দমন-পীড়নে জনদুর্ভোগ বাড়ে-১২ মার্চের মহাসমাবেশ
১২ মার্চের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত। তাঁরা বিরোধী দলের সমাবেশ করার অধিকার অস্বীকার করছেন না, নাশকতার নির্দিষ্ট অভিযোগ আনতেও অপারগ থাকছেন, বরং ১৪ মার্চে একই ধরনের পাল্টা মহাসমাবেশ ডেকেছেন।
সুতরাং, উভয় পক্ষের উচিত হবে, দুই মহাসমাবেশকে শান্তিপূর্ণ ও সফল কর্মসূচিতে রূপ দিতে সচেষ্ট হওয়া। এসব কর্মসূচি জনগণের জন্য আশু কোনো ফল দিতে পারে না। তাই দমন-পীড়ন চললে এবং সমাবেশ ঘিরে শান্তিভঙ্গ ঘটলে সাধারণ মানুষই ভীষণ রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চিকিৎসা ও জরুরি কাজে ঢাকায় আসা মানুষ হোটেলে আসন পাচ্ছেন না। এখন সড়ক যোগাযোগেও বিঘ্ন সৃষ্টি করা হচ্ছে।
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, কর্মসূচিতে বাধা দিলে তা হবে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। তাঁর এই উক্তি যদিও অনেকটাই অসার। কারণ, তাঁরা একটি সাংবিধানিক দল হয়েও সংসদের অধিবেশন অব্যাহতভাবে বয়কট করছেন। কিন্তু এতে তাঁরা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত দেখেন না। বাংলাদেশের রাজনীতির এ এক মস্ত পরিহাস! তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা মানে জনগণের ভোটের অধিকার সুরক্ষার নাম করেই তাঁরা ১২ মার্চের মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছেন। অথচ জনগণের ম্যান্ডেট তাঁরা খোঁড়া অজুহাতে কার্যত প্রত্যাখ্যান করে চলেন। কিন্তু এই যুক্তিতে ১২ মার্চের মহাসমাবেশ করা থেকে বিরোধী দলকে নিবৃত্ত থাকতে বলা গণতান্ত্রিক বলে গণ্য হওয়ার নয়।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে লোক ভাড়া করে ঢাকায় তথাকথিত জনসমুদ্র তৈরি করা খুব বিচিত্র নয়। সাম্প্রতিক ইতিহাসও সাক্ষ্য দিচ্ছে, বড় সমাবেশ ডেকে সরকারের পতন ঘটানো যায় না। ইদানীং অনেকে ধারণা করছেন, সরকারি মহলে হয়তো ‘আরব বসন্তের’ ভীতি থাকতে পারে। এর আগে ‘নাশকতা’ করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার একটা অপচেষ্টা বিএনপির একটি মহল করেছিল বলে গোয়েন্দা বিভাগ বিশ্বাস করে। কিন্তু সে কারণে ১২ মার্চের বা বিরোধীদলীয় কর্মসূচি প্রতিহত করা, গণগ্রেপ্তার—এসবে সরকারের অসহিষ্ণু ও অগণতান্ত্রিক মানসিকতাই ফুটে উঠছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১২ মার্চের মহাসমাবেশ নিষিদ্ধ করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে আইন প্রতিমন্ত্রী ঢাকায় তথাকথিত অচেনা মানুষ দেখলে ধরিয়ে দেওয়ার উসকানি দিয়েছেন। সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা কিংবা সুশাসন দিতে যথেষ্ট অসমর্থ হওয়ার কারণে সরকারের জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী। কিন্তু তাই বলে নিকট অতীতে দুঃশাসনের জন্য কঠোরভাবে সমালোচিত আমাদের প্রধান বিরোধী দলের প্রতি জনগণের মনোভাব এমনটা বদলে যায়নি যে তারা আদৌ কোনো বসন্তের সমীরণ ভোগ করতে পারে।
১২ কিংবা ১৪ মার্চের সমাবেশের প্রতি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা বা বিশ্বাসের তেমন কোনো জায়গা সত্যিই নেই। দুটি সমাবেশই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর জীবনে নানা মাত্রায় দুর্ভোগ বয়ে আনবে। গণতন্ত্রচর্চার নামে এই যে উপদ্রব চলছে, তা থেকে নিস্তার পেতে বড় দুই দলকেই নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে হবে। কর্মসূচি পালনে ছুটির দিন তারা বেছে নিতে পারে। জনগণের নাম ভাঙিয়ে রাজনীতির ময়দানে একটা যুদ্ধংদেহী অবস্থা বজায় রাখার অপসংস্কৃতি থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হবে।
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, কর্মসূচিতে বাধা দিলে তা হবে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। তাঁর এই উক্তি যদিও অনেকটাই অসার। কারণ, তাঁরা একটি সাংবিধানিক দল হয়েও সংসদের অধিবেশন অব্যাহতভাবে বয়কট করছেন। কিন্তু এতে তাঁরা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত দেখেন না। বাংলাদেশের রাজনীতির এ এক মস্ত পরিহাস! তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা মানে জনগণের ভোটের অধিকার সুরক্ষার নাম করেই তাঁরা ১২ মার্চের মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছেন। অথচ জনগণের ম্যান্ডেট তাঁরা খোঁড়া অজুহাতে কার্যত প্রত্যাখ্যান করে চলেন। কিন্তু এই যুক্তিতে ১২ মার্চের মহাসমাবেশ করা থেকে বিরোধী দলকে নিবৃত্ত থাকতে বলা গণতান্ত্রিক বলে গণ্য হওয়ার নয়।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে লোক ভাড়া করে ঢাকায় তথাকথিত জনসমুদ্র তৈরি করা খুব বিচিত্র নয়। সাম্প্রতিক ইতিহাসও সাক্ষ্য দিচ্ছে, বড় সমাবেশ ডেকে সরকারের পতন ঘটানো যায় না। ইদানীং অনেকে ধারণা করছেন, সরকারি মহলে হয়তো ‘আরব বসন্তের’ ভীতি থাকতে পারে। এর আগে ‘নাশকতা’ করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার একটা অপচেষ্টা বিএনপির একটি মহল করেছিল বলে গোয়েন্দা বিভাগ বিশ্বাস করে। কিন্তু সে কারণে ১২ মার্চের বা বিরোধীদলীয় কর্মসূচি প্রতিহত করা, গণগ্রেপ্তার—এসবে সরকারের অসহিষ্ণু ও অগণতান্ত্রিক মানসিকতাই ফুটে উঠছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ১২ মার্চের মহাসমাবেশ নিষিদ্ধ করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে আইন প্রতিমন্ত্রী ঢাকায় তথাকথিত অচেনা মানুষ দেখলে ধরিয়ে দেওয়ার উসকানি দিয়েছেন। সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা কিংবা সুশাসন দিতে যথেষ্ট অসমর্থ হওয়ার কারণে সরকারের জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী। কিন্তু তাই বলে নিকট অতীতে দুঃশাসনের জন্য কঠোরভাবে সমালোচিত আমাদের প্রধান বিরোধী দলের প্রতি জনগণের মনোভাব এমনটা বদলে যায়নি যে তারা আদৌ কোনো বসন্তের সমীরণ ভোগ করতে পারে।
১২ কিংবা ১৪ মার্চের সমাবেশের প্রতি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা বা বিশ্বাসের তেমন কোনো জায়গা সত্যিই নেই। দুটি সমাবেশই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর জীবনে নানা মাত্রায় দুর্ভোগ বয়ে আনবে। গণতন্ত্রচর্চার নামে এই যে উপদ্রব চলছে, তা থেকে নিস্তার পেতে বড় দুই দলকেই নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে হবে। কর্মসূচি পালনে ছুটির দিন তারা বেছে নিতে পারে। জনগণের নাম ভাঙিয়ে রাজনীতির ময়দানে একটা যুদ্ধংদেহী অবস্থা বজায় রাখার অপসংস্কৃতি থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হবে।
No comments