স্থায়ীভাবে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নয়-প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে হবে
জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে_বর্তমান সরকারের সময়েই দেশের ১৯টি জেলাকে পর্যায়ক্রমে সিটি করপোরেশন করা হবে।
স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় রাজস্ব আদায় শতভাগ করা এবং জেলা প্রশাসকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা স্থায়ীভাবে প্রদানে অপারগতা প্রকাশ। উল্লেখ্য, সম্মেলনের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসকরা তাঁদের অধিকাংশ দাবি ও প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসকদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার প্রশ্নে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী যুক্তি দিয়েছেন, জেলা প্রশাসনকে বিশেষ কাজের জন্য সরকার সাময়িকভাবে এ ক্ষমতা দিয়ে থাকে। প্রয়োজন হলে এভাবেই দেওয়া হবে। কিন্তু স্থায়ীভাবে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া সম্ভব নয়।
এ কথা ঠিক যে জেলা প্রশাসনকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার কিছু প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হয়। যেমন_দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে অসততা, চোরাকারবারিসহ নানা ধরনের সামাজিক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এসব জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। এমন বাস্তবতায় সব সময় বিচার বিভাগকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা না থাকার ফলে অনেক সময়ই খোদ প্রশাসনকেই নানা ধরনের প্রতারণার সম্মুখীন হতে দেখা যায়। সেসব ক্ষেত্রে প্রশাসনের করার কিছু থাকে না। কিন্তু সব যুক্তির বিপরীতে জেলা প্রশাসনকে স্থায়ীভাবে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা না দেওয়ার সিদ্ধান্তটি আমরা যৌক্তিক বলে মনে করি। দেশের প্রশাসনের নিয়োগ, পদোন্নতি, পোস্টিং_এসব ব্যাপারে রাজনৈতিক প্রভাব বহু দিনের। রাজনৈতিক সমর্থনের ওপর ভিত্তি করে প্রশাসনের রদবদল নিয়ে একটি নেতিবাচক চিত্র বাংলাদেশের সচেতন মানুষের মধ্যে রয়েছে। যেহেতু বদলি, পদোন্নতির মতো বিষয়গুলো রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নয়, তাই প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দ্বারা জনগণের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তাদের বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করলে তার অপপ্রয়োগ হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। উন্নত দেশগুলোতে নির্বাহী বিভাগ, এমনকি পুলিশকেও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। তার কারণে নির্বাহী প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব ও সততা সম্পর্কে জনগণের বিশেষ আস্থা রয়েছে। বাংলাদেশে প্রশাসনের প্রতি জনগণের এ আস্থাটি তৈরি হয়নি। জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব ব্যাপক এবং বিস্তৃত। উপসচিব পর্যায়ের এ কর্মকর্তাদের আরো অধিক আস্থা অর্জনের প্রয়োজন রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। প্রাসঙ্গিকভাবে বলা যায়, দেশের সুশীল সমাজ মনে করে, এত বড় দায়িত্বটি অন্ততপক্ষে যুগ্মসচিবদের হাতে ন্যস্ত হওয়া উচিত। এতে জেলা প্রশাসনের চেইন অব কমান্ড আরো শক্তিশালী হবে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সরকার ও জেলা প্রশাসনের ক্ষমতা সাংঘর্ষিক হয়ে আছে। এ ব্যাপারে সরকারের সুস্পষ্ট বিধিমালা তৈরি করতে হবে। স্থানীয় সরকার ও জনপ্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সৃষ্টি না হলে জনগণের উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বিঘি্নত হতে ্বাকএব।
এ কথা ঠিক যে জেলা প্রশাসনকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার কিছু প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হয়। যেমন_দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে অসততা, চোরাকারবারিসহ নানা ধরনের সামাজিক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এসব জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। এমন বাস্তবতায় সব সময় বিচার বিভাগকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব নয়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা না থাকার ফলে অনেক সময়ই খোদ প্রশাসনকেই নানা ধরনের প্রতারণার সম্মুখীন হতে দেখা যায়। সেসব ক্ষেত্রে প্রশাসনের করার কিছু থাকে না। কিন্তু সব যুক্তির বিপরীতে জেলা প্রশাসনকে স্থায়ীভাবে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা না দেওয়ার সিদ্ধান্তটি আমরা যৌক্তিক বলে মনে করি। দেশের প্রশাসনের নিয়োগ, পদোন্নতি, পোস্টিং_এসব ব্যাপারে রাজনৈতিক প্রভাব বহু দিনের। রাজনৈতিক সমর্থনের ওপর ভিত্তি করে প্রশাসনের রদবদল নিয়ে একটি নেতিবাচক চিত্র বাংলাদেশের সচেতন মানুষের মধ্যে রয়েছে। যেহেতু বদলি, পদোন্নতির মতো বিষয়গুলো রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নয়, তাই প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দ্বারা জনগণের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তাদের বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করলে তার অপপ্রয়োগ হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। উন্নত দেশগুলোতে নির্বাহী বিভাগ, এমনকি পুলিশকেও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। তার কারণে নির্বাহী প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব ও সততা সম্পর্কে জনগণের বিশেষ আস্থা রয়েছে। বাংলাদেশে প্রশাসনের প্রতি জনগণের এ আস্থাটি তৈরি হয়নি। জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব ব্যাপক এবং বিস্তৃত। উপসচিব পর্যায়ের এ কর্মকর্তাদের আরো অধিক আস্থা অর্জনের প্রয়োজন রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। প্রাসঙ্গিকভাবে বলা যায়, দেশের সুশীল সমাজ মনে করে, এত বড় দায়িত্বটি অন্ততপক্ষে যুগ্মসচিবদের হাতে ন্যস্ত হওয়া উচিত। এতে জেলা প্রশাসনের চেইন অব কমান্ড আরো শক্তিশালী হবে। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সরকার ও জেলা প্রশাসনের ক্ষমতা সাংঘর্ষিক হয়ে আছে। এ ব্যাপারে সরকারের সুস্পষ্ট বিধিমালা তৈরি করতে হবে। স্থানীয় সরকার ও জনপ্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সৃষ্টি না হলে জনগণের উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বিঘি্নত হতে ্বাকএব।
No comments