ছিটমহল বিনিময় ত্বরান্বিত হোক-দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার নবযাত্রা
দেশের উত্তরাঞ্চলের ২৬ হাজার জন-অধ্যুষিত প্রায় বিচ্ছিন্ন জনপদ দহগ্রাম-আঙ্গরপোতায় গত বুধবার ১০ শয্যার হাসপাতাল ও বিদ্যুৎ-সংযোগ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের পর সীমান্ত প্রটোকলের আওতায় মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী তিনবিঘা করিডরটি ২৪ ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে তাদের দীর্ঘদিনের বন্দিদশার অবসান হয়েছে। অবশ্য
করিডরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছেই থাকছে।
হাসপাতাল স্থাপন ও বিদ্যুৎ-সংযোগের মাধ্যমে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতায় উন্নয়নের যে শুভ সূচনা হলো, তা এগিয়ে নিতে সেখানে শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে হবে। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার কথাও ভাবতে হবে। সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনমান বাড়ানোর বিকল্প নেই। একই সঙ্গে সীমান্ত প্রটোকল অনুযায়ী, ছিটমহল বিনিময়ের কাজটিও ত্বরান্বিত করা উচিত। চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে উভয় দেশের ছিটমহলের বাসিন্দারা আন্দোলন করছে।
দহগ্রাম-আঙ্গরপোতায় যাওয়ার পথে তিনবিঘা করিডরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী গোলাম নবী আজাদ ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র প্রসাদ সিং। মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম আসতে পারেননি বলে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের না আসার কী কারণ থাকতে পারে? কেন্দ্রীয় সরকার থেকে তাঁকে জানানো হয়নি বলে অজুহাত দেওয়া হয়েছে। নিজেকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে দাবি করলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী না হওয়া কিংবা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর তিনবিঘা করিডর পরিদর্শনকালে সেখানে না যাওয়া দৃষ্টিকটু লেগেছে। বিশেষ করে, তাঁর আপত্তির কারণে যখন তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি আটকে আছে।
প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন ও ছিটমহল বিনিময় সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তাঁর সঙ্গে দ্বিমত না করেও বলব, বাংলাদেশের স্বার্থ কোনোভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির টানাপোড়েনের কাছে জিম্মি হতে দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের যদি সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, তা আদায়ের দায়িত্ব নয়াদিল্লিরই।
হাসপাতাল স্থাপন ও বিদ্যুৎ-সংযোগের মাধ্যমে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতায় উন্নয়নের যে শুভ সূচনা হলো, তা এগিয়ে নিতে সেখানে শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে হবে। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার কথাও ভাবতে হবে। সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনমান বাড়ানোর বিকল্প নেই। একই সঙ্গে সীমান্ত প্রটোকল অনুযায়ী, ছিটমহল বিনিময়ের কাজটিও ত্বরান্বিত করা উচিত। চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে উভয় দেশের ছিটমহলের বাসিন্দারা আন্দোলন করছে।
দহগ্রাম-আঙ্গরপোতায় যাওয়ার পথে তিনবিঘা করিডরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী গোলাম নবী আজাদ ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র প্রসাদ সিং। মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম আসতে পারেননি বলে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের না আসার কী কারণ থাকতে পারে? কেন্দ্রীয় সরকার থেকে তাঁকে জানানো হয়নি বলে অজুহাত দেওয়া হয়েছে। নিজেকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে দাবি করলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী না হওয়া কিংবা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর তিনবিঘা করিডর পরিদর্শনকালে সেখানে না যাওয়া দৃষ্টিকটু লেগেছে। বিশেষ করে, তাঁর আপত্তির কারণে যখন তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি আটকে আছে।
প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন ও ছিটমহল বিনিময় সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তাঁর সঙ্গে দ্বিমত না করেও বলব, বাংলাদেশের স্বার্থ কোনোভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির টানাপোড়েনের কাছে জিম্মি হতে দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের যদি সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, তা আদায়ের দায়িত্ব নয়াদিল্লিরই।
No comments