পবিত্র কোরআনের আলো-মুসলমানরা যে একটি প্রভাবশালী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে তার ভবিষ্যদ্বাণী
৫৩. ওয়া ইয়াক্বূলুল্লাযীনা আমানূ আ-হাউলায়িল্লাযীনা আক্ব্সামূ বিল্লাহি জাহ্দা আইমানিহিম; ইন্নাহুম লামা'আকুম; হাবিত্বাত আ'মালুহুম ফাআস্বাহূ খাসিরীন। ৫৪. ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ মাইঁ ইয়ার্তাদ্দা মিন্কুম 'আন দীনিহী ফাসাওফা ইয়া'তিল্লাহু বিক্বাওমিঁ ইউহিব্বুহুম ওয়া ইউহিব্বূনাহূ; আযিল্লাতিন 'আলাল মু'মিনীনা আ'য়িয্যাতিন 'আলাল কাফিরীনা;
ইউজাহিদূনা ফী সাবীলিল্লাহি ওয়া লা-ইয়াখাফূনা লাওমাতা লায়িম; যালিকা ফাদ্ব্লুল্লাহি ইউ'তীহি মাইঁ ইয়্যাশাউ; ওয়াল্লাহু ওয়াসি'উন 'আলীম।
৫৫. ইন্নামা ওয়ালিয়্যুকুমুল্লাহু ওয়া রাসূলুহূ ওয়াল্লাযীনা আমানুল্লাযীনা ইউক্বীমূনাস সালাতা ওয়া ইউ'তূনায্ যাকাতা ওয়াহুম রাকি'ঊন।
[সুরা : আল-মায়িদা, আয়াত : ৫৩-৫৫]
অনুবাদ
৫৩. তখন ইমানদার লোকেরা বলবে, এরাই কি ছিল সেসব মানুষ, যারা আল্লাহর নামে বড় বড় শপথ করত। তারা তো বলত, তারা তোমাদের সঙ্গে আছে। এর ফলে তাদের কার্যকলাপ বিনষ্ট হয়ে গেল। অতঃপর তারা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
৫৪. হে ইমানদারগণ, তোমাদের মধ্য থেকে যদি কোনো লোক নিজ ধর্ম ইসলাম থেকে ফিরে যায়, তবু আল্লাহ তায়ালা অচিরেই তোমাদের মাধ্যমে এমন এক জাতির উদ্ভব ঘটাবেন, যাদের তিনি ভালোবাসেন এবং তারাও তাকে ভালোবাসে। তারা মুমিনদের প্রতি কোমল এবং কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করবে এবং নিন্দুকদের নিন্দায় ভয় করবে না। এটা আল্লাহ প্রদত্ত সৌভাগ্য। তিনি যাকে চান, তাকেই তা দান করেন। আল্লাহ সর্বব্যাপী ও জ্ঞানবান।
৫৫. অবশ্যই তোমাদের অভিভাবক আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং সেসব ইমানদার ব্যক্তি, যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং জাকাত আদায় করে। আর তারা বিনয়াবনত।
ব্যাখ্যা
এ আয়াতগুলো আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায়ই এসেছে। আগের আয়াতগুলোতে ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুনাফিকদের দুরভিসন্ধি সম্পর্কে বলা হয়েছে। এ আয়াতে বলা হচ্ছে, তাদের স্বরূপ খুব দ্রুতই উন্মোচিত হয়ে যাবে। তাদের প্রকৃত রূপ দেখে ইমানদাররা তখন বলতে থাকবে_এরাই তো সেসব লোক, যারা আল্লাহর নামে এত বড় বড় শপথ করত। তারা বলত, আমরা তোমাদের সঙ্গেই আছি। অথচ তাদের দুরভিসন্ধি কিভাবে ব্যর্থ হয়ে গেল। এবং তারা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
৫৪ নম্বর আয়াতে মুসলমানদের মুরতাদদের সম্পর্কে সজাগ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যদ্বাণীস্বরূপ সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে_মুরতাদরা নিজেদের ধর্ম থেকে সরে যেতে পারে, কিন্তু এর পরও পৃথিবীতে মুসলমান হিসেবে এমন এক জাতির উদ্ভব ঘটবে, যারা আল্লাহকে ভালোবাসে এবং আল্লাহ তায়ালাও তাদের ভালোবাসেন। এই নবগঠিত সম্প্রদায়ের কতগুলো বৈশিষ্ট্য এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত তারা আল্লাহ তথা সত্য ও ন্যায়কে ভালোবাসবে এবং আল্লাহও তাদের ভালোবাসবেন। তারা মুমিনদের প্রতি কোমল এবং কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে, তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। তারা কোনো নিন্দুকের নিন্দা দ্বারা প্রভাবিত হবে না। আর এভাবেই সেই জাতি আল্লাহ তায়ালার দানকৃত সৌভাগ্য লাভ করবে। ৫৫ নম্বর আয়াতটি এবং এর পরের কয়েকটি আয়াত নাজিল হয়েছে কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। যেমন_আজান হলেই মুসলমানরা যখন নামাজে দাঁড়াত, তখন ইহুদিরা বিদ্রূপ করত। তারা বলত, 'এই যে এরা দাঁড়িয়েছে, আল্লাহ করুন আর যেন দাঁড়াতে না পারে। এ ছাড়া আরেকটি ঘটনা তখন ঘটেছিল। এক খ্রিস্টান আজান শুনে বলত, 'মিথ্যাবাদী পুড়ে মরুক'। এক রাতে সেই খ্রিস্টানের ঘরে আগুন লেগে সে সপরিবারে পুড়ে মারা গেল। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াতগুলো নাজিল হয়েছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
৫৫. ইন্নামা ওয়ালিয়্যুকুমুল্লাহু ওয়া রাসূলুহূ ওয়াল্লাযীনা আমানুল্লাযীনা ইউক্বীমূনাস সালাতা ওয়া ইউ'তূনায্ যাকাতা ওয়াহুম রাকি'ঊন।
[সুরা : আল-মায়িদা, আয়াত : ৫৩-৫৫]
অনুবাদ
৫৩. তখন ইমানদার লোকেরা বলবে, এরাই কি ছিল সেসব মানুষ, যারা আল্লাহর নামে বড় বড় শপথ করত। তারা তো বলত, তারা তোমাদের সঙ্গে আছে। এর ফলে তাদের কার্যকলাপ বিনষ্ট হয়ে গেল। অতঃপর তারা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
৫৪. হে ইমানদারগণ, তোমাদের মধ্য থেকে যদি কোনো লোক নিজ ধর্ম ইসলাম থেকে ফিরে যায়, তবু আল্লাহ তায়ালা অচিরেই তোমাদের মাধ্যমে এমন এক জাতির উদ্ভব ঘটাবেন, যাদের তিনি ভালোবাসেন এবং তারাও তাকে ভালোবাসে। তারা মুমিনদের প্রতি কোমল এবং কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করবে এবং নিন্দুকদের নিন্দায় ভয় করবে না। এটা আল্লাহ প্রদত্ত সৌভাগ্য। তিনি যাকে চান, তাকেই তা দান করেন। আল্লাহ সর্বব্যাপী ও জ্ঞানবান।
৫৫. অবশ্যই তোমাদের অভিভাবক আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং সেসব ইমানদার ব্যক্তি, যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং জাকাত আদায় করে। আর তারা বিনয়াবনত।
ব্যাখ্যা
এ আয়াতগুলো আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায়ই এসেছে। আগের আয়াতগুলোতে ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুনাফিকদের দুরভিসন্ধি সম্পর্কে বলা হয়েছে। এ আয়াতে বলা হচ্ছে, তাদের স্বরূপ খুব দ্রুতই উন্মোচিত হয়ে যাবে। তাদের প্রকৃত রূপ দেখে ইমানদাররা তখন বলতে থাকবে_এরাই তো সেসব লোক, যারা আল্লাহর নামে এত বড় বড় শপথ করত। তারা বলত, আমরা তোমাদের সঙ্গেই আছি। অথচ তাদের দুরভিসন্ধি কিভাবে ব্যর্থ হয়ে গেল। এবং তারা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
৫৪ নম্বর আয়াতে মুসলমানদের মুরতাদদের সম্পর্কে সজাগ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যদ্বাণীস্বরূপ সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে_মুরতাদরা নিজেদের ধর্ম থেকে সরে যেতে পারে, কিন্তু এর পরও পৃথিবীতে মুসলমান হিসেবে এমন এক জাতির উদ্ভব ঘটবে, যারা আল্লাহকে ভালোবাসে এবং আল্লাহ তায়ালাও তাদের ভালোবাসেন। এই নবগঠিত সম্প্রদায়ের কতগুলো বৈশিষ্ট্য এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত তারা আল্লাহ তথা সত্য ও ন্যায়কে ভালোবাসবে এবং আল্লাহও তাদের ভালোবাসবেন। তারা মুমিনদের প্রতি কোমল এবং কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে, তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। তারা কোনো নিন্দুকের নিন্দা দ্বারা প্রভাবিত হবে না। আর এভাবেই সেই জাতি আল্লাহ তায়ালার দানকৃত সৌভাগ্য লাভ করবে। ৫৫ নম্বর আয়াতটি এবং এর পরের কয়েকটি আয়াত নাজিল হয়েছে কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। যেমন_আজান হলেই মুসলমানরা যখন নামাজে দাঁড়াত, তখন ইহুদিরা বিদ্রূপ করত। তারা বলত, 'এই যে এরা দাঁড়িয়েছে, আল্লাহ করুন আর যেন দাঁড়াতে না পারে। এ ছাড়া আরেকটি ঘটনা তখন ঘটেছিল। এক খ্রিস্টান আজান শুনে বলত, 'মিথ্যাবাদী পুড়ে মরুক'। এক রাতে সেই খ্রিস্টানের ঘরে আগুন লেগে সে সপরিবারে পুড়ে মারা গেল। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াতগুলো নাজিল হয়েছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments