ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করুন-বিদ্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ
গত শনিবার রাজধানীর মিরপুরের বিসিআইসি স্কুলের একটি শ্রেণীকক্ষে ককটেল বিস্ফোরণে তিন শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক। স্কুলটির প্রধান শিক্ষকের ভাষ্য অনুযায়ী, স্কুলভবনের প্রধান ফটক ও শ্রেণীকক্ষগুলো তালাবদ্ধ থাকে, বহিরাগত কারোর পক্ষে কোনো শ্রেণীকক্ষে আগে থেকে ককটেল পেতে রাখা সম্ভব নয়। তাহলে কী করে একটি শ্রেণীকক্ষে ককটেল বিস্ফোরিত হলো, এ প্রশ্নটি থেকে যাচ্ছে।
ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য আট সদস্যের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। আমরা আশা করছি, অচিরেই তদন্তের কাজ শেষ হবে, জানা যাবে সুরক্ষিত একটি বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে কী করে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে, কারা কী উদ্দেশ্যে এটি ঘটিয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ওই বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন, ককটেল বিস্ফোরণে আহত তিন কিশোর শিক্ষার্থীকে দেখতে তিনি হাসপাতালেও গিয়েছিলেন। অর্থাৎ ঘটনাটি সরকারের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে। মন্ত্রী এ-ও বলেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। মিরপুরের শাহ আলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। সে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পুলিশের এই চেষ্টার ফল যেন দ্রুত পাওয়া যায়, সেদিকে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি রাখা উচিত। কারণ এই ঘটনায় বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। বিদ্যালয়ে এখন পুলিশি পাহারা চলছে, তাতেও স্বস্তি ও নির্ভয় ফেরেনি। রোববার অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যায়নি। শঙ্কিত মা-বাবারা স্বভাবতই সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিদ্যালয়ে পাঠাননি।
কিন্তু শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় যে বিঘ্ন ঘটছে, তা বেশি দিন চলা উচিত নয়। তাই এ অবস্থার দ্রুত অবসান ঘটানো প্রয়োজন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ ফিরিয়ে আনতে হলে প্রথমেই দরকার এটা পরিষ্কারভাবে সবাইকে জানানো যে শনিবারের ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, কারা কী উদ্দেশ্যে তা ঘটিয়েছে। তারপর নিশ্চিত করতে হবে অপরাধীদের বিচার। একই সঙ্গে জোরালো করতে হবে নিরাপত্তাব্যবস্থা, যেন ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ওই বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন, ককটেল বিস্ফোরণে আহত তিন কিশোর শিক্ষার্থীকে দেখতে তিনি হাসপাতালেও গিয়েছিলেন। অর্থাৎ ঘটনাটি সরকারের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে। মন্ত্রী এ-ও বলেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। মিরপুরের শাহ আলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। সে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পুলিশের এই চেষ্টার ফল যেন দ্রুত পাওয়া যায়, সেদিকে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি রাখা উচিত। কারণ এই ঘটনায় বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। বিদ্যালয়ে এখন পুলিশি পাহারা চলছে, তাতেও স্বস্তি ও নির্ভয় ফেরেনি। রোববার অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যায়নি। শঙ্কিত মা-বাবারা স্বভাবতই সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিদ্যালয়ে পাঠাননি।
কিন্তু শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় যে বিঘ্ন ঘটছে, তা বেশি দিন চলা উচিত নয়। তাই এ অবস্থার দ্রুত অবসান ঘটানো প্রয়োজন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ ফিরিয়ে আনতে হলে প্রথমেই দরকার এটা পরিষ্কারভাবে সবাইকে জানানো যে শনিবারের ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, কারা কী উদ্দেশ্যে তা ঘটিয়েছে। তারপর নিশ্চিত করতে হবে অপরাধীদের বিচার। একই সঙ্গে জোরালো করতে হবে নিরাপত্তাব্যবস্থা, যেন ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
No comments