মুফতি হান্নানের সম্পূরক জবানবন্দি-হাওয়া ভবন থেকে সহায়তার আশ্বাস
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার প্রধান আসামি হাফেজ মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান। তিনি এই হামলার দোষ স্বীকার করে ২০০৮ সালের ১১ জুন আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর চলতি বছরের ৭ এপ্রিল তিনি ঢাকার অতিরিক্ত প্রধান বিচারিক হাকিম এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার কাছে সম্পূরক জবানবন্দি দেন।
আর এই জবানবন্দিতে তারেক রহমানসহ আরও অনেকের নাম আসে। মুফতি হান্নানের জবানবন্দিটি হুবহু ছাপা হলো]
আমি হাফেজ মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান, এই মামলায় পূর্বে একবার স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলাম। তখন আমি সব কথা বলতে পারি নাই। মাননীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্বেচ্ছায় একটি দরখাস্ত দিয়ে আরও কিছু কথা বলার ও লেখার আছে জানালে তিনি আমার দরখাস্ত মঞ্জুর করেছেন। আজকে কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে আপনার কাছে পাঠিয়েছেন ওই বিষয়ে আমার বক্তব্য আপনার দ্বারা রেকর্ড করতে। আমি বিবেকের তাড়নায় পূর্বের প্রদত্ত দোষ স্বীকারোক্তির সঙ্গে আজকের বক্তব্য পেশ করিতেছি। আমি যেভাবে বলব হুবহু সেভাবে লেখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করিতেছি।
২০০১ সালের অক্টোবরে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করে। তখন বিএনপির সঙ্গে আমাদের সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে হরকাতুল জিহাদের আমির মাওলানা আবদুস সালাম, শেখ ফরিদ, মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর, জাহাঙ্গীর বদর একত্রে চট্টগ্রামের এমপি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও কুমিল্লার মুরাদনগরের এমপি কায়কোবাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমাদের আমির মাওলানা আবদুস সালামসহ তাঁদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করি। ১৯৯৬ সালে যে ৪১ জন ধানখালীতে (কক্সবাজারের উখিয়ায়) গ্রেপ্তার ছিল, তাদেরকে হাইকোর্ট থেকে জামিনের ব্যবস্থা করে দেয়। এইভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত থাকে এবং তাদের সহায়তাও পেয়ে আসতে থাকে। ২০০৩ সালের শেষের দিকে আমাদের আমির মাওলানা আবদুস সালাম, শেখ ফরিদ, মাওলানা তাজউদ্দিনের সঙ্গে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের যোগাযোগ হয়। তারা যোগাযোগের মাধ্যমে বাবর সাহেবের বেইলি রোডের সরকারি বাসায় যায়। সেখানে জি কে গাউস, আরিফুল ইসলাম আরিফ (কমিশনার, সিলেট), ইয়াহিয়া (মাওলানা), আবু বকর ওরফে আবদুল করিম (মৌলভীবাজার, বড়লেখা) উপস্থিত ছিল। এ সময় আমিও উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আমির সাহেবের সঙ্গে কথা বলে এবং জি কে গাউস ও আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (এখন) এদেরকে সিলেটের কাজের ব্যাপারে বলে এবং স্থানীয়ভাবে কাজের জন্য হুকুম দেয়। সেখানে স্থানীয় বিএনপি ও হরকতের (হরকাতুল জিহাদ) লোক দ্বারা বিভিন্ন জায়গায় গ্রেনেডের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটায়।
পরে ২০০৪ সালে প্রথম দিকে হরকাতুল জিহাদের একটা মিটিং হয়, সেখানে উপস্থিত ছিল আমাদের আমির মাওলানা আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, হাফেজ জাহাঙ্গীর বদর, জান্দাল। ওই মিটিং হয় দারুল আরকাম মাদ্রাসা (হরকতের অফিস), মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড (দোতলায়)। ওই মিটিং আবু বকর, ইয়াহিয়াও উপস্থিত ছিল। এরা মিটিং করে কিভাবে তারেক জিয়া ও বাবরের সঙ্গে কথা বলা যায়।
আমরা পরে মোহাম্মদপুর সাতমসজিদে মাওলানা আবদুস সালাম, মাওলানা আবদুর রউফ, মাওলানা তাজউদ্দিন, কাশ্মীরি নাগরিক আবদুল মাজেদ ভাটসহ একত্রে পরামর্শ করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা করি। মাওলানা তাজউদ্দিন গ্রেনেড সরবরাহ করার দায়িত্ব নেয়। তাজ ভাই উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু ও প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর আমাদের সাহায্য করবে বলে জানায়। এবং তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগেরও সিদ্ধান্ত হয়। এরপর একদিন (তারিখ ও সময় মনে পড়ছে না) মুরাদনগরের এমপি কায়কোবাদ সাহেব আমাদেরকে হাওয়া ভবনে নিয়ে গিয়ে তারেক জিয়া ও হারিছ চৌধুরী সাহেবদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। আমরা আমাদের কাজকর্মের জন্য তাদের সাহায্য ও সহযোগিতা চাইলে তারেক জিয়া আমাদের সব প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। এরপর আমরা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যার জন্য মোহাম্মদপুরসহ আরো কয়েক জায়গায় গোপন মিটিং করি।
২০০৪ সালে আগস্ট মাসে (তারিখ স্মরণ নাই) সিলেটে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ঢাকার মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদসভার সংবাদ জানতে পারি। সেখানে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিই। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পুনরায় তারেক জিয়ার সাথে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত হয়। আমি, মাওলানা আবু তাহের, শেখ ফরিদ, মাওলানা তাজউদ্দিন আল-মারকাজুলের গাড়িতে করে মাওলানা রশিদসহ হাওয়া ভবনে যাই। সেখানে হারিছ চৌধুরী, লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াতে ইসলামীর মুজাহিদ, ব্রিগেডিয়ার রেজ্জাকুল হায়দার, ব্রিগেডিয়ার আবদুর রহিমকেও উপস্থিত পাইছি। কিছুক্ষণ পর তারেক জিয়া আসেন। আমরা তাদের কাছে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনার কথা জানাইয়া তাদের সহায়তা চাই। তখন তারা আমাদের সকল প্রকার প্রশাসনিক সহায়তার আশ্বাস দেয়। তারেক সাহেব বলেন যে, আপনাদের এখানে আর আসার দরকার নাই, আপনারা বাবর সাহেব ও আবদুস সালাম পিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ করবেন। তারা আপনাদের সকল প্রকার সহায়তা করবে।
১৮ই আগস্ট আমি, আহসান উল্লাহ কাজল, মাওলানা আবু তাহের, আবদুস সালাম পিন্টুর ধানমন্ডির সরকারি বাসায় যাই। সেখানে আবদুস সালাম পিন্টু, বাবর, মাওলানা তাজউদ্দিন, কমিশনার আরিফ ও হানিফ পরিবহনের হানিফ উপস্থিত ছিল। আবদুস সালাম পিন্টু ও লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, কমিশনার আরিফ ও হানিফ সাহেব আপনাদের সকল প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করবে। এবং আপনাদের সকল প্রকার নিরাপত্তারব্যবস্থা থাকবে। সে মোতাবেক ২০ আগস্ট মুফতি মঈন ওরফে আবু জান্দাল ও আহসান উল্লাহ কাজল আবদুস সালাম পিন্টুর বাসা থেকে ১৫টি গ্রেনেড, ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করে বাড্ডায় বাসায় নিয়ে আসে। ২১ আগস্ট (২০০৪) আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে গ্রেনেড হামলা চালাই।
২১শে আগস্ট, ২০০৪ তারিখে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে গ্রেনেড হামলার বিষয়ে আমার পূর্বের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়াছি। আজকে অবশিষ্ট তথ্য দোষস্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দিলাম।
আমি হাফেজ মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান, এই মামলায় পূর্বে একবার স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলাম। তখন আমি সব কথা বলতে পারি নাই। মাননীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্বেচ্ছায় একটি দরখাস্ত দিয়ে আরও কিছু কথা বলার ও লেখার আছে জানালে তিনি আমার দরখাস্ত মঞ্জুর করেছেন। আজকে কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে আপনার কাছে পাঠিয়েছেন ওই বিষয়ে আমার বক্তব্য আপনার দ্বারা রেকর্ড করতে। আমি বিবেকের তাড়নায় পূর্বের প্রদত্ত দোষ স্বীকারোক্তির সঙ্গে আজকের বক্তব্য পেশ করিতেছি। আমি যেভাবে বলব হুবহু সেভাবে লেখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করিতেছি।
২০০১ সালের অক্টোবরে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করে। তখন বিএনপির সঙ্গে আমাদের সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে হরকাতুল জিহাদের আমির মাওলানা আবদুস সালাম, শেখ ফরিদ, মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর, জাহাঙ্গীর বদর একত্রে চট্টগ্রামের এমপি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও কুমিল্লার মুরাদনগরের এমপি কায়কোবাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমাদের আমির মাওলানা আবদুস সালামসহ তাঁদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করি। ১৯৯৬ সালে যে ৪১ জন ধানখালীতে (কক্সবাজারের উখিয়ায়) গ্রেপ্তার ছিল, তাদেরকে হাইকোর্ট থেকে জামিনের ব্যবস্থা করে দেয়। এইভাবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত থাকে এবং তাদের সহায়তাও পেয়ে আসতে থাকে। ২০০৩ সালের শেষের দিকে আমাদের আমির মাওলানা আবদুস সালাম, শেখ ফরিদ, মাওলানা তাজউদ্দিনের সঙ্গে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের যোগাযোগ হয়। তারা যোগাযোগের মাধ্যমে বাবর সাহেবের বেইলি রোডের সরকারি বাসায় যায়। সেখানে জি কে গাউস, আরিফুল ইসলাম আরিফ (কমিশনার, সিলেট), ইয়াহিয়া (মাওলানা), আবু বকর ওরফে আবদুল করিম (মৌলভীবাজার, বড়লেখা) উপস্থিত ছিল। এ সময় আমিও উপস্থিত ছিলাম। সেখানে আমির সাহেবের সঙ্গে কথা বলে এবং জি কে গাউস ও আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (এখন) এদেরকে সিলেটের কাজের ব্যাপারে বলে এবং স্থানীয়ভাবে কাজের জন্য হুকুম দেয়। সেখানে স্থানীয় বিএনপি ও হরকতের (হরকাতুল জিহাদ) লোক দ্বারা বিভিন্ন জায়গায় গ্রেনেডের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটায়।
পরে ২০০৪ সালে প্রথম দিকে হরকাতুল জিহাদের একটা মিটিং হয়, সেখানে উপস্থিত ছিল আমাদের আমির মাওলানা আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, হাফেজ জাহাঙ্গীর বদর, জান্দাল। ওই মিটিং হয় দারুল আরকাম মাদ্রাসা (হরকতের অফিস), মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড (দোতলায়)। ওই মিটিং আবু বকর, ইয়াহিয়াও উপস্থিত ছিল। এরা মিটিং করে কিভাবে তারেক জিয়া ও বাবরের সঙ্গে কথা বলা যায়।
আমরা পরে মোহাম্মদপুর সাতমসজিদে মাওলানা আবদুস সালাম, মাওলানা আবদুর রউফ, মাওলানা তাজউদ্দিন, কাশ্মীরি নাগরিক আবদুল মাজেদ ভাটসহ একত্রে পরামর্শ করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা করি। মাওলানা তাজউদ্দিন গ্রেনেড সরবরাহ করার দায়িত্ব নেয়। তাজ ভাই উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু ও প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর আমাদের সাহায্য করবে বলে জানায়। এবং তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগেরও সিদ্ধান্ত হয়। এরপর একদিন (তারিখ ও সময় মনে পড়ছে না) মুরাদনগরের এমপি কায়কোবাদ সাহেব আমাদেরকে হাওয়া ভবনে নিয়ে গিয়ে তারেক জিয়া ও হারিছ চৌধুরী সাহেবদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। আমরা আমাদের কাজকর্মের জন্য তাদের সাহায্য ও সহযোগিতা চাইলে তারেক জিয়া আমাদের সব প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। এরপর আমরা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যার জন্য মোহাম্মদপুরসহ আরো কয়েক জায়গায় গোপন মিটিং করি।
২০০৪ সালে আগস্ট মাসে (তারিখ স্মরণ নাই) সিলেটে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ঢাকার মুক্তাঙ্গনে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদসভার সংবাদ জানতে পারি। সেখানে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিই। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পুনরায় তারেক জিয়ার সাথে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত হয়। আমি, মাওলানা আবু তাহের, শেখ ফরিদ, মাওলানা তাজউদ্দিন আল-মারকাজুলের গাড়িতে করে মাওলানা রশিদসহ হাওয়া ভবনে যাই। সেখানে হারিছ চৌধুরী, লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াতে ইসলামীর মুজাহিদ, ব্রিগেডিয়ার রেজ্জাকুল হায়দার, ব্রিগেডিয়ার আবদুর রহিমকেও উপস্থিত পাইছি। কিছুক্ষণ পর তারেক জিয়া আসেন। আমরা তাদের কাছে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনার কথা জানাইয়া তাদের সহায়তা চাই। তখন তারা আমাদের সকল প্রকার প্রশাসনিক সহায়তার আশ্বাস দেয়। তারেক সাহেব বলেন যে, আপনাদের এখানে আর আসার দরকার নাই, আপনারা বাবর সাহেব ও আবদুস সালাম পিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ করবেন। তারা আপনাদের সকল প্রকার সহায়তা করবে।
১৮ই আগস্ট আমি, আহসান উল্লাহ কাজল, মাওলানা আবু তাহের, আবদুস সালাম পিন্টুর ধানমন্ডির সরকারি বাসায় যাই। সেখানে আবদুস সালাম পিন্টু, বাবর, মাওলানা তাজউদ্দিন, কমিশনার আরিফ ও হানিফ পরিবহনের হানিফ উপস্থিত ছিল। আবদুস সালাম পিন্টু ও লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, কমিশনার আরিফ ও হানিফ সাহেব আপনাদের সকল প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করবে। এবং আপনাদের সকল প্রকার নিরাপত্তারব্যবস্থা থাকবে। সে মোতাবেক ২০ আগস্ট মুফতি মঈন ওরফে আবু জান্দাল ও আহসান উল্লাহ কাজল আবদুস সালাম পিন্টুর বাসা থেকে ১৫টি গ্রেনেড, ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করে বাড্ডায় বাসায় নিয়ে আসে। ২১ আগস্ট (২০০৪) আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে গ্রেনেড হামলা চালাই।
২১শে আগস্ট, ২০০৪ তারিখে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে গ্রেনেড হামলার বিষয়ে আমার পূর্বের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়াছি। আজকে অবশিষ্ট তথ্য দোষস্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দিলাম।
No comments