জেলা শহর কুমিল্লাঃ বেশির ভাগ সড়কই ক্ষতবিক্ষত
কুমিল্লা শহরের ৪৮২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার সড়কই ক্ষতবিক্ষত। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কগুলোর অসংখ্য স্থানে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে বড়-সড় গর্ত। তবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই শহরের সব রাস্তা মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন।
এর মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাছ থেকে সড়ক মেরামতের জন্য অগ্রাধিকার প্রকল্প চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১২৭ কিলোমিটার বিটুমিনাস সড়ক, ৬০ কিলোমিটার সিসি (সিমেন্ট, বালু ও খোয়ামিশ্রিত) সড়ক, ১৬ কিলোমিটার আরসিসি (রড, সিমেন্ট, বালু ও খোয়ামিশ্রিত) সড়ক, ৫৫ কিলোমিটার ইটের সড়ক ও ১৫৪ কিলোমিটার মাটির সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ১৯ থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত মোট নয়টি ওয়ার্ডে কাঁচা রাস্তার পরিমাণ বেশি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের পশ্চিম বাগিচাগাঁও থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত সড়কে বড়বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। স্টেশন সড়ক থেকে ধর্মপুর চৌমুহনী পর্যন্ত ৮০০ মিটার সড়কের মধ্যে কমপক্ষে ৫০০ স্থানে খানাখন্দের দেখা মিলেছে। পশ্চিম বাগিচাগাঁও থেকে রানীর বাজার হয়ে কান্দিরপাড় পর্যন্ত প্রধান সড়কটির বেহাল দশা। কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে দক্ষিণ চর্থার ইপিজেড পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থান নর্দমার উপচে পড়া ময়লাপানিতে সয়লাব।
এদিকে নগরের কান্দিরপাড় থেকে ঝাউতলা পর্যন্ত প্রধান সড়কটি দুই বছর আগে মেরামত করা হলেও সেটির বর্তমান অবস্থা করুণ। সড়কটির বাদুরতলা ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুলের সামনে থেকে সিডি প্যাথ হাসপাতালের সামনের গলি পর্যন্ত ৫০টির মতো ছোট-বড় গর্ত দেখা গেছে। রোববার ওই সড়কে কিছু স্থানের গর্ত খোয়া ও বিটুমিনাস দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। তবে সামান্য বৃষ্টিতেই সেগুলো ধুয়ে গিয়ে রাস্তার অবস্থা আবার আগের দশা হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ ছাড়া নগরের তালতলা চৌমুহনী থেকে চকবাজার পর্যন্ত সড়কটিতে ছয়-সাত মাস আগে খোয়া ফেলা হলেও আজ পর্যন্ত পিচ ঢালাই করা হয়নি। সদ্য বিলুপ্ত সদর দক্ষিণ পৌরসভা ভবনের সামনের সড়কটিও বেহাল। ওই এলাকার বাসিন্দা ফয়েজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় সড়কটি মেরামত হয়নি। এখন সিটি করপোরেশন হয়েছে। এবার নিশ্চয়ই সড়কটি মেরামত করা হবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
রানীর বাজার এলাকার বাসিন্দা কবিতা রানী সাহা বলেন, রানীর বাজার সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার কলেজ শিক্ষার্থীসহ ব্যবসায়ী যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু সড়কটি কোনোভাবেই সংস্কার করা হচ্ছে না।
রেসকোর্স এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, রাতের বেলায় নগরের পুলিশলাইন সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বেশ কিছু যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। এগুলো চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে।
জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল্লাহ বলেন, বর্তমানে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় নিজস্ব তহবিলসহ জাইকা ও এডিবি থেকে বরাদ্দ পাওয়া অর্থ মিলিয়ে মোট ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক নির্মাণ ও মেরামতের কাজ চলছে। এর মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজ নিজ এলাকার সড়ক নিয়ে প্রকল্প উপস্থাপন করার জন্য বলা হয়েছে। আগামী জুলাই মাসে নতুন করে প্রকল্প নেওয়া হবে। তখন ভাঙাচোরা সড়কগুলো সংস্কার ও মেরামত করা হবে।
আলাপকালে পর্যায়ক্রমে সড়কগুলো মেরামতের আশ্বাস দিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক (সাক্কু)। তিনি বলেন, ‘সীমিত সম্পদের মধ্য দিয়ে আমরা সড়কের কাজ করে যাচ্ছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নগরের সড়কগুলো মেরামতের জন্য নানা ধরনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের পশ্চিম বাগিচাগাঁও থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত সড়কে বড়বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। স্টেশন সড়ক থেকে ধর্মপুর চৌমুহনী পর্যন্ত ৮০০ মিটার সড়কের মধ্যে কমপক্ষে ৫০০ স্থানে খানাখন্দের দেখা মিলেছে। পশ্চিম বাগিচাগাঁও থেকে রানীর বাজার হয়ে কান্দিরপাড় পর্যন্ত প্রধান সড়কটির বেহাল দশা। কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে দক্ষিণ চর্থার ইপিজেড পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থান নর্দমার উপচে পড়া ময়লাপানিতে সয়লাব।
এদিকে নগরের কান্দিরপাড় থেকে ঝাউতলা পর্যন্ত প্রধান সড়কটি দুই বছর আগে মেরামত করা হলেও সেটির বর্তমান অবস্থা করুণ। সড়কটির বাদুরতলা ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুলের সামনে থেকে সিডি প্যাথ হাসপাতালের সামনের গলি পর্যন্ত ৫০টির মতো ছোট-বড় গর্ত দেখা গেছে। রোববার ওই সড়কে কিছু স্থানের গর্ত খোয়া ও বিটুমিনাস দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। তবে সামান্য বৃষ্টিতেই সেগুলো ধুয়ে গিয়ে রাস্তার অবস্থা আবার আগের দশা হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ ছাড়া নগরের তালতলা চৌমুহনী থেকে চকবাজার পর্যন্ত সড়কটিতে ছয়-সাত মাস আগে খোয়া ফেলা হলেও আজ পর্যন্ত পিচ ঢালাই করা হয়নি। সদ্য বিলুপ্ত সদর দক্ষিণ পৌরসভা ভবনের সামনের সড়কটিও বেহাল। ওই এলাকার বাসিন্দা ফয়েজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় সড়কটি মেরামত হয়নি। এখন সিটি করপোরেশন হয়েছে। এবার নিশ্চয়ই সড়কটি মেরামত করা হবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
রানীর বাজার এলাকার বাসিন্দা কবিতা রানী সাহা বলেন, রানীর বাজার সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার কলেজ শিক্ষার্থীসহ ব্যবসায়ী যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু সড়কটি কোনোভাবেই সংস্কার করা হচ্ছে না।
রেসকোর্স এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, রাতের বেলায় নগরের পুলিশলাইন সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বেশ কিছু যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। এগুলো চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে।
জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল্লাহ বলেন, বর্তমানে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় নিজস্ব তহবিলসহ জাইকা ও এডিবি থেকে বরাদ্দ পাওয়া অর্থ মিলিয়ে মোট ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক নির্মাণ ও মেরামতের কাজ চলছে। এর মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজ নিজ এলাকার সড়ক নিয়ে প্রকল্প উপস্থাপন করার জন্য বলা হয়েছে। আগামী জুলাই মাসে নতুন করে প্রকল্প নেওয়া হবে। তখন ভাঙাচোরা সড়কগুলো সংস্কার ও মেরামত করা হবে।
আলাপকালে পর্যায়ক্রমে সড়কগুলো মেরামতের আশ্বাস দিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক (সাক্কু)। তিনি বলেন, ‘সীমিত সম্পদের মধ্য দিয়ে আমরা সড়কের কাজ করে যাচ্ছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নগরের সড়কগুলো মেরামতের জন্য নানা ধরনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
No comments