পথের বাধা সরাতে ব্যবস্থা নিন-ঈদে বাড়ি যাওয়া
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবে কীভাবে—এই দুশ্চিন্তা এখন বিপুলসংখ্যক রাজধানীবাসীর মনে। প্রতিবছরই ঈদ এলে বাড়ি যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু এবারের সমস্যা অত্যন্ত প্রকট। বলা যেতে পারে, এটা রীতিমতো এক সংকট, পরিবহন-সংকট।
রাস্তাঘাটের দুরবস্থার কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এরই মধ্যে চলে এল ঈদুল ফিতর। সড়কপথের চাপের খানিকটা লাঘব হয় ঈদ উপলক্ষে বিশেষ রেলগাড়ির ব্যবস্থা করে। কিন্তু রেলের অবস্থাও ভালো নয়। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক বলেছেন, রেলপথের ওপর যে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা রেলওয়ের নেই। দেশের মোট রেলস্টেশনের এক-তৃতীয়াংশই বন্ধ। কারণ এমন নয় যে মানুষ রেলগাড়িতে চড়তে চায় না, বরং উপচে পড়া ভিড় লেগে থাকে স্বাভাবিক সময়ই। উৎ সবের সময় এলে তো কথাই নেই। তাহলে কেন রেলওয়েকে এমন দুর্দশায় ফেলে রাখা হয়েছে?
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি ছিল, রেলওয়ের সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হবে। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি তাদের স্মরণে আছে কি? থাকলে, শাসনামলের আড়াই বছরে, ৮৪টি রেলস্টেশন বন্ধ হয়ে গেল কেন? দেশের মোট ৩২৯টি রেলস্টেশনের মধ্যে এখন ১২৫টি বন্ধ। আর এই ১২৫টির মধ্যে ৮৪টি বন্ধ হয়েছে এই সরকারের আমলে। তাহলে সরকার রেলের সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে, নাকি সংকোচন ঘটাচ্ছে? নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করছে, নাকি উল্টো কাজ করছে? রেলের মতো অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও সুবিধাজনক গণপরিবহন-ব্যবস্থার প্রতি এই বিমাতাসুলভ আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।
এ মুহূর্তে, জনপরিবহন-সংকটের প্রেক্ষাপটে, এই কথাগুলো আমরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি: রেলওয়ের দিকে নজর দিন; প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করুন; ইঞ্জিন ও কোচের ঘাটতি দূর করুন; বন্ধ স্টেশনগুলো চালু করুন। আমরা যতই সড়কব্যবস্থা সম্প্রসারণ করি না কেন, এমন জনবহুল দেশে জনপরিবহনের চাপ সামলানো শুধু সড়কপথে কখনোই সম্ভব হবে না। রেলের সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন ও সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে এই জনপরিবহন সমস্যার চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব। আর চুরি-দুর্নীতি রোধ করে দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই খাত সরকারের জন্য বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয়ের উৎ স হতে পারে।
ঈদের আগে-পরে মোট সাত দিনের জন্য রেলওয়ে সাতটি বিশেষ ট্রেন এবং ১৩৭টি বাড়তি বগি সংযোজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এখন প্রয়োজন নিশ্চিত করা, টিকিট কালোবাজারি যেন না হয়। সব পথে ট্রেনগুলো যেন নির্বিঘ্নে চলতে পারে, সেটাও নিশ্চিত করা দরকার। সড়ক ও নৌপথে বাস ও লঞ্চের টিকিট কেনাবেচায় কারসাজি-কালোবাজারি, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। মহাসড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা দরকার। মহাসড়কে যানজট পুরো পরিবহন-ব্যবস্থায় বিরাট বাধার কারণ হয়, ঘরমুখো মানুষ সীমাহীন ভোগান্তির মুখে পড়ে। এসব বিবেচনায় রেখে আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ঈদের ছুটিতে মানুষের বাড়ি যাওয়ার পথ সুগম করুন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি ছিল, রেলওয়ের সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হবে। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি তাদের স্মরণে আছে কি? থাকলে, শাসনামলের আড়াই বছরে, ৮৪টি রেলস্টেশন বন্ধ হয়ে গেল কেন? দেশের মোট ৩২৯টি রেলস্টেশনের মধ্যে এখন ১২৫টি বন্ধ। আর এই ১২৫টির মধ্যে ৮৪টি বন্ধ হয়েছে এই সরকারের আমলে। তাহলে সরকার রেলের সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে, নাকি সংকোচন ঘটাচ্ছে? নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করছে, নাকি উল্টো কাজ করছে? রেলের মতো অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও সুবিধাজনক গণপরিবহন-ব্যবস্থার প্রতি এই বিমাতাসুলভ আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।
এ মুহূর্তে, জনপরিবহন-সংকটের প্রেক্ষাপটে, এই কথাগুলো আমরা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি: রেলওয়ের দিকে নজর দিন; প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করুন; ইঞ্জিন ও কোচের ঘাটতি দূর করুন; বন্ধ স্টেশনগুলো চালু করুন। আমরা যতই সড়কব্যবস্থা সম্প্রসারণ করি না কেন, এমন জনবহুল দেশে জনপরিবহনের চাপ সামলানো শুধু সড়কপথে কখনোই সম্ভব হবে না। রেলের সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন ও সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে এই জনপরিবহন সমস্যার চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব। আর চুরি-দুর্নীতি রোধ করে দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই খাত সরকারের জন্য বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয়ের উৎ স হতে পারে।
ঈদের আগে-পরে মোট সাত দিনের জন্য রেলওয়ে সাতটি বিশেষ ট্রেন এবং ১৩৭টি বাড়তি বগি সংযোজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এখন প্রয়োজন নিশ্চিত করা, টিকিট কালোবাজারি যেন না হয়। সব পথে ট্রেনগুলো যেন নির্বিঘ্নে চলতে পারে, সেটাও নিশ্চিত করা দরকার। সড়ক ও নৌপথে বাস ও লঞ্চের টিকিট কেনাবেচায় কারসাজি-কালোবাজারি, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। মহাসড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা দরকার। মহাসড়কে যানজট পুরো পরিবহন-ব্যবস্থায় বিরাট বাধার কারণ হয়, ঘরমুখো মানুষ সীমাহীন ভোগান্তির মুখে পড়ে। এসব বিবেচনায় রেখে আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ঈদের ছুটিতে মানুষের বাড়ি যাওয়ার পথ সুগম করুন।
No comments