হত্যাকাণ্ডের শাস্তি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা-পুলিশের দুই কর্মকর্তা ও ছয় সালিসদারকে হাইকোর্টে তলব
গৃহবধূ সোমা আক্তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা না নেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে কুমিল্লার মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শককে (তদন্ত) ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই ঘটনায় সালিসে অংশ নেওয়া ছয় ব্যক্তিকেও ওই দিন হাজির হতে বলা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
গতকাল প্রথম আলোতে ‘হত্যাকাণ্ডের শাস্তি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আলী আহমেদ খোকন। শুনানির পর আদালত ওই নির্দেশসহ স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন।
পরে আলী আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মেঘনা থানার ওসি, উপপরিদর্শক ও সালিসকারী ছয় ব্যক্তিসহ আটজনকে তাঁদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে পুলিশের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, সালিসে যুক্ত ছয়জন হলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের মাতব্বর আবদুর রউফ, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন, ওই ইউপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গাজী আবু তালেব, ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন, মজিবুর রহমান ও আবু সিদ্দিক।
অভিযোগ উঠেছে, যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় শ্বশুর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনে ৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান সোমা আক্তার (২০)। কিন্তু ওই ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ। যৌতুকের কারণে সোমাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তাঁর মা জ্যোৎস্না আক্তার (৪৫) এই প্রতিবেদককে বলেছিলেন, সোমার শ্বশুর আবদুল কাদির একের পর এক হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে পলাতক জীবন যাপন করছেন। বিয়ের পর থেকেই ওই সব মামলার খরচের জন্য তিনি যৌতুক চেয়ে সোমাকে চাপ দিতেন। মেয়ের সুখের কথা ভেবে বিভিন্ন সময় তাঁর (কাদির) অন্যায় আবদার মেটাতে হয়েছে।
সোমার মৃত্যুর আট দিন পর গত মঙ্গলবার উলুকান্দি গ্রামে সালিস বসানো হয়। সালিসকারীরা সোমার শ্বশুর ও তাঁর পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে হত্যার অভিযোগের মীমাংসা করেন।
গতকাল প্রথম আলোতে ‘হত্যাকাণ্ডের শাস্তি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আলী আহমেদ খোকন। শুনানির পর আদালত ওই নির্দেশসহ স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন।
পরে আলী আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মেঘনা থানার ওসি, উপপরিদর্শক ও সালিসকারী ছয় ব্যক্তিসহ আটজনকে তাঁদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে পুলিশের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, সালিসে যুক্ত ছয়জন হলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের মাতব্বর আবদুর রউফ, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন, ওই ইউপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গাজী আবু তালেব, ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন, মজিবুর রহমান ও আবু সিদ্দিক।
অভিযোগ উঠেছে, যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় শ্বশুর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনে ৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান সোমা আক্তার (২০)। কিন্তু ওই ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ। যৌতুকের কারণে সোমাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তাঁর মা জ্যোৎস্না আক্তার (৪৫) এই প্রতিবেদককে বলেছিলেন, সোমার শ্বশুর আবদুল কাদির একের পর এক হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে পলাতক জীবন যাপন করছেন। বিয়ের পর থেকেই ওই সব মামলার খরচের জন্য তিনি যৌতুক চেয়ে সোমাকে চাপ দিতেন। মেয়ের সুখের কথা ভেবে বিভিন্ন সময় তাঁর (কাদির) অন্যায় আবদার মেটাতে হয়েছে।
সোমার মৃত্যুর আট দিন পর গত মঙ্গলবার উলুকান্দি গ্রামে সালিস বসানো হয়। সালিসকারীরা সোমার শ্বশুর ও তাঁর পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে হত্যার অভিযোগের মীমাংসা করেন।
No comments