মৎস্য অধিদপ্তরের ব্যাখ্যা কী?-বিডি সি ফুডসের সনদ জালিয়াতি
সবজি ও টাইলস রপ্তানির আড়ালে ৭৫ কেজি হেরোইন পাচার করতে গিয়ে ২০০৬ সালে ধরা পড়েছিল বিডি ফুডস লিমিটেড নামের যে কোম্পানি, তারই অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিডি সি ফুডস এবার সনদ জাল করে ইউরোপে সামুদ্রিক মাছ রপ্তানি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে।
কিন্তু এই ধরা পড়ার ঘটনাটি যত বড় খবর, তার চেয়ে বড় খবর হচ্ছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মৎস্য অধিদপ্তর বিডি সি ফুডসের মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানির লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিল করে তাদের অনুরোধে আবার তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয় রোববারের প্রথম আলোর প্রথম পাতায়। সেই প্রতিবেদনে বিডি সি ফুডসের জালিয়াতির বিষয়টি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিস্তারিত তদন্তে প্রমাণিত হওয়া এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশসহ আরও কিছু তথ্য রয়েছে। এত কিছু সত্ত্বেও মৎস্য অধিদপ্তর কী যুক্তিতে বিডি সি ফুডসের লাইসেন্স সাময়িক বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছিল, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।
আসলে, মৎস্য অধিদপ্তরের এই আচরণের ব্যাখ্যা কী? মহাপরিচালক তাঁর দায়িত্ব এড়াতে পারেন কি? যদিও অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়, সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে অধিদপ্তরের দুজন কর্মকর্তাকে। সেই সঙ্গে বিডি সি ফুডসের লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিলের যে আদেশ মৎস্য অধিদপ্তর প্রত্যাহার করেছিল, সেটি বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বিডি সি ফুডসের মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানির লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিলই থাকছে।
ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে লক্ষ করা দরকার। বিডি সি ফুডস হচ্ছে বিডি ফুডস নামের কুখ্যাত এক প্রতিষ্ঠানের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। বিডি ফুডসের হেরোইন পাচার ধরা পড়ায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। বিডি সি ফুডস সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে ইউরোপে মৎস্য রপ্তানি করে একই রকমের অন্যায় করেছে। সনদ জালিয়াতির দায়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। শুধু লাইসেন্স বাতিল করাই যথেষ্ট নয়, এ ধরনের অপরাধের ফলে বহির্বিশ্বে জাতির ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বহির্বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও। তাই শুধু বিডি সি ফুডস নয়, এ ধরনের অনৈতিক তৎপরতার সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান জড়িত, তাদের সবার কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে আর কেউ এমন অনৈতিক পন্থা অবলম্বন না করে।
এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয় রোববারের প্রথম আলোর প্রথম পাতায়। সেই প্রতিবেদনে বিডি সি ফুডসের জালিয়াতির বিষয়টি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিস্তারিত তদন্তে প্রমাণিত হওয়া এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশসহ আরও কিছু তথ্য রয়েছে। এত কিছু সত্ত্বেও মৎস্য অধিদপ্তর কী যুক্তিতে বিডি সি ফুডসের লাইসেন্স সাময়িক বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছিল, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।
আসলে, মৎস্য অধিদপ্তরের এই আচরণের ব্যাখ্যা কী? মহাপরিচালক তাঁর দায়িত্ব এড়াতে পারেন কি? যদিও অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়, সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে অধিদপ্তরের দুজন কর্মকর্তাকে। সেই সঙ্গে বিডি সি ফুডসের লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিলের যে আদেশ মৎস্য অধিদপ্তর প্রত্যাহার করেছিল, সেটি বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বিডি সি ফুডসের মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানির লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিলই থাকছে।
ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে লক্ষ করা দরকার। বিডি সি ফুডস হচ্ছে বিডি ফুডস নামের কুখ্যাত এক প্রতিষ্ঠানের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। বিডি ফুডসের হেরোইন পাচার ধরা পড়ায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। বিডি সি ফুডস সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে ইউরোপে মৎস্য রপ্তানি করে একই রকমের অন্যায় করেছে। সনদ জালিয়াতির দায়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। শুধু লাইসেন্স বাতিল করাই যথেষ্ট নয়, এ ধরনের অপরাধের ফলে বহির্বিশ্বে জাতির ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বহির্বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও। তাই শুধু বিডি সি ফুডস নয়, এ ধরনের অনৈতিক তৎপরতার সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান জড়িত, তাদের সবার কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে আর কেউ এমন অনৈতিক পন্থা অবলম্বন না করে।
No comments