ভূমিকম্প :বান্দার প্রতি আল্লাহর হুশিয়ারি by কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক
পৃথিবীতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। যে কম্পের মাত্রা একটু বেশি হয়ে যায় তা আমরা অনুভব করি এবং মাঝে মধ্যে চরমভাবে অনুভব করি। সম্প্রতি সারাদেশ প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে ভূমিকম্পে। আসলে ভূমিকম্প হলো আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা। আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেন, যাতে করে তারা অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর পথে ফিরে আসে।
কোরআন ও সহিহ হাদিসে ভূমিকম্পের বিষয়ে বিশদ বিবরণ রয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে, '(আসলে) আমি ভয় দেখানোর জন্যই (তাদের কাছে আজাবের) নিদর্শনগুলো পাঠাই।' _সূরা ইসরা ১৭ :৫৯
আরও ইরশাদ হচ্ছে, 'বল, আল্লাহতায়ালা তোমাদের ওপর, তোমাদের ওপর থেকে (আসমান থেকে) অথবা তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম অথবা তিনি তোমাদের দল-উপদলে বিভক্ত করে একদলকে আরেক দলের শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাতেও সম্পূর্ণরূপে সক্ষম।' _সূরা আনআম : ৬৫
বুখারী শরিফের বর্ণনায় জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণনা তিনি বলেন : যখন 'তোমাদের ওপর থেকে (আসমান থেকে)' নাজিল হলো তখন রাসূল (সা.) বললেন, 'আমি তোমার সম্মুখ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি' অথবা যখন 'অথবা তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম' নাজিল হলো, তখন তিনি (সা.) বললেন : 'আমি তোমার সম্মুখ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।' _বুখারী
আবুল শায়খ আল ইস্পাহানি এই আয়াতের তাফসিরে বর্ণনা করেন, 'বল, আল্লাহতায়ালা তোমাদের ওপর, তোমাদের ওপর থেকে (আসমান থেকে)' যার ব্যাখ্যা হলো, তীব্র শব্দ, পাথর অথবা ঝড়ো হাওয়া; 'অথবা তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম', যার ব্যাখ্যা হলো, ভূমিকম্প এবং ভূমিধসের মাধ্যমে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঢুকে যাওয়া। নিঃসন্দেহে বর্তমানে যেসব ভূমিকম্প ঘটছে তা মহান আল্লাহর প্রেরিত সতর্ককারী নিদর্শনগুলোর একটি, যা দিয়ে তিনি তাঁর বান্দাদের ভয় দেখিয়ে থাকেন। এই ভূমিকম্প এবং অন্য সব দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার ফলে অনেক ক্ষতি হচ্ছে, অনেকে মারা যাচ্ছেন এবং আহত হচ্ছেন। এই দুর্যোগগুলো আসার কারণ হচ্ছে, শিরকি কার্যকলাপ (ইবাদতের ক্ষেত্রে অন্য কাউকে মহান আল্লাহর অংশীদার বানানো) এবং মানুষের পাপ (মহান আল্লাহ যে কাজগুলো করতে নিষেধ করেছেন সে কাজগুলো করার কারণে)। এক্ষেত্রে মহান আল্লাহ বলেন, '(হে মানুষ) যে বিপদ-আপদই তোমাদের ওপর আসুক না কেন, তা হচ্ছে তোমাদের নিজেদের হাতের কামাই এবং (তা সত্ত্বেও) আল্লাহতায়ালা তোমাদের অনেক (অপরাধ এমনিই) ক্ষমা করে দেন।' (সূরা আশ শূরা : ৩০) আল্লামা ইবনুল কাইউম (রহ.) বলেন, 'মহান আল্লাহ মাঝে মধ্যে পৃথিবীকে জীবন্ত হয়ে ওঠার অনুমতি দেন, যার ফলে তখন বড় ধরনের ভূমিকম্প অনুষ্ঠিত হয়। এটা মানুষগুলোকে ভীত করে, তারা মহান আল্লাহর কাছে তওবা করে, পাপকর্ম করা ছেড়ে দেয়, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে এবং তাদের কৃত পাপকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়।' আগেকার যুগে যখন ভূমিকম্প হতো তখন সঠিক পথে পরিচালিত সৎকর্মশীল লোকেরা বলতেন : 'মহান আল্লাহ তোমাদের সতর্ক করছেন।' যখন কোথাও ভূমিকম্প সংঘটিত হয় অথবা সূর্যগ্রহণ হয়, ঝড়ো বাতাস বা বন্যা হয়, তখন মানুষদের উচিত মহান আল্লাহর কাছে অতি দ্রুত তওবা করা, তাঁর কাছে নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা এবং মহান আল্লাহকে অধিক হারে স্মরণ করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা, যেভাবে রাসূল (সা.) সূর্যগ্রহণ দেখলে বলতেন : 'যদি তুমি এ রকম কিছু দেখে থাক, তখন দ্রুততার সঙ্গে মহান আল্লাহকে স্মরণ কর, তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।' _বুখারী
আরও ইরশাদ হচ্ছে, 'বল, আল্লাহতায়ালা তোমাদের ওপর, তোমাদের ওপর থেকে (আসমান থেকে) অথবা তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম অথবা তিনি তোমাদের দল-উপদলে বিভক্ত করে একদলকে আরেক দলের শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করাতেও সম্পূর্ণরূপে সক্ষম।' _সূরা আনআম : ৬৫
বুখারী শরিফের বর্ণনায় জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণনা তিনি বলেন : যখন 'তোমাদের ওপর থেকে (আসমান থেকে)' নাজিল হলো তখন রাসূল (সা.) বললেন, 'আমি তোমার সম্মুখ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি' অথবা যখন 'অথবা তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম' নাজিল হলো, তখন তিনি (সা.) বললেন : 'আমি তোমার সম্মুখ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।' _বুখারী
আবুল শায়খ আল ইস্পাহানি এই আয়াতের তাফসিরে বর্ণনা করেন, 'বল, আল্লাহতায়ালা তোমাদের ওপর, তোমাদের ওপর থেকে (আসমান থেকে)' যার ব্যাখ্যা হলো, তীব্র শব্দ, পাথর অথবা ঝড়ো হাওয়া; 'অথবা তোমাদের পায়ের নিচ থেকে আজাব পাঠাতে সক্ষম', যার ব্যাখ্যা হলো, ভূমিকম্প এবং ভূমিধসের মাধ্যমে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঢুকে যাওয়া। নিঃসন্দেহে বর্তমানে যেসব ভূমিকম্প ঘটছে তা মহান আল্লাহর প্রেরিত সতর্ককারী নিদর্শনগুলোর একটি, যা দিয়ে তিনি তাঁর বান্দাদের ভয় দেখিয়ে থাকেন। এই ভূমিকম্প এবং অন্য সব দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার ফলে অনেক ক্ষতি হচ্ছে, অনেকে মারা যাচ্ছেন এবং আহত হচ্ছেন। এই দুর্যোগগুলো আসার কারণ হচ্ছে, শিরকি কার্যকলাপ (ইবাদতের ক্ষেত্রে অন্য কাউকে মহান আল্লাহর অংশীদার বানানো) এবং মানুষের পাপ (মহান আল্লাহ যে কাজগুলো করতে নিষেধ করেছেন সে কাজগুলো করার কারণে)। এক্ষেত্রে মহান আল্লাহ বলেন, '(হে মানুষ) যে বিপদ-আপদই তোমাদের ওপর আসুক না কেন, তা হচ্ছে তোমাদের নিজেদের হাতের কামাই এবং (তা সত্ত্বেও) আল্লাহতায়ালা তোমাদের অনেক (অপরাধ এমনিই) ক্ষমা করে দেন।' (সূরা আশ শূরা : ৩০) আল্লামা ইবনুল কাইউম (রহ.) বলেন, 'মহান আল্লাহ মাঝে মধ্যে পৃথিবীকে জীবন্ত হয়ে ওঠার অনুমতি দেন, যার ফলে তখন বড় ধরনের ভূমিকম্প অনুষ্ঠিত হয়। এটা মানুষগুলোকে ভীত করে, তারা মহান আল্লাহর কাছে তওবা করে, পাপকর্ম করা ছেড়ে দেয়, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে এবং তাদের কৃত পাপকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়।' আগেকার যুগে যখন ভূমিকম্প হতো তখন সঠিক পথে পরিচালিত সৎকর্মশীল লোকেরা বলতেন : 'মহান আল্লাহ তোমাদের সতর্ক করছেন।' যখন কোথাও ভূমিকম্প সংঘটিত হয় অথবা সূর্যগ্রহণ হয়, ঝড়ো বাতাস বা বন্যা হয়, তখন মানুষদের উচিত মহান আল্লাহর কাছে অতি দ্রুত তওবা করা, তাঁর কাছে নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা এবং মহান আল্লাহকে অধিক হারে স্মরণ করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা, যেভাবে রাসূল (সা.) সূর্যগ্রহণ দেখলে বলতেন : 'যদি তুমি এ রকম কিছু দেখে থাক, তখন দ্রুততার সঙ্গে মহান আল্লাহকে স্মরণ কর, তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।' _বুখারী
No comments