পদ্মা সেতু-সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে
কিছুদিন আগেও পদ্মা সেতু নিয়ে হতাশার অন্ত ছিল না। বিশেষ করে বিশ্বব্যাংকের তোলা দুর্নীতির অভিযোগ, অর্থায়নে বিলম্ব_ইত্যাদি কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়া পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প নিয়ে নতুন করে আশার আলো দেখা দিয়েছে। একসময় দেশের নিজস্ব অর্থায়নে, দেশের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা ভাবা হয়েছে।
পিপিপির আওতায় পদ্মা সেতু নির্মাণ কতটা যৌক্তিক হবে, সে বিষয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেখা দিয়েছে নতুন আশার আলো। প্রথমে মালয়েশিয়া, পরে চীন এই সেতুর ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। মালয়েশিয়া আগ্রহ প্রকাশের পর বিশ্বব্যাংক ঋণের কার্যকারিতার মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু আর কালক্ষেপণ করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই নতুন যে সম্ভাবনাগুলো দেখা দিয়েছে, সেদিকেই সরকারকে অগ্রসর হতে হবে।
পদ্মা নদীর ওপর একটি সেতু দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। নানা কারণে জনগণের এই দাবি পূরণ করা সম্ভব হয়নি। ওই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এই সেতুর স্বপ্ন যেমন ছিল, তেমনি ছিল এই সেতুকে ঘিরে একটি উন্নত এলাকার স্বপ্ন। একটি সেতু যদি কোনো এক এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায়, যদি এলাকার আবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, তাহলে তেমন একটি সেতুর স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে। দেশের ও এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, জীবনজীবিকার উন্নয়ন ও প্রসার, মানবিক সম্পর্কের উন্নয়ন_কত কিছুর স্বপ্নই জড়িয়ে আছে এর সঙ্গে। জনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের। বিগত জোট সরকারের আমলে পদ্মা সেতু বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে মহাজোটের নির্বচনী অঙ্গীকারেও ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়টি। কিন্তু মহাজোট সরকারের তিন বছরে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় শঙ্কার মেঘ জমে ওই এলাকার মানুষের মনে। পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য একটি ব্যয় ধরা হয়েছিল। নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হওয়ায় হতাশার পাশাপাশি বেড়ে গেছে নির্মাণ ব্যয়ও। গত বছর জানা গিয়েছিল, এ বছরের মার্চে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে উত্তরাঞ্চলের মতো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে আশা ছিল, এই সেতুর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে ট্রান্স-এশিয়ান রুট। মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতিতে পদ্মা সেতু বিশেষ ভূমিকা রাখবে, এমনটিও আশা করা গিয়েছিল। অনেক আশার পদ্মা সেতু ২০১৩ সালের মধ্যে সাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে_ এমনো কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা যায়নি ২০১১ সাল পর্যন্ত। ২০১২ সালের শুরুতেও প্রকল্প নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। কারণ বিশ্বব্যাংক ছিল এই প্রকল্পের প্রধান অর্থ সহায়তাকারী ও সমন্বয়ক। সে ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক কোনো প্রকল্পে অর্থায়ন করা থেকে পিছিয়ে গেলে অন্য উন্নয়ন সহযোগীদের পিছিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক, যে কারণে প্রকল্প পিছিয়েছে। উপরন্তু বিশ্বব্যাংকের মতো প্রভাবশালী একটি সংস্থা অভিযোগ তুললে তার প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়া ও চীন পদ্মা সেতুর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করায় যে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, এটা কাজে লাগাতে হবে।
পদ্মা সেতু নিয়ে অবশ্যই নতুন করে ভাবতে হবে। এই সেতু নির্মাণের বিকল্প নেই। নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সেতু নির্মাণ করতেই হবে। সরকারকে এখন বিবেচনা করতে হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোন সূত্রের অর্থায়ন লাভজনক হবে। দাতা দেশের দেওয়া শর্তের পাশাপাশি বিবেচনা করতে হবে অর্থায়নে আগ্রহী দেশের কারিগরি দক্ষতার দিকটি। এসব দিক বিবেচনা করেই পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে অগ্রসর হতে হবে।
পদ্মা নদীর ওপর একটি সেতু দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। নানা কারণে জনগণের এই দাবি পূরণ করা সম্ভব হয়নি। ওই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এই সেতুর স্বপ্ন যেমন ছিল, তেমনি ছিল এই সেতুকে ঘিরে একটি উন্নত এলাকার স্বপ্ন। একটি সেতু যদি কোনো এক এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায়, যদি এলাকার আবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, তাহলে তেমন একটি সেতুর স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে। দেশের ও এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, জীবনজীবিকার উন্নয়ন ও প্রসার, মানবিক সম্পর্কের উন্নয়ন_কত কিছুর স্বপ্নই জড়িয়ে আছে এর সঙ্গে। জনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের। বিগত জোট সরকারের আমলে পদ্মা সেতু বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে মহাজোটের নির্বচনী অঙ্গীকারেও ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়টি। কিন্তু মহাজোট সরকারের তিন বছরে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় শঙ্কার মেঘ জমে ওই এলাকার মানুষের মনে। পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য একটি ব্যয় ধরা হয়েছিল। নির্মাণ কাজ বিলম্বিত হওয়ায় হতাশার পাশাপাশি বেড়ে গেছে নির্মাণ ব্যয়ও। গত বছর জানা গিয়েছিল, এ বছরের মার্চে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে উত্তরাঞ্চলের মতো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে আশা ছিল, এই সেতুর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে ট্রান্স-এশিয়ান রুট। মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতিতে পদ্মা সেতু বিশেষ ভূমিকা রাখবে, এমনটিও আশা করা গিয়েছিল। অনেক আশার পদ্মা সেতু ২০১৩ সালের মধ্যে সাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে_ এমনো কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা যায়নি ২০১১ সাল পর্যন্ত। ২০১২ সালের শুরুতেও প্রকল্প নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। কারণ বিশ্বব্যাংক ছিল এই প্রকল্পের প্রধান অর্থ সহায়তাকারী ও সমন্বয়ক। সে ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক কোনো প্রকল্পে অর্থায়ন করা থেকে পিছিয়ে গেলে অন্য উন্নয়ন সহযোগীদের পিছিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক, যে কারণে প্রকল্প পিছিয়েছে। উপরন্তু বিশ্বব্যাংকের মতো প্রভাবশালী একটি সংস্থা অভিযোগ তুললে তার প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মালয়েশিয়া ও চীন পদ্মা সেতুর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করায় যে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, এটা কাজে লাগাতে হবে।
পদ্মা সেতু নিয়ে অবশ্যই নতুন করে ভাবতে হবে। এই সেতু নির্মাণের বিকল্প নেই। নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সেতু নির্মাণ করতেই হবে। সরকারকে এখন বিবেচনা করতে হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোন সূত্রের অর্থায়ন লাভজনক হবে। দাতা দেশের দেওয়া শর্তের পাশাপাশি বিবেচনা করতে হবে অর্থায়নে আগ্রহী দেশের কারিগরি দক্ষতার দিকটি। এসব দিক বিবেচনা করেই পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে অগ্রসর হতে হবে।
No comments