১৯৯১ সালের নির্বাচনে খালেদাকে পাঁচ কোটি রুপি দেয় আইএসআই!
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ কোটি রুপি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে আইএসআই খালেদা জিয়াকে এই অর্থ দেয়।
দুবাই থেকে প্রকাশিতখালিজ টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে গতকাল শনিবার এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার মার্শাল আসগর খানের দায়ের করা একটি মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টিকে (পিপিপি) পরাজিত করতে বিরোধী দলগুলোকে আইএসআই ১৪ কোটি রুপি দেয়। খালিজ টাইমস এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে খালেদাকে আইএসআইয়ের পাঁচ কোটি রুপি দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ‘ভারতপন্থী’ আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনাকে ঠেকাতে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে খালেদাকে পাঁচ কোটি রুপি দেয় আইএসআই। তবে পাকিস্তানের দ্য নিউজ ও প্রধান বিজনেস ডেইলি বিজনেস রেকর্ডার-এর প্রতিবেদনে খালেদাকে অর্থ দেওয়া হয়েছে—এমন কোনো তথ্য নেই।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটা মহা মিথ্যা। বিএনপি বিদেশিদের টাকায় চলা রাজনৈতিক দল নয়। এ খবর সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও অপপ্রচার।’ তিনি বলেন, দি ইকোনমিস্ট-এ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন হয়েছিল, তার পাল্টা হিসেবে টাকা দিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।’
১৯৯৬ সালে করা আসগর খানের ওই মামলার শুনানি গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীসহ তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ প্রথম দিনের শুনানি শেষে ৮ মার্চ শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে। একই সঙ্গে আইএসআইয়ের তৎকালীন প্রধান জেনারেল আসাদ দুররানি ও মেহরান ব্যাংকের প্রধান ইউনুস হাবিবকে আগামী শুনানিতে হাজির করতে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দেন। মেহরান ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মির্জা আসলাম বেগ ও আসাদ দুররানি পিপিপিকে ঠেকাতে বিরোধী দলগুলোকে অর্থ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক হলফনামাও দিয়েছেন।
আদালতে দেওয়া দুররানির হলফনামা অনুযায়ী ওই সময় আইএসআই পাকিস্তানের বর্তমান বিরোধী দল নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগকে (পিএমএল-এন) ৩৫ লাখ, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গুলাম ইসহাক খানের নির্বাচন সেলের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাফাকাতকে ৫৬ লাখ, প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুলাম মোস্তফা জাতোয়িকে ৫০ লাখ, সিন্ধু প্রদেশের সাবেক গভর্নর ইউসুফ হারুনকে ৫০ লাখ, সাংবাদিক আলতাফ হুসেইন কোরেশি ও মুস্তাফা সাদিককে পাঁচ লাখ রুপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মোট ১৪ কোটি রুপি দেওয়া হয়।
৯১ বছর বয়সী আসগর খানের পক্ষে হাবিব ওয়াহাবুল খারিরি সম্প্রতি এ মামলা শুনানির জন্য আবেদন করেন। বর্তমানে আল জিহাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান খারিরি ১৯৯৬ সালে মামলা করার সময় আসগর খানের পরামর্শক ছিলেন।
খারিরি বলেন, রাজনীতিতে আইএসআইয়ের হস্তক্ষেপের ইতি টানতেই তিনি এ মামলা শুনানির জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। খালিজ টাইমস, দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও দ্য নিউজ।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ‘ভারতপন্থী’ আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনাকে ঠেকাতে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে খালেদাকে পাঁচ কোটি রুপি দেয় আইএসআই। তবে পাকিস্তানের দ্য নিউজ ও প্রধান বিজনেস ডেইলি বিজনেস রেকর্ডার-এর প্রতিবেদনে খালেদাকে অর্থ দেওয়া হয়েছে—এমন কোনো তথ্য নেই।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটা মহা মিথ্যা। বিএনপি বিদেশিদের টাকায় চলা রাজনৈতিক দল নয়। এ খবর সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও অপপ্রচার।’ তিনি বলেন, দি ইকোনমিস্ট-এ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন হয়েছিল, তার পাল্টা হিসেবে টাকা দিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।’
১৯৯৬ সালে করা আসগর খানের ওই মামলার শুনানি গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীসহ তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ প্রথম দিনের শুনানি শেষে ৮ মার্চ শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে। একই সঙ্গে আইএসআইয়ের তৎকালীন প্রধান জেনারেল আসাদ দুররানি ও মেহরান ব্যাংকের প্রধান ইউনুস হাবিবকে আগামী শুনানিতে হাজির করতে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দেন। মেহরান ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মির্জা আসলাম বেগ ও আসাদ দুররানি পিপিপিকে ঠেকাতে বিরোধী দলগুলোকে অর্থ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক হলফনামাও দিয়েছেন।
আদালতে দেওয়া দুররানির হলফনামা অনুযায়ী ওই সময় আইএসআই পাকিস্তানের বর্তমান বিরোধী দল নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগকে (পিএমএল-এন) ৩৫ লাখ, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গুলাম ইসহাক খানের নির্বাচন সেলের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাফাকাতকে ৫৬ লাখ, প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুলাম মোস্তফা জাতোয়িকে ৫০ লাখ, সিন্ধু প্রদেশের সাবেক গভর্নর ইউসুফ হারুনকে ৫০ লাখ, সাংবাদিক আলতাফ হুসেইন কোরেশি ও মুস্তাফা সাদিককে পাঁচ লাখ রুপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মোট ১৪ কোটি রুপি দেওয়া হয়।
৯১ বছর বয়সী আসগর খানের পক্ষে হাবিব ওয়াহাবুল খারিরি সম্প্রতি এ মামলা শুনানির জন্য আবেদন করেন। বর্তমানে আল জিহাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান খারিরি ১৯৯৬ সালে মামলা করার সময় আসগর খানের পরামর্শক ছিলেন।
খারিরি বলেন, রাজনীতিতে আইএসআইয়ের হস্তক্ষেপের ইতি টানতেই তিনি এ মামলা শুনানির জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। খালিজ টাইমস, দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও দ্য নিউজ।
No comments