আবার সড়কে বড় দুই দলের মহাসমাবেশ
পল্টন ময়দানে অনুমতি না পেয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ১২ মার্চ নয়াপল্টনে সড়কের ওপর মহাসমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, তাঁরা পল্টন ময়দানের জন্যও আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সরকার অনুমোদন দেয়নি। অগত্যা নয়াপল্টনে করতে হচ্ছে। এ জন্য পুলিশ মৌখিক অনুমতিও দিয়েছে।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটও ১৪ মার্চ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে মহাসমাবেশ করবে বলে জানা গেছে।
প্রধান দুই জোটই ঘোষণা দিয়েছে, মহাসমাবেশে তারা কয়েক লাখ লোক ঢাকায় জড়ো করবে। এতে সমাবেশস্থলের আশপাশের সড়কগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে। আর সড়ক আটকে দুই প্রধান রাজনৈতিক জোটের কর্মসূচির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে।
অথচ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আইন অনুযায়ী, সড়কের ওপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। তাই সড়কের ওপর জনসভা বা সমাবেশ করার কোনো নিয়ম নেই।
জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে রাজধানীর সড়কের ওপর সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে। এখন সেই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই আবার সড়কের ওপর জনসভা-সমাবেশ করা হচ্ছে।
বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্যসচিব আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মহাসমাবেশ করার জন্য প্রথমে পল্টন ময়দান, এরপর মানিক মিয়া এভিনিউ ও নয়াপল্টনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু পল্টন ময়দান ও মানিক মিয়া এভিনিউয়ে তাঁদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। নয়াপল্টন ব্যবহারের জন্য অনুমতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে মহানগর পুলিশ কমিশনারের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপিকে মহাসমাবেশ করার মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দলটি কোন স্থানে সমাবেশ করবে, তা চিহ্নিত করার দায়িত্ব ডিএমপির নয়। স্থানের জন্য সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, ‘পল্টন ময়দান বা মুক্তাঙ্গন এখন আর বরাদ্দ দেওয়া হয় না। তাহলে সভা-সমাবেশ হবে কোথায়? নয়াপল্টনের মতো ব্যস্ত এলাকায় অনুমতি দেওয়ার চেয়ে তো মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুমতি দেওয়া ভালো। ওই এলাকা তুলনামূলক কম ব্যস্ত থাকে।’
প্রধান দুই দলের নেতারাই বলছেন, ঢাকায় সমাবেশ করার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ বা উন্মুক্ত স্থান না থাকায় দলগুলো বাধ্য হয়ে সড়কের ওপর কর্মসূচি পালন করছে। তাঁরা স্বীকার করেন, এ জন্য যে জনভোগান্তি হয়, তা তাঁদের অজানা নয়। ছোট কর্মসূচি হলে তাঁরা চেষ্টা করেন সড়কজুড়ে সমাবেশ না করতে। কিন্তু বড় কর্মসূচিতে তা সম্ভব হয় না।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, ১২ মার্চের মহাসমাবেশ নয়াপল্টন থেকে কাকরাইল মোড় হয়ে মালিবাগ এবং অন্যদিকে শাহবাগ হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে। তাই এসব সড়কেও মাইক ব্যবহারের কথা ভাবছে বিএনপি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, ১৪ মার্চ মহাসমাবেশে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাগম হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সড়কের ওপর বড় দলগুলোর জনসভা বা মহাসমাবেশ হলে ওই দিন রাজধানীতে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। ব্যস্ত প্রায় সব সড়কই বন্ধ রাখতে হয়।
প্রধান দুই জোটই ঘোষণা দিয়েছে, মহাসমাবেশে তারা কয়েক লাখ লোক ঢাকায় জড়ো করবে। এতে সমাবেশস্থলের আশপাশের সড়কগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে। আর সড়ক আটকে দুই প্রধান রাজনৈতিক জোটের কর্মসূচির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে।
অথচ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আইন অনুযায়ী, সড়কের ওপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। তাই সড়কের ওপর জনসভা বা সমাবেশ করার কোনো নিয়ম নেই।
জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে রাজধানীর সড়কের ওপর সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে। এখন সেই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই আবার সড়কের ওপর জনসভা-সমাবেশ করা হচ্ছে।
বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্যসচিব আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মহাসমাবেশ করার জন্য প্রথমে পল্টন ময়দান, এরপর মানিক মিয়া এভিনিউ ও নয়াপল্টনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু পল্টন ময়দান ও মানিক মিয়া এভিনিউয়ে তাঁদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। নয়াপল্টন ব্যবহারের জন্য অনুমতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে মহানগর পুলিশ কমিশনারের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপিকে মহাসমাবেশ করার মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দলটি কোন স্থানে সমাবেশ করবে, তা চিহ্নিত করার দায়িত্ব ডিএমপির নয়। স্থানের জন্য সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, ‘পল্টন ময়দান বা মুক্তাঙ্গন এখন আর বরাদ্দ দেওয়া হয় না। তাহলে সভা-সমাবেশ হবে কোথায়? নয়াপল্টনের মতো ব্যস্ত এলাকায় অনুমতি দেওয়ার চেয়ে তো মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুমতি দেওয়া ভালো। ওই এলাকা তুলনামূলক কম ব্যস্ত থাকে।’
প্রধান দুই দলের নেতারাই বলছেন, ঢাকায় সমাবেশ করার জন্য পর্যাপ্ত মাঠ বা উন্মুক্ত স্থান না থাকায় দলগুলো বাধ্য হয়ে সড়কের ওপর কর্মসূচি পালন করছে। তাঁরা স্বীকার করেন, এ জন্য যে জনভোগান্তি হয়, তা তাঁদের অজানা নয়। ছোট কর্মসূচি হলে তাঁরা চেষ্টা করেন সড়কজুড়ে সমাবেশ না করতে। কিন্তু বড় কর্মসূচিতে তা সম্ভব হয় না।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, ১২ মার্চের মহাসমাবেশ নয়াপল্টন থেকে কাকরাইল মোড় হয়ে মালিবাগ এবং অন্যদিকে শাহবাগ হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে। তাই এসব সড়কেও মাইক ব্যবহারের কথা ভাবছে বিএনপি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, ১৪ মার্চ মহাসমাবেশে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাগম হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সড়কের ওপর বড় দলগুলোর জনসভা বা মহাসমাবেশ হলে ওই দিন রাজধানীতে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। ব্যস্ত প্রায় সব সড়কই বন্ধ রাখতে হয়।
No comments