গণতন্ত্র ও স্বাবলম্বী রাষ্ট্র by আজিজুর রহমান আযম
বহু চড়াই-উতরাই পার হয়ে ১৯৯০ সালের পর বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়। কিন্তু এর মধ্যে রাজনীতিবিদদের দেশপ্রেম, দক্ষতা, অদূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা ও রাজনৈতিকসুলভ আচার-আচরণের পরিপকস্ফতার অভাবে আমাদের গণতন্ত্র মাঝে মধ্যে হোঁচট খায়। ১/১১-এর পরবর্তী ঘটনা সবারই জানা আছে।
কিন্তু আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এই অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশকে যদি একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী উন্নত একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র হিসেবে সারাবিশ্বে দাঁড় করাতে হয়, তাহলে গণতন্ত্রকে অবশ্যই যে কোনো মূল্যে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আজ যেসব দেশ উন্নতির চরম শিখরে অবস্থান করছে, তা সম্ভব হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা থাকার কারণে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, চীন, জাপানসহ অনেক দেশ দেশপ্রেম, কঠোর পরিশ্রম, দক্ষ জনশক্তি, মানসম্পন্ন শিক্ষা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দক্ষ নেতৃত্ব, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার কারণে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে পেঁৗছে গেছে।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দেখা যায়, শক্তিশালী বিরোধী দল ছায়া সরকারের মতো। বিরোধী দলের দায়িত্ব হলো সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা। এভাবে সরকারি ও বিরোধী দল উভয়ই সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য একান্ত অপরিহার্য। তাই গণতন্ত্রকে সত্যিকারের অর্থবহ করতে হলে সংসদকে সার্বভৌম করতে হবে। সংসদকে সার্বভৌম করলে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে। গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করলে দেশের সুযোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা হবে, হরতাল, জ্বালাও-পোড়াওর ধ্বংসাত্মক রাজনীতি পরিহার হবে, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন হবে, দেশের আইনের শাসন কায়েম হবে, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কার্যাবলি চালিয়ে যেতে পারবে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবে, দক্ষ-মেধাবী লোকের নেতৃত্বে প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠবে, রাষ্ট্রের সব স্তরে জবাবদিহিতা সুনিশ্চিত হবে, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা উন্নত ও শক্তিশালী হবে, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ হবে, দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে, জ্বালানি নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত হবে, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন হবে, নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ যে ঝুঁকিতে রয়েছে তা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারবে।
azam.rahman69@gmail.com
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দেখা যায়, শক্তিশালী বিরোধী দল ছায়া সরকারের মতো। বিরোধী দলের দায়িত্ব হলো সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা। এভাবে সরকারি ও বিরোধী দল উভয়ই সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য একান্ত অপরিহার্য। তাই গণতন্ত্রকে সত্যিকারের অর্থবহ করতে হলে সংসদকে সার্বভৌম করতে হবে। সংসদকে সার্বভৌম করলে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে। গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করলে দেশের সুযোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা হবে, হরতাল, জ্বালাও-পোড়াওর ধ্বংসাত্মক রাজনীতি পরিহার হবে, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন হবে, দেশের আইনের শাসন কায়েম হবে, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কার্যাবলি চালিয়ে যেতে পারবে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবে, দক্ষ-মেধাবী লোকের নেতৃত্বে প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠবে, রাষ্ট্রের সব স্তরে জবাবদিহিতা সুনিশ্চিত হবে, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা উন্নত ও শক্তিশালী হবে, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ হবে, দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে, জ্বালানি নিরাপত্তা অবশ্যই নিশ্চিত হবে, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন হবে, নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ যে ঝুঁকিতে রয়েছে তা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারবে।
azam.rahman69@gmail.com
No comments