সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন-কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়ের নিবন্ধন
দেশের কিন্ডারগার্টেন, নার্সারি, প্রিপারেটরি বিদ্যালয়গুলো আইনের আওতায় আনার কথা শোনা যাচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। কিন্তু এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি। কেবল ইংরেজি মাধ্যমের কিন্ডারগার্টেনগুলো নিবন্ধনের নির্দেশনা ছিল।
বর্তমানে রাজধানী থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত গড়ে উঠেছে অসংখ্য নার্সারি, কিন্ডারগার্টেন ও প্রিপারেটরি বিদ্যালয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কারা, কীভাবে চালান, কী পড়ানো হয়, কারা পড়ান—সেসব জানা জরুরি। প্রথম আলোয় মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বেসরকারি প্রাথমিক (বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম) বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা, ২০১১ অনুযায়ী সব কিন্ডারগার্টেনকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট অঙ্কের নিবন্ধন ফি দেওয়া, সংরক্ষিত ও সাধারণ তহবিল গঠন. প্রতি ৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য অন্তত একজন শিক্ষক নিয়োগ এবং ন্যূনতম অবকাঠামো ও জমি থাকা। যেকোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে নিয়মকানুন মেনে চলা আবশ্যক।
প্রশ্ন হলো, নিবন্ধনের শর্তগুলো এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা মানবেন কি না? অধিকাংশ কিন্ডারগার্টেন ভালো ব্যবসা করলেও শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে না। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন-ভাতা খুবই কম। অথচ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উচ্চ হারে ফি নেওয়া হয়। নতুন শিক্ষানীতিতে একমুখী শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হলেও কিন্ডারগার্টেনগুলো তা মানে না। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির পরিপন্থী বিষয়াদিও পড়ানো হয়। জাতীয় সংগীত গাওয়ানোর রীতিও মানা হয় না। সব মিলিয়ে কিন্ডারগার্টেনগুলো চলছে খেয়ালখুশিমতো। সে ক্ষেত্রে কিন্ডারগার্টেনগুলোকে বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের মাধ্যমে বিধিমালার আওতায় আনা জরুরি।
তবে এই নিবন্ধনের কাজটি যেন ‘কাজির গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’ অবস্থা না হয়। আমাদের দেশে অনেক ভালো আইনই যথাযথ প্রয়োগের অভাবে অকার্যকর হয়ে যায়। কিন্ডারগার্টেনের নিবন্ধন আইনটির ক্ষেত্রে তা হবে না বলেই দেশবাসী আশ্বস্ত হতে চায়। বিধিমালা পূরণ না করে যাতে কোনো কিন্ডারগার্টেন নিবন্ধিত না হতে পারে, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কিন্ডারগার্টেনগুলোর জবাবদিহির বিকল্প নেই।
প্রশ্ন হলো, নিবন্ধনের শর্তগুলো এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা মানবেন কি না? অধিকাংশ কিন্ডারগার্টেন ভালো ব্যবসা করলেও শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে না। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন-ভাতা খুবই কম। অথচ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উচ্চ হারে ফি নেওয়া হয়। নতুন শিক্ষানীতিতে একমুখী শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হলেও কিন্ডারগার্টেনগুলো তা মানে না। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির পরিপন্থী বিষয়াদিও পড়ানো হয়। জাতীয় সংগীত গাওয়ানোর রীতিও মানা হয় না। সব মিলিয়ে কিন্ডারগার্টেনগুলো চলছে খেয়ালখুশিমতো। সে ক্ষেত্রে কিন্ডারগার্টেনগুলোকে বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের মাধ্যমে বিধিমালার আওতায় আনা জরুরি।
তবে এই নিবন্ধনের কাজটি যেন ‘কাজির গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’ অবস্থা না হয়। আমাদের দেশে অনেক ভালো আইনই যথাযথ প্রয়োগের অভাবে অকার্যকর হয়ে যায়। কিন্ডারগার্টেনের নিবন্ধন আইনটির ক্ষেত্রে তা হবে না বলেই দেশবাসী আশ্বস্ত হতে চায়। বিধিমালা পূরণ না করে যাতে কোনো কিন্ডারগার্টেন নিবন্ধিত না হতে পারে, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কিন্ডারগার্টেনগুলোর জবাবদিহির বিকল্প নেই।
No comments