বাকেরগঞ্জ থানাপুলিশের ভূমিকা নিন্দনীয়-আর কত মেয়ে এভাবে জীবন দেবে?
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথ গ্রামের দশম শ্রেণীর ছাত্রী কমলার আত্মহত্যার ঘটনা কেবল বেদনাদায়ক নয়, উদ্বেগজনকও। তাঁর ওপর নির্যাতনকারী ছয় দুর্বৃত্ত এবং তাদের সহযোগীদের প্রতি জানাই নিন্দা ও ধিক্কার। আর কত মেয়ে এভাবে জীবন দেবে? আইন, রাষ্ট্র, সমাজ কি মুখ বুজে অপরাধীদের আস্ফাালন সহ্য করে যাবে? বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে কাঁদবে?
১৩ অক্টোবর সৌদিপ্রবাসী সাদেক মৃধার মেয়ে কমলাকে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে তারই চাচাতো ভাই নয়ন মৃধা ও তার পাঁচ সহযোগী। কমলার মা ছয়জনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করলেও বিচার পাননি। বরং দুর্বৃত্তরা কমলা ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকলে গত শুক্রবার সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানাপুলিশের ভূমিকা ছিল নিন্দনীয়। তারা কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। আসামিরা যাতে লঘুদণ্ড পায়, সে জন্য ধর্ষণ মামলা না নিয়ে অপহরণচেষ্টার মামলা নেয় থানা। তারা মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষাও করায়নি, যা মামলা প্রমাণের জন্য জরুরি ছিল। আসামিদের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশের ঘটনা জানাজানি হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ফুঁসে উঠেছে। ছাত্রছাত্রীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও অনশন করেছে। আমরাও তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাই এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অপরাধীদের সহায়তাকারী সব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করছি। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না বলে পুলিশ ঠুনকো অজুহাত তুলেছে। আসামিরা যদি পলাতকই থাকবে তারা কীভাবে বাদীকে হুমকি দিচ্ছে?
যে মেয়েটি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে, তাকে আর ফিরে পাওয়া যাবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে আর যাতে কেউ এ ধরনের নৃশংসতার শিকার না হয়, সে জন্য দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারকে কমলার পরিবারের সদস্যদের পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। আর পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। কেননা, তদন্তের দায়িত্ব পুলিশকে দেওয়া হলে সত্য উদ্ঘাটিত হবে না; অসহায় পরিবারটিও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।
এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানাপুলিশের ভূমিকা ছিল নিন্দনীয়। তারা কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। আসামিরা যাতে লঘুদণ্ড পায়, সে জন্য ধর্ষণ মামলা না নিয়ে অপহরণচেষ্টার মামলা নেয় থানা। তারা মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষাও করায়নি, যা মামলা প্রমাণের জন্য জরুরি ছিল। আসামিদের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশের ঘটনা জানাজানি হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ফুঁসে উঠেছে। ছাত্রছাত্রীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও অনশন করেছে। আমরাও তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাই এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অপরাধীদের সহায়তাকারী সব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করছি। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না বলে পুলিশ ঠুনকো অজুহাত তুলেছে। আসামিরা যদি পলাতকই থাকবে তারা কীভাবে বাদীকে হুমকি দিচ্ছে?
যে মেয়েটি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে, তাকে আর ফিরে পাওয়া যাবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে আর যাতে কেউ এ ধরনের নৃশংসতার শিকার না হয়, সে জন্য দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারকে কমলার পরিবারের সদস্যদের পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। আর পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। কেননা, তদন্তের দায়িত্ব পুলিশকে দেওয়া হলে সত্য উদ্ঘাটিত হবে না; অসহায় পরিবারটিও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।
No comments