প্রকাশনায় ডিজিটাল আর্কাইভ by তাপস চৌধুরী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উৎকর্ষের বর্তমান বাস্তবতা মানুষের কাজগুলোকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে আগের চেয়ে বহুগুণ বিভিন্নমুখী কাজ সফলভাবে করাটা এখন সাধারণ বিষয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) প্রয়োগ সীমিত হলেও আইসিটি ব্যবহৃত খাতগুলোতে ইতিমধ্যে মোটা দাগে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন বাংলাদেশে ঘটেছে।
আইসিটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনগ্রসর খাতগুলোকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করে একটি সমন্বিত ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য বর্তমান সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী বছর ২০২১ সালকে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' বাস্তবায়নের টার্গেট বছর নির্ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছে। গ্গ্নোবালাইজেশনের দৌড়ে শামিল হতে এবং এর সুবিধাগুলো ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতাকেই অন্যতম বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশে আমরা এমন একটি ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখছি, যেখানে দেশের সব কার্যক্রম, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে কার্যক্রম ও জনসেবার কাজটি কম্পিউটার, সেলফোন ও ইন্টারনেটনির্ভর প্রযুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হবে। মানুষ যেখানে অপরাধ ও দুর্নীতিমুক্ত একটি জীবন পাবে।
গোটা পৃথিবী ক্রমেই একটি ডিজিটাল প্লানেটে পরিণত হচ্ছে। যেখানে দেশগুলো জ্ঞানভিত্তিক সমাজকে গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি। এ রকম বাস্তবতায় আমাদেরও টিকে থাকার জন্য এ প্রযুক্তির সুবিধাগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য পুস্তক প্রকাশনার ক্ষেত্রে একটি ডিজিটাল আর্কাইভ গড়ে তোলা জরুরি। আর্কাইভটি সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা যেতে পারে। যার রূপ-কাঠামোটি হতে পারে এ রকম_ যেখানে একটি সেন্ট্রাল সার্ভার থাকবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হবে। দেশের পুস্তক ও ডিজিটাল প্রকাশনীগুলোর বর্তমান সময় পর্যন্ত যেসব বই বা ডিজিটাল প্রকাশনা প্রকাশ করেছে সেগুলোকে সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, দর্শন, গণিত, রাজনীতি, অর্থনীতি, বাণিজ্য, ইতিহাস, নৃতত্ত্বের মতো বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেণীকৃত করা হবে। প্রতিটি বইয়ের সারসংক্ষেপে বইটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকবে। এভাবে সব নতুন প্রকাশনাকে এ সার্ভারে নিয়মিত আপডেট করা হবে।
একজন পাঠক বা গবেষককে তার গবেষণার বিষয়ে সহায়ক বইগুলো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে ঘুরে খোঁজ করার দরকার হবে না। শুধু পছন্দের এরিয়াতে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে সার্চ দিয়ে বইটির বিষয়বস্তু, প্রাপ্তিস্থান ও মূল্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
এ ধারণাটি বাস্তবায়ন করার জন্য একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করতে হবে। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইগুলোকে বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রতিটি বইয়ের সারসংক্ষেপ, সূচিপত্র, লেখক, প্রকাশক, প্রাপ্তিস্থান এবং মূল্য সংক্রান্ত তথ্য থাকবে। নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে সার্চ দিলে সংশ্লিষ্ট বইয়ের তালিকা প্রদর্শন করবে। যেমন বাংলাদেশের লোকসঙ্গীতে লালনের প্রভাব বিষয়টি লিখে সার্চ দিলে সংশ্লিষ্ট শিরোনামে সব বইয়ের তালিকা প্রদর্শন করবে। সূচিপত্র দেখে প্রয়োজনীয় বইটি সহজেই চিহ্নিত করে, পরবর্তী সময়ে প্রকাশনা সংস্থা বা লাইব্রেরি থেকে সংগ্রহ করা বা পড়া যাবে। সিস্টেমটি ডেভেলপ করতে পারলে পাঠক বা গবেষক কম পরিশ্রমে এবং স্বল্পতম সময়ে প্রয়োজনীয় বইটি খুঁজে বের করতে পারবেন। এতে গবেষণার জন্য সময় ও ব্যয় দুটিই কমবে। অন্যদিকে এরকম স্বল্পতম সময়ের মধ্যে খুঁজে বের করা সম্ভব হলে বইটির বিক্রি বাড়বে, বাণিজ্যিকভাবে লাভবানও হবে প্রকাশনা সংস্থাগুলো।
ডিজিটাল বাংলাদেশে আমরা এমন একটি ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখছি, যেখানে দেশের সব কার্যক্রম, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-সংস্কৃতি, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে কার্যক্রম ও জনসেবার কাজটি কম্পিউটার, সেলফোন ও ইন্টারনেটনির্ভর প্রযুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হবে। মানুষ যেখানে অপরাধ ও দুর্নীতিমুক্ত একটি জীবন পাবে।
গোটা পৃথিবী ক্রমেই একটি ডিজিটাল প্লানেটে পরিণত হচ্ছে। যেখানে দেশগুলো জ্ঞানভিত্তিক সমাজকে গুরুত্ব দিচ্ছে বেশি। এ রকম বাস্তবতায় আমাদেরও টিকে থাকার জন্য এ প্রযুক্তির সুবিধাগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য পুস্তক প্রকাশনার ক্ষেত্রে একটি ডিজিটাল আর্কাইভ গড়ে তোলা জরুরি। আর্কাইভটি সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা যেতে পারে। যার রূপ-কাঠামোটি হতে পারে এ রকম_ যেখানে একটি সেন্ট্রাল সার্ভার থাকবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হবে। দেশের পুস্তক ও ডিজিটাল প্রকাশনীগুলোর বর্তমান সময় পর্যন্ত যেসব বই বা ডিজিটাল প্রকাশনা প্রকাশ করেছে সেগুলোকে সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, দর্শন, গণিত, রাজনীতি, অর্থনীতি, বাণিজ্য, ইতিহাস, নৃতত্ত্বের মতো বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেণীকৃত করা হবে। প্রতিটি বইয়ের সারসংক্ষেপে বইটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকবে। এভাবে সব নতুন প্রকাশনাকে এ সার্ভারে নিয়মিত আপডেট করা হবে।
একজন পাঠক বা গবেষককে তার গবেষণার বিষয়ে সহায়ক বইগুলো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে ঘুরে ঘুরে খোঁজ করার দরকার হবে না। শুধু পছন্দের এরিয়াতে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে সার্চ দিয়ে বইটির বিষয়বস্তু, প্রাপ্তিস্থান ও মূল্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
এ ধারণাটি বাস্তবায়ন করার জন্য একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করতে হবে। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইগুলোকে বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রতিটি বইয়ের সারসংক্ষেপ, সূচিপত্র, লেখক, প্রকাশক, প্রাপ্তিস্থান এবং মূল্য সংক্রান্ত তথ্য থাকবে। নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে সার্চ দিলে সংশ্লিষ্ট বইয়ের তালিকা প্রদর্শন করবে। যেমন বাংলাদেশের লোকসঙ্গীতে লালনের প্রভাব বিষয়টি লিখে সার্চ দিলে সংশ্লিষ্ট শিরোনামে সব বইয়ের তালিকা প্রদর্শন করবে। সূচিপত্র দেখে প্রয়োজনীয় বইটি সহজেই চিহ্নিত করে, পরবর্তী সময়ে প্রকাশনা সংস্থা বা লাইব্রেরি থেকে সংগ্রহ করা বা পড়া যাবে। সিস্টেমটি ডেভেলপ করতে পারলে পাঠক বা গবেষক কম পরিশ্রমে এবং স্বল্পতম সময়ে প্রয়োজনীয় বইটি খুঁজে বের করতে পারবেন। এতে গবেষণার জন্য সময় ও ব্যয় দুটিই কমবে। অন্যদিকে এরকম স্বল্পতম সময়ের মধ্যে খুঁজে বের করা সম্ভব হলে বইটির বিক্রি বাড়বে, বাণিজ্যিকভাবে লাভবানও হবে প্রকাশনা সংস্থাগুলো।
No comments