বাপার সংবাদ সম্মেলনঃ বুড়িগঙ্গা বাঁচলে ঢাকাবাসী বাঁচবে
রাজধানী ঢাকার অতীত ইতিহাস বা বর্তমান অস্তিত্ব রক্ষা করতে এবং ঢাকাবাসীকে বাঁচাতে হলে বুড়িগঙ্গা নদীকে বাঁচানোর বিকল্প নেই। এখন সবচেয়ে জরুরি বুড়িগঙ্গা দূষণ ও অবৈধ দখল থেকে রক্ষা করা। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বুড়িগঙ্গা রিভারকিপার ‘বুড়িগঙ্গা মরাখাঁড়ি: দখল ও দূষণের এক ভয়ানক চিত্র!’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষায় প্রয়োজনে দুই পাড়ের মানুষকে সম্পৃক্ত করে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। তার পরও দূষণকারী ও দখলদারদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘আমরা বুড়িগঙ্গা নিয়ে যা বলি বা লিখি, বাস্তব অবস্থা তার চেয়ে আরও ভয়াবহ। মূল নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একদিকে প্রাকৃতিকভাবে বুড়িগঙ্গা শুকিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে সরকার, প্রশাসন এবং কিছু মানুষ নদীটিকে নষ্ট করে দিচ্ছে। দূষণে দূষণে এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে আজ বুড়িগঙ্গার পাড়ে ১০ মিনিটের বেশি সময় সুস্থভাবে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।’
সৈয়দ আবুল মকসুদ আরও বলেন, রাজধানী ঢাকা ও ঢাকাবাসীকে বাঁচানোর স্বার্থেই বুড়িগঙ্গা রক্ষা করা জরুরি। প্রয়োজনে উন্নয়নের অন্য খাতের অর্থ এনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বুড়িগঙ্গার জন্য খরচ করতে হবে।
নদী রক্ষায় বুড়িগঙ্গা রিভারকিপার ও লন্ডন ক্যানেল কিপারের প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লন্ডনের বিশিষ্ট শেফ টমি মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বুড়িগঙ্গা রিভারকিপারের প্রধান শরীফ জামিল। তিনি বলেন, একদিকে কামরাঙ্গীরচর, অন্যদিকে মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, আমলীগোলা ও লালবাগ রেখে বয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গার দ্বিতীয় শাখার আজ নাম হয়েছে ‘বুড়িগঙ্গা মরাখাঁড়ি’। এর জন্য প্রধানত দায়ী বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান।
সংবাদ সম্মেলনে সরু সেতু ভেঙে বড় সেতু নির্মাণ, সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বর্জ্য ফেলা বন্ধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু, নদীর সীমানা যথাযথভাবে চিহ্নিত করার দাবি জানানো হয়।
No comments