বাধা সত্ত্বেও বড় সমাবেশ করার প্রস্তুতি বিএনপির by তানভীর সোহেল
সরকার ঢাকার বাইরে থেকে লোক আসতে বাধা দেবে, এমনটা ধরে নিয়েই মহাসমাবেশ সফল করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। বাইরে থেকে লোক আসতে বাধা পাওয়ায় এখন ঢাকার ভেতর থেকে বেশি মানুষকে মহাসমাবেশে আনার চেষ্টা করছে দলটি।
গতকাল শনিবার দুপুরে বিএনপির মহানগর কার্যালয়ে চারদলীয় জোটের জরুরি সভা হয়। সভা শেষে বিএনপির ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক সাদেক হোসেন আলাপকালে বলেন, মহাসমাবেশ বানচাল করতে সরকার কল্পনাতীত বাধা দিচ্ছে। এতে সারা দেশ থেকে জনস্রোত ঢাকায় আসতে বাধা পাচ্ছে। তবে এর পরও মহাসমাবেশ হবে সর্বকালের সবচেয়ে বড়। বিএনপি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
বিএনপির নেতারা জানান, ঢাকা মহানগরের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা তো আসবেনই, এর বাইরে রাজধানীর বস্তিবাসী, রিকশাচালক, যানবাহনের কর্মী-শ্রমিক, ভাসমান মানুষও মহাসমাবেশে আসবে।
মহানগর বিএনপির এক নেতা প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, সারা দেশ থেকে ইতিমধ্যে কয়েক হাজার লোক ঢাকায় এসেছে। তারা আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে। ১ মার্চ থেকেই নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। সরকার বাধা দেবে এমনটা আঁচ করতে পেরে ৪ মার্চ থেকে ঢাকায় থাকতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। তা ছাড়া স্থানীয়ভাবে বাসভাড়া না পেয়ে টিকিট কেটে অসংখ্য নেতা-কর্মী আগেই ঢাকায় পৌঁছে গেছেন।
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার ৯০টি ওয়ার্ড থেকে মূল দল ও অঙ্গসংগঠনগুলোকে কমপক্ষে এক হাজার করে কর্মী মহাসমাবেশস্থলে হাজির করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকার বাইরে থেকে লোক আসতে বাধা পাওয়ায় এখন আরও বেশি লোক আনতে বলা হয়েছে।
বিএনপির মহানগর কমিটির দুজন যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, মহাসমাবেশে অন্তত পাঁচ লাখ লোক জড়ো করতে খালেদা জিয়ার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু ঢাকার বাইরে থেকে আশানুযায়ী লোক হবে না বলে মনে হচ্ছে। এ জন্য ঢাকার ভেতর থেকে বেশি লোক জড়ো করতে ওয়ার্ড ও থানার নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আনুষ্ঠানিক অনুমতি পায়নি বিএনপি: নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার আনুষ্ঠানিক অনুমতি গতকাল পর্যন্ত পায়নি বিএনপি। তা ছাড়া মাইক ব্যবহারের অনুমতিও পায়নি দলটি। গতকাল দলটির সাংসদেরা এ নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন।
কাল দুপুরে নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, মহাসমাবেশ করতে তাঁদের পদে পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সমাবেশ মঞ্চ করতেও দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ বলেছে, ১১ তারিখ মধ্যরাতের আগে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করা যাবে না।
বিএনপির আশঙ্কা: বিএনপি আশঙ্কা করছে, সরকার কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। তবে ১২ মার্চ নিষেধাজ্ঞা দিলে সমাবেশ এক দিন পিছিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে দলটির। আর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে হরতালের কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে।
বিএনপির নেতারা জানান, ঢাকা মহানগরের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা তো আসবেনই, এর বাইরে রাজধানীর বস্তিবাসী, রিকশাচালক, যানবাহনের কর্মী-শ্রমিক, ভাসমান মানুষও মহাসমাবেশে আসবে।
মহানগর বিএনপির এক নেতা প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, সারা দেশ থেকে ইতিমধ্যে কয়েক হাজার লোক ঢাকায় এসেছে। তারা আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে। ১ মার্চ থেকেই নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। সরকার বাধা দেবে এমনটা আঁচ করতে পেরে ৪ মার্চ থেকে ঢাকায় থাকতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। তা ছাড়া স্থানীয়ভাবে বাসভাড়া না পেয়ে টিকিট কেটে অসংখ্য নেতা-কর্মী আগেই ঢাকায় পৌঁছে গেছেন।
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার ৯০টি ওয়ার্ড থেকে মূল দল ও অঙ্গসংগঠনগুলোকে কমপক্ষে এক হাজার করে কর্মী মহাসমাবেশস্থলে হাজির করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকার বাইরে থেকে লোক আসতে বাধা পাওয়ায় এখন আরও বেশি লোক আনতে বলা হয়েছে।
বিএনপির মহানগর কমিটির দুজন যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, মহাসমাবেশে অন্তত পাঁচ লাখ লোক জড়ো করতে খালেদা জিয়ার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু ঢাকার বাইরে থেকে আশানুযায়ী লোক হবে না বলে মনে হচ্ছে। এ জন্য ঢাকার ভেতর থেকে বেশি লোক জড়ো করতে ওয়ার্ড ও থানার নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আনুষ্ঠানিক অনুমতি পায়নি বিএনপি: নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার আনুষ্ঠানিক অনুমতি গতকাল পর্যন্ত পায়নি বিএনপি। তা ছাড়া মাইক ব্যবহারের অনুমতিও পায়নি দলটি। গতকাল দলটির সাংসদেরা এ নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন।
কাল দুপুরে নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, মহাসমাবেশ করতে তাঁদের পদে পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সমাবেশ মঞ্চ করতেও দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ বলেছে, ১১ তারিখ মধ্যরাতের আগে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করা যাবে না।
বিএনপির আশঙ্কা: বিএনপি আশঙ্কা করছে, সরকার কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। তবে ১২ মার্চ নিষেধাজ্ঞা দিলে সমাবেশ এক দিন পিছিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে দলটির। আর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে হরতালের কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে।
No comments