী তিনটি লঞ্চ গতকাল শনিবার সাড়ে ৭টার মধ্যে বরিশাল ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে পুলিশ প্রশাসন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) সময়সূচি অনুযায়ী ওই লঞ্চগুলো রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বরিশাল নৌবন্দর ত্যাগ করার কথা। লঞ্চ কর্মচারীরা জানিয়েছেন, নৌ ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন তাঁদের সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে বরিশাল স্টেশন ত্যাগ করতে বলেছেন। এসআই মোশারফ হোসেন জানান, যাত্রী কম থাকায় তিনি লঞ্চগুলোকে দ্রুত ঢাকার উদ্দেশে রওনা হতে বলেছেন।
ফেরি বিকল : দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলাচলকারী আটটি রো রো (বড়) ফেরির মধ্যে তিনটিই বিকল হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। আমাদের গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি জানান, দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এ নৌপথে গতকাল থেকে ফেরি পারাপার মারাত্মকভাবে বিঘি্নত হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপির কর্মসূচিকে সামনে রেখে কৃত্রিম ফেরি সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক খন্দকার তানভীর হোসেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ফেরিগুলো অনেক দিনের পুরনো। এ কারণে সেগুলো প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ে। এখানে অন্য কোনো কারণ নেই।'
যাত্রী দুর্ভোগ : খুলনার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার ঘুরে সর্বশেষ এসেছিলেন ঈগল পরিবহনে। তিনি বলেন, 'ঢাকায় রবিবার বিকেলে অফিসের জরুরি বৈঠকে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নির্ধারিত ছিল। কিন্তু কোনোভাবেই টিকিট পাচ্ছি না। বুঝতে পারছি না কী করব।' শুধু মোস্তাফিজুরই নন, খুলনার বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টারে শত শত যাত্রী টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
সুনন্দা সরকার নামের এক স্কুলশিক্ষক ছুটিতে ঢাকা থেকে বরিশাল এসেছেন। বানারীপাড়ায় নিজের বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরবেন। শনিবারের ঢাকাগামী পিএস মাহমুদ স্টিমারের অগ্রিম টিকিটও নিয়েছিলেন। কিন্তু স্টিমারটি বিকল জানিয়ে যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। পরে এ শিক্ষিকা স্বরূপকাঠি-ঢাকা রুটের একটি বাসের টিকিট বুকিং দিয়েছিলেন। কিন্তু বাসটি বন্ধ রাখা হয়েছে। হানিফ পরিবহনের বাসটি শনিবার রাতে ছেড়ে যাওয়ার কথা বলে জানিয়েছেন তিনি। সুনন্দার মতো আরো অনেকে এমন দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ফেরি চলাচল বিঘি্নত হওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাটে কয়েকটি যাত্রীবাহী যানবাহন আটকা পড়ে। এতে সাধারণ বাসযাত্রী বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হন।
বিভিন্ন স্থানে ধরপাকড় : বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড়ের খবর পাওয়া গেছে। বিএনপি অভিযোগ করেছে, ঢাকায় তাদের কর্মসূচি সামনে রেখে সারা দেশে নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হয়েছে। আমাদের চট্টগ্রাম অফিস জানায়, গত শুক্রবার চট্টগ্রাম নগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে ২৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বেশির ভাগকেই সন্দেহভাজন হিসেবে (৫৪ ধারায়) গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সিলেটে বৃহস্পতি ও শুক্রবার ৮৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) এজাজ আহমদ বলেছেন, যাদের ধরা হচ্ছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। আবার অনেককে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরা হচ্ছে। এ মাসেই সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে নিরাপত্তার স্বার্থে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
রংপুরে দুজন এবং খুলনায় বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মানিকগঞ্জে ৩৪ জনসহ বিভিন্ন জেলায় ২৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.