শেকড়ের ডাক-দুই-তৃতীয়াংশ মাছের প্রজাতি হারিয়ে গেছে by ফরহাদ মাহমুদ
বাংলাদেশ একটি ছোট্ট ভূখণ্ড, অথচ এর রয়েছে বিপুল জনসংখ্যা। তাদের খাদ্য ও বাসস্থানের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে উজাড় হচ্ছে বনভূমি, দখল ও ভরাট হয়ে যাচ্ছে জলাভূমি এবং নদীনালা। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবে পরিকল্পিত উন্নয়ন নেই বললেই চলে। উন্নয়নের নামে চলছে এক ধরনের অরাজকতা।
প্রচুর আইন রয়েছে, কিন্তু আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন নেই। রয়েছে দুর্নীতি-অনিয়মের এক সীমাহীন মহোৎসব। বনখেকো প্রধান বন সংরক্ষকের বাসা থেকে টাকার বালিশ পাওয়া যায়, যেগুলো সংগৃহীত হয়েছিল বন উজাড় করার মাধ্যমে। এসব কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ দেশের উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্য। বাংলাদেশ থেকে শতাধিক প্রজাতির উদ্ভিদ ইতিমধ্যেই হারিয়ে গেছে, বহু বন্য প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ দেশের অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যপূর্ণ মৎস্যসম্পদ। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, গত শতকের মাঝামাঝি সময়েও বাংলাদেশে ছয় শতাধিক প্রজাতির মাছ ছিল বলে জানা যায়। প্রজাতির ঘনত্বের দিক থেকে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বে প্রথম স্থানে। কিন্তু এখন ২০০-র মতো প্রজাতির মাছ কোনো রকমে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। প্রায় ৪০০ প্রজাতির মাছ 'নাই' হয়ে গেছে। আরো ভয়ংকর দিক হচ্ছে, আফ্রিকান মাগুর ও পিরানহার মতো বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতির মাছ এনে চাষ করা হচ্ছে এবং বন্যা ও অন্যান্য উপায়ে সেগুলো ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের জলাভূমিতে। ফলে দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছ। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, এগুলো নিয়ে রাজনীতিবিদদের তো নয়ই, সচেতন নাগরিক সমাজেরও তেমন কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। তাহলে কি বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য বলে কিছুই থাকবে না? এ দেশে কি জীববৈচিত্র্য রক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই?
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১১ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান দেশি প্রজাতির মাছ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মৎস্যচাষিদের দেশি প্রজাতির মাছ চাষ করার কথাও বলেছেন। মৎস্য সপ্তাহ এলে এ ধরনের কিছু আহ্বান আগেও জানানো হয়েছে, এখনো জানানো হচ্ছে। এতেই কি রক্ষা পাবে আমাদের মৎস্যবৈচিত্র্য? কয়েক দশক আগেও নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও সংলগ্ন এলাকায় বিরাট বিরাট মহাশোল ধরা পড়ত। গত দুই দশকেও সেসব এলাকায় কোনো মহাশোল ধরা পড়েছে বলে জানা যায়নি। রুই মাছের মতো দেখতে হলেও লম্বাটে গড়ন এবং রুই মাছের চেয়ে অনেক দীর্ঘ এই মাছ কি হারিয়ে গেছে? আগে গ্রামের জলাশয়ে জাল ফেললে খলসে, বৈঁচা, চাঁদার মতো ছোট ছোট অনেক মাছ ধরা পড়ত। শীতের দিনে রাতে রেঁধে রাখা খলসে বা বৈঁচা মাছের ঘন ঝোল সকালে জমাট বেঁধে থাকত। মাছটির পিঠের দিকটা কালচে হলেও বুকের দিকটা সোনালি, তার মধ্যে রয়েছে গাঢ় রঙের ছিট ও দাগ। অ্যাকোয়ারিয়ামের পানিতে যখন এরা ভেসে বেড়ায়, তখন দেখতে ভারি সুন্দর লাগে। বাঁচেও তারা অনেক দিন। আগে বিলে, জলাভূমিতে প্রচুর মেনি মাছ ধরা পড়ত। সেই মেনি মাছ এখন কোথায়? বিল থেকে চৈত্র মাসে ধরা বুক হলুদ হয়ে যাওয়া কৈ মাছের স্বাদ কি এখন চাষ করা কৈ মাছে পাওয়া যাচ্ছে? প্রশ্নই ওঠে না। শোল, গজার, টাকি, ফলুই, গুজি, রিঠা ইত্যাদি মাছের সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে সেগুলো হারিয়েও যাবে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে?
বাংলাদেশ থেকে দুই-তৃতীয়াংশ মাছের প্রজাতি হারিয়ে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে ক. আবাসভূমি নষ্ট হওয়া, খ. আবাসভূমির আবাসযোগ্যতা না থাকা, গ. অতিরিক্ত আহরণ এবং ঘ. প্রজনন ব্যাহত হওয়া।
ক. আবাসভূমি : আবাসভূমি তথা নদী, জলাশয়, খালবিল, জলাভূমি দ্রুত কমে যাচ্ছে। দেশের অনেক নদী মরে গেছে। অনেক নদীতে শীতকালে পানি থাকে না। পানি ছাড়া মাছ থাকার কথা কি কল্পনা করা যায়? পতিত জলাভূমি এখন নেই বললেই চলে, প্রায় সবই আবাদি ভূমিতে পরিণত হয়েছে। অতিরিক্ত চাষাবাদ ও অতিরিক্ত ভূমিক্ষয়ের কারণে দেশের অধিকাংশ বিল ভরাট হয়ে গেছে। ফলে মাছ তার বিচরণ ও আবাসভূমি ক্রমেই হারিয়ে ফেলছে।
খ. আবাসযোগ্যতা : যেসব বিল বা জলাশয় এখনো অবশিষ্ট আছে, সেখানেও মাছের আবাসযোগ্যতা থাকছে না। পানি দূষণ এখন এত ব্যাপক হয়েছে যে মাছের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। ঢাকার চারপাশের নদীতে এখন মাছ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বুড়িগঙ্গায় এখন মাছ কেন, জলজ পোকাও বেঁচে থাকতে পারে না। গ্রামের বিলগুলোতেও মাছের বেঁচে থাকার মতো পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফসলি জমিতে এখন প্রচুর কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহৃত হয়। বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে সেগুলো গিয়ে বিলে জমা হয়। ফলে বিলের পানিও এখন মাছের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার মতো নেই।
গ. অতিরিক্ত আহরণ : অতিরিক্ত আহরণের কথা আলাদাভাবে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। মাছ তো মাছই, মাছের পোনা পর্যন্ত ছেঁকে তুলে ফেলা হয়। আইন করে, শাস্তি দিয়েও নদীতে জাটকা ধরা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। আর গ্রামাঞ্চলে মাঠেঘাটে, বিল-বাঁওড়ে মাছের পোনা শিকার বন্ধ করা যাবে কী করে! এ জন্য যে জনসচেতনতার প্রয়োজন ছিল, দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের দেশে তা নেই।
ঘ. প্রজনন ব্যাহত হওয়া : এ দেশে মাছ কমে যাওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে বেশি দায়ী। সাগরের ইলিশ যেমন ডিম পাড়ার জন্য নদীতে আসে, তেমনি নদীতে বিচরণকারী প্রচুর মাছ আছে, যেগুলো বর্ষায় প্লাবনভূমিতে চলে আসে ডিম পাড়ার জন্য। মাছের সেই জীবনচক্র এখন নানাভাবে বিঘি্নত হচ্ছে। এখন এত বেশি বাঁধ আর স্লুইস গেট হয়েছে যে নদীর মাছ প্লাবনভূমিতে প্রায় যেতেই পারে না। আবার মাছের পোনা বড় হয়ে ঠিকমতো নদীতে ফিরতে পারে না। এসব কারণে মাছের প্রজনন বহুলাংশে ব্যাহত হচ্ছে। আবার কল-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য, কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে মাছের প্রজনন-ক্ষমতাও হ্রাস পাচ্ছে। মাছ যদি প্রজনন করতে না পারে, বংশ বিস্তার করতে না পারে, তাহলে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধিই হবে কিভাবে? আর তারা অস্তিত্বইবা টিকিয়ে রাখবে কিভাবে?
দেশে মৎস্যসম্পদের উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, কেবল আহ্বান জানিয়ে লাভ হবে না। এ জন্য রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, স্লুইস গেট ইত্যাদি অবকাঠামো নির্মাণের আগে অন্যান্য ক্ষেত্রে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়াগুলো বিবেচনায় নিয়ে সেভাবেই পরিকল্পনা করতে হবে। পানি দূষণ রোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে হবে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শুনে আসছি, বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানোর জন্য হাজারীবাগের ট্যানারি-শিল্প সাভারে সরিয়ে নেওয়া হবে; কিন্তু আজও তা সম্ভব হয়নি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ ধরনের দীর্ঘসূত্রতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা চাই, 'মাছে-ভাতে বাঙালি'_এই পরিচয়টুকু অক্ষুণ্ন থাকুক।
লেখক : সাংবাদিক
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১১ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান দেশি প্রজাতির মাছ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মৎস্যচাষিদের দেশি প্রজাতির মাছ চাষ করার কথাও বলেছেন। মৎস্য সপ্তাহ এলে এ ধরনের কিছু আহ্বান আগেও জানানো হয়েছে, এখনো জানানো হচ্ছে। এতেই কি রক্ষা পাবে আমাদের মৎস্যবৈচিত্র্য? কয়েক দশক আগেও নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও সংলগ্ন এলাকায় বিরাট বিরাট মহাশোল ধরা পড়ত। গত দুই দশকেও সেসব এলাকায় কোনো মহাশোল ধরা পড়েছে বলে জানা যায়নি। রুই মাছের মতো দেখতে হলেও লম্বাটে গড়ন এবং রুই মাছের চেয়ে অনেক দীর্ঘ এই মাছ কি হারিয়ে গেছে? আগে গ্রামের জলাশয়ে জাল ফেললে খলসে, বৈঁচা, চাঁদার মতো ছোট ছোট অনেক মাছ ধরা পড়ত। শীতের দিনে রাতে রেঁধে রাখা খলসে বা বৈঁচা মাছের ঘন ঝোল সকালে জমাট বেঁধে থাকত। মাছটির পিঠের দিকটা কালচে হলেও বুকের দিকটা সোনালি, তার মধ্যে রয়েছে গাঢ় রঙের ছিট ও দাগ। অ্যাকোয়ারিয়ামের পানিতে যখন এরা ভেসে বেড়ায়, তখন দেখতে ভারি সুন্দর লাগে। বাঁচেও তারা অনেক দিন। আগে বিলে, জলাভূমিতে প্রচুর মেনি মাছ ধরা পড়ত। সেই মেনি মাছ এখন কোথায়? বিল থেকে চৈত্র মাসে ধরা বুক হলুদ হয়ে যাওয়া কৈ মাছের স্বাদ কি এখন চাষ করা কৈ মাছে পাওয়া যাচ্ছে? প্রশ্নই ওঠে না। শোল, গজার, টাকি, ফলুই, গুজি, রিঠা ইত্যাদি মাছের সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে সেগুলো হারিয়েও যাবে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে?
বাংলাদেশ থেকে দুই-তৃতীয়াংশ মাছের প্রজাতি হারিয়ে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে ক. আবাসভূমি নষ্ট হওয়া, খ. আবাসভূমির আবাসযোগ্যতা না থাকা, গ. অতিরিক্ত আহরণ এবং ঘ. প্রজনন ব্যাহত হওয়া।
ক. আবাসভূমি : আবাসভূমি তথা নদী, জলাশয়, খালবিল, জলাভূমি দ্রুত কমে যাচ্ছে। দেশের অনেক নদী মরে গেছে। অনেক নদীতে শীতকালে পানি থাকে না। পানি ছাড়া মাছ থাকার কথা কি কল্পনা করা যায়? পতিত জলাভূমি এখন নেই বললেই চলে, প্রায় সবই আবাদি ভূমিতে পরিণত হয়েছে। অতিরিক্ত চাষাবাদ ও অতিরিক্ত ভূমিক্ষয়ের কারণে দেশের অধিকাংশ বিল ভরাট হয়ে গেছে। ফলে মাছ তার বিচরণ ও আবাসভূমি ক্রমেই হারিয়ে ফেলছে।
খ. আবাসযোগ্যতা : যেসব বিল বা জলাশয় এখনো অবশিষ্ট আছে, সেখানেও মাছের আবাসযোগ্যতা থাকছে না। পানি দূষণ এখন এত ব্যাপক হয়েছে যে মাছের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। ঢাকার চারপাশের নদীতে এখন মাছ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বুড়িগঙ্গায় এখন মাছ কেন, জলজ পোকাও বেঁচে থাকতে পারে না। গ্রামের বিলগুলোতেও মাছের বেঁচে থাকার মতো পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফসলি জমিতে এখন প্রচুর কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহৃত হয়। বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে সেগুলো গিয়ে বিলে জমা হয়। ফলে বিলের পানিও এখন মাছের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার মতো নেই।
গ. অতিরিক্ত আহরণ : অতিরিক্ত আহরণের কথা আলাদাভাবে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। মাছ তো মাছই, মাছের পোনা পর্যন্ত ছেঁকে তুলে ফেলা হয়। আইন করে, শাস্তি দিয়েও নদীতে জাটকা ধরা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। আর গ্রামাঞ্চলে মাঠেঘাটে, বিল-বাঁওড়ে মাছের পোনা শিকার বন্ধ করা যাবে কী করে! এ জন্য যে জনসচেতনতার প্রয়োজন ছিল, দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের দেশে তা নেই।
ঘ. প্রজনন ব্যাহত হওয়া : এ দেশে মাছ কমে যাওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে বেশি দায়ী। সাগরের ইলিশ যেমন ডিম পাড়ার জন্য নদীতে আসে, তেমনি নদীতে বিচরণকারী প্রচুর মাছ আছে, যেগুলো বর্ষায় প্লাবনভূমিতে চলে আসে ডিম পাড়ার জন্য। মাছের সেই জীবনচক্র এখন নানাভাবে বিঘি্নত হচ্ছে। এখন এত বেশি বাঁধ আর স্লুইস গেট হয়েছে যে নদীর মাছ প্লাবনভূমিতে প্রায় যেতেই পারে না। আবার মাছের পোনা বড় হয়ে ঠিকমতো নদীতে ফিরতে পারে না। এসব কারণে মাছের প্রজনন বহুলাংশে ব্যাহত হচ্ছে। আবার কল-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য, কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে মাছের প্রজনন-ক্ষমতাও হ্রাস পাচ্ছে। মাছ যদি প্রজনন করতে না পারে, বংশ বিস্তার করতে না পারে, তাহলে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধিই হবে কিভাবে? আর তারা অস্তিত্বইবা টিকিয়ে রাখবে কিভাবে?
দেশে মৎস্যসম্পদের উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, কেবল আহ্বান জানিয়ে লাভ হবে না। এ জন্য রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, স্লুইস গেট ইত্যাদি অবকাঠামো নির্মাণের আগে অন্যান্য ক্ষেত্রে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়াগুলো বিবেচনায় নিয়ে সেভাবেই পরিকল্পনা করতে হবে। পানি দূষণ রোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে হবে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শুনে আসছি, বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানোর জন্য হাজারীবাগের ট্যানারি-শিল্প সাভারে সরিয়ে নেওয়া হবে; কিন্তু আজও তা সম্ভব হয়নি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ ধরনের দীর্ঘসূত্রতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা চাই, 'মাছে-ভাতে বাঙালি'_এই পরিচয়টুকু অক্ষুণ্ন থাকুক।
লেখক : সাংবাদিক
No comments