লোনা পানি ঢুকে ২০ হাজার হেক্টরে বোরো আবাদ বন্ধ
লোনা পানি ঢুকে পড়ায় ভোলার চার উপজেলার ২০ হাজার হেক্টর জমিতে এ মৌসুমে বোরো আবাদ হচ্ছে না। স্লুইসগেট ভেঙে যাওয়ায় এবং খাল ভরাট হওয়ায় খেতে লোনা পানি ঢুকছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়েক হাজার চাষি। চাষাবাদের পর লোনা পানি ঢুকে পড়ায় লালমোহন উপজেলার দুই ইউনিয়নে ৪৫০ হেক্টর জমির বোরো ধান নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানান, স্লুইসগেট সংস্কার, খাল খনন ও নলকূপ খনন করে মিঠা পানির ব্যবস্থা করতে পারলে ওই ২০ হাজার হেক্টরে বোরো আবাদ করা সম্ভব হতো।
লালমোহন উপজেলার দক্ষিণ পেয়ারীমোহন গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক জানান, গত দুই বছর আগেও লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে বোরো আবাদ হতো। তখন বেতুয়া খালের ফাতেমাবাদ এলাকার স্লুইসগেটটি ভালো ছিল। দুই বছর ধরে স্লুইসগেটটি ভাঙা থাকায় বেতুয়া খালে লোনা পানি ঢুকছে। শুধু বেতুয়ার খালই নয়, কামার, গাইট্টার ও বাত্তির খালের স্লুইসগেটসহ লালমোহন এবং চরফ্যাশনের সবগুলো ভাঙা সু্লইসগেট দিয়ে লোনা পানি ঢুকছে। তজুমদ্দিনেও একই অবস্থা।
কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আরও জানান, জরুরি ভিত্তিতে লালমোহনের তেগাছিয়া, চতলা, কুলচারা, মাস্টার, বৈরাগীর, সুকুচিয়ার, বুড়ির, হালট, হাসানিয়ার, জালছেড়ার, তিনগাজীর খাল খনন করতে হবে। খাল খনন হলে লালমোহনে দুই হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ বাড়বে।
তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোতোষ শিকদার জানান, উপজেলায় ২০০ কিলোমিটার খাল খনন করতে হবে। খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়নি।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিনয়কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, আসলামপুর, চর মাদ্রাজ, কুকরি-মুকরি ও ঢালচর ইউনিয়নে লোনা পানির কারণে বোরো আবাদ হচ্ছে না। কালাপানিয়া, মুখরবান্দা, তেলীখালী খাল খনন করা থাকলে পাঁচ হাজার হেক্টরে বোরো চাষ করা সম্ভব হতো।
মনপুরা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবার রহমান জানান, লোনা পানির কারণে মনপুরায় বোরো আবাদ হচ্ছে না।
লালমোহন উপজেলায় ধলীগৌরনগর ও লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে ৪৫০ হেক্টরে বোরো আবাদ হয়েছে। কিন্তু লোনা পানির কারণে কৃষকেরা বিপাকে আছেন। লালমোহন পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের বোরো কৃষক মোজাম্মেল হাওলাদার বলেন, ‘আমি রমাগঞ্জের কামারখাল এলাকায় ৩০ একর জমিতে সেচ দিচ্ছি। কিন্তু লোনা পানি হওয়ায় খেতের মাটি লাল হয়ে যাচ্ছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শান্তিরঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘আমরা গত জানুয়ারিতে স্লুইসগেটগুলো সংস্কার ও খাল খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) চিঠি লিখেছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
পাউবো-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউর রহমান বলেন, স্লুইসগেটগুলো সংস্কারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। খাল খননের তালিকাও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
লালমোহন উপজেলার দক্ষিণ পেয়ারীমোহন গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক জানান, গত দুই বছর আগেও লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে বোরো আবাদ হতো। তখন বেতুয়া খালের ফাতেমাবাদ এলাকার স্লুইসগেটটি ভালো ছিল। দুই বছর ধরে স্লুইসগেটটি ভাঙা থাকায় বেতুয়া খালে লোনা পানি ঢুকছে। শুধু বেতুয়ার খালই নয়, কামার, গাইট্টার ও বাত্তির খালের স্লুইসগেটসহ লালমোহন এবং চরফ্যাশনের সবগুলো ভাঙা সু্লইসগেট দিয়ে লোনা পানি ঢুকছে। তজুমদ্দিনেও একই অবস্থা।
কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আরও জানান, জরুরি ভিত্তিতে লালমোহনের তেগাছিয়া, চতলা, কুলচারা, মাস্টার, বৈরাগীর, সুকুচিয়ার, বুড়ির, হালট, হাসানিয়ার, জালছেড়ার, তিনগাজীর খাল খনন করতে হবে। খাল খনন হলে লালমোহনে দুই হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ বাড়বে।
তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোতোষ শিকদার জানান, উপজেলায় ২০০ কিলোমিটার খাল খনন করতে হবে। খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় এক হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়নি।
চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিনয়কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, আসলামপুর, চর মাদ্রাজ, কুকরি-মুকরি ও ঢালচর ইউনিয়নে লোনা পানির কারণে বোরো আবাদ হচ্ছে না। কালাপানিয়া, মুখরবান্দা, তেলীখালী খাল খনন করা থাকলে পাঁচ হাজার হেক্টরে বোরো চাষ করা সম্ভব হতো।
মনপুরা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবার রহমান জানান, লোনা পানির কারণে মনপুরায় বোরো আবাদ হচ্ছে না।
লালমোহন উপজেলায় ধলীগৌরনগর ও লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে ৪৫০ হেক্টরে বোরো আবাদ হয়েছে। কিন্তু লোনা পানির কারণে কৃষকেরা বিপাকে আছেন। লালমোহন পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের বোরো কৃষক মোজাম্মেল হাওলাদার বলেন, ‘আমি রমাগঞ্জের কামারখাল এলাকায় ৩০ একর জমিতে সেচ দিচ্ছি। কিন্তু লোনা পানি হওয়ায় খেতের মাটি লাল হয়ে যাচ্ছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শান্তিরঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘আমরা গত জানুয়ারিতে স্লুইসগেটগুলো সংস্কার ও খাল খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) চিঠি লিখেছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
পাউবো-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউর রহমান বলেন, স্লুইসগেটগুলো সংস্কারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। খাল খননের তালিকাও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
No comments