মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারাঃ রাজনীতিকে বেশি কলুষিত করেছেন সাবেক আমলারা
সমাজের মধ্যে লন্ডভন্ড হয়েছে। সেটি সংক্রমিত হয়েছে সংবিধানেও। প্রকৃত রাজনীতিও এখন আর নেই। রাজনীতি চলে গেছে আমলা-ব্যবসায়ীদের হাতে। মুক্তিযুদ্ধের দলিল লন্ডভন্ড এবং অতঃপর শিরোনামে এক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে গতকাল শনিবার বক্তারা এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এ সময় বলেন, সাবেক আমলারা রাজনীতিকে সবচেয়ে বেশি কলুষিত করেছেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুল জলিল বলেন, তিনি এখন বিবেকহীন হয়ে সরকারি দলের সঙ্গে বিচরণ করছেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বইটি লিখেছেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতা আবু সাইয়িদ। অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেন, ‘দুটি পর্যায়ে লন্ডভন্ড ঘটেছে—সংবিধান পর্যায়ে এবং আইনের পর্যায়ে। সমাজের মধ্যেও লন্ডভন্ড ঘটেছে। সেটিই সংক্রমিত হয়েছে সংবিধানে।’ তিনি বলেন, দেশের বর্তমান সমস্যার সমাধান রাজনীতিহীনতায় নয়, আরও রাজনীতির মধ্যে। সুশীল সমাজ শুধু বক্তৃতা দিয়ে পরিবর্তন আনতে পারবে না। তিনি বড় দুই দলের উদ্দেশে বলেন, ‘দলগুলোতে যা হচ্ছে আমরা তা চাই না। আমরা চাই তারা মানুষের কথা শুনুক। ইতিহাস ক্ষমা করে না। ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেওয়ায় দেশে একই অশুভ শক্তি বারবার ফিরে আসছে।’
আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল জলিল বলেন, রাজনীতি আদর্শের বাইরে চলে গেছে। নব্য অর্থশালীরাই সংসদের নিয়ন্ত্রক। ব্যবসায়ী ও আমলারা রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন। সরকারি দলে থাকলে অনেক কিছু বলা যায় না মন্তব্য করে এই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ‘সত্য বলতে আমাদের ভয় হয়। সত্য বলতে গেলে অনেক বাধাবিপত্তি আসে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাজনীতি বলতে আসলে যা বোঝানো হয়, সে রাজনীতি এখন আর নেই। সাবেক আমলারা রাজনীতিকে সবচেয়ে বেশি কলুষিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় থাকলে এক কথা বলি, আর ক্ষমতার বাইরে গেলে আরেক কথা বলি। সত্যিকার রাজনীতিবিদদের হাতে রাজনীতি থাকলে এ অবস্থা হতো না। যাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘তোয়াজ’ করতে পারেন, তাঁরাই এখন নেতা হন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, বইটির সব জায়গায় একটা দীর্ঘশ্বাস শোনা গেছে, আজও শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়তে হলে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতে হবে।
গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আজকে গণতান্ত্রিক শাসক রাজনীতিবিদদের দূরে সরিয়ে দিয়ে সামরিক-বেসামরিক আমলাদের উপদেষ্টা করে কাজ করছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র রাখতে হলে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের নীতিনির্ধারণী জায়গায় রাখতে হবে। না হলে সামনে সমূহ বিপদ।
লেখক ও রাজনীতিক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সংবিধান যে লন্ডভন্ড হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পঞ্চদশ সংশোধনীর পর একটি ‘স্ট্যান্ড অফ’ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এত দিনেও পূর্ণাঙ্গ রায়টা লেখা হলো না।
আবু সাইয়িদ সাগর-রুনি দম্পতি হত্যা প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘ভাবতে অবাক লাগে, কেমন করে দারোগার দায়িত্ব রাষ্ট্রের শীর্ষ নির্বাহী প্রধানমন্ত্রীর ঘাড়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কি পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থার দায়িত্ব ঘাড়ে নিতে পারেন?’
অন্যদের মধ্যে ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি সান-এর সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক মিজানুর রহমান খান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বইটি লিখেছেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতা আবু সাইয়িদ। অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেন, ‘দুটি পর্যায়ে লন্ডভন্ড ঘটেছে—সংবিধান পর্যায়ে এবং আইনের পর্যায়ে। সমাজের মধ্যেও লন্ডভন্ড ঘটেছে। সেটিই সংক্রমিত হয়েছে সংবিধানে।’ তিনি বলেন, দেশের বর্তমান সমস্যার সমাধান রাজনীতিহীনতায় নয়, আরও রাজনীতির মধ্যে। সুশীল সমাজ শুধু বক্তৃতা দিয়ে পরিবর্তন আনতে পারবে না। তিনি বড় দুই দলের উদ্দেশে বলেন, ‘দলগুলোতে যা হচ্ছে আমরা তা চাই না। আমরা চাই তারা মানুষের কথা শুনুক। ইতিহাস ক্ষমা করে না। ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেওয়ায় দেশে একই অশুভ শক্তি বারবার ফিরে আসছে।’
আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল জলিল বলেন, রাজনীতি আদর্শের বাইরে চলে গেছে। নব্য অর্থশালীরাই সংসদের নিয়ন্ত্রক। ব্যবসায়ী ও আমলারা রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন। সরকারি দলে থাকলে অনেক কিছু বলা যায় না মন্তব্য করে এই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ‘সত্য বলতে আমাদের ভয় হয়। সত্য বলতে গেলে অনেক বাধাবিপত্তি আসে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাজনীতি বলতে আসলে যা বোঝানো হয়, সে রাজনীতি এখন আর নেই। সাবেক আমলারা রাজনীতিকে সবচেয়ে বেশি কলুষিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় থাকলে এক কথা বলি, আর ক্ষমতার বাইরে গেলে আরেক কথা বলি। সত্যিকার রাজনীতিবিদদের হাতে রাজনীতি থাকলে এ অবস্থা হতো না। যাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘তোয়াজ’ করতে পারেন, তাঁরাই এখন নেতা হন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, বইটির সব জায়গায় একটা দীর্ঘশ্বাস শোনা গেছে, আজও শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়তে হলে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতে হবে।
গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আজকে গণতান্ত্রিক শাসক রাজনীতিবিদদের দূরে সরিয়ে দিয়ে সামরিক-বেসামরিক আমলাদের উপদেষ্টা করে কাজ করছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র রাখতে হলে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের নীতিনির্ধারণী জায়গায় রাখতে হবে। না হলে সামনে সমূহ বিপদ।
লেখক ও রাজনীতিক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সংবিধান যে লন্ডভন্ড হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পঞ্চদশ সংশোধনীর পর একটি ‘স্ট্যান্ড অফ’ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এত দিনেও পূর্ণাঙ্গ রায়টা লেখা হলো না।
আবু সাইয়িদ সাগর-রুনি দম্পতি হত্যা প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘ভাবতে অবাক লাগে, কেমন করে দারোগার দায়িত্ব রাষ্ট্রের শীর্ষ নির্বাহী প্রধানমন্ত্রীর ঘাড়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কি পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থার দায়িত্ব ঘাড়ে নিতে পারেন?’
অন্যদের মধ্যে ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি সান-এর সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক মিজানুর রহমান খান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
No comments