সংবাদ সম্মেলনে খোকা-ঢাকা না ভেঙে নির্বাচন দিন, প্রার্থী হবো না
ঢাকা সিটি করপোরেশনকে না ভেঙে অবিলম্বে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা। একই সঙ্গে অবিভক্ত সিটির স্বার্থে আগামীতে প্রার্থী না হওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি। বলেন, 'সুশীল সমাজ, ডিসিসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সমগ্র নগরবাসীর আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানিয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি_ ঢাকাকে বিভক্ত না করে অবিলম্বে নির্বাচন দিন। আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না।
এটিই আমার আকুতি।' খোকা বলেন, তিনি তার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। সরকার চাইলে এ বিষয়ে তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে
মেয়র পদে থাকা সাদেক হোসেন খোকা তার মেয়াদে নানা উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি নানা ব্যর্থতার দায়ও স্বীকার করেন।
২০০২ সালের ১৫ মে এই করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন খোকা। তিনি দ্বিতীয় নির্বাচিত মেয়র। প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগেই তার মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু নির্বাচন না হওয়ায় এখন মেয়রের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।
শুক্রবার রাত থেকে গুঞ্জন ছিল_ ঢাকা দ্বিখণ্ডিত করার প্রতিবাদে সাদেক হোসেন খোকা মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের কথা নাকচ করে মেয়র বলেন, তিনি অবিভক্ত ঢাকার মেয়র। যতক্ষণ পর্যন্ত সিটি করপোরেশন দ্বিখণ্ডিত হবে না, ততক্ষণ তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই পদত্যাগ করবেন।
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, দীর্ঘদিন কোনো জনপ্রতিনিধি ক্ষমতায় থাকলে তার জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। তার ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টো। এ জন্য সরকার নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। তাকে সরিয়ে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করতে চাইছে। কারণ নির্বাচনে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বী করার মতো আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই। বিদ্যমান আইনে প্রশাসক নিয়োগ করার সুযোগ নেই।
দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগেই করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রেস ক্লাবে জড়ো হতে শুরু করেন। তাদের উপস্থিতিতে খোকা বলেন, সরকার 'বিনা মেঘে বজ্রপাতের' মতো সিটি করপোরেশনকে দুুই ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 'উদ্ভট' এ পদক্ষেপ নাগরিকদের জন্য সহায়ক হওয়ার পরিবর্তে বিপর্যয় ডেকে আনবে। এ সিদ্ধান্তে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত তোগলকি কা । সিটি করপোরেশন বিভক্ত করার আয়োজন বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। ঢাকাকে দুই ভাগ করা হলে আগামীতে ক্ষমতায় এলে অখ তা ফিরিয়ে আনা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে কেউ এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তারা চিন্তা-ভাবনা করছেন। মামলার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সরকার তার অনুরোধে সাড়া দিয়ে ডিসিসিকে দ্বিখণ্ডিত করা থেকে বিরত থাকবে।
প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করতে গত ২৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদে একটি বিল উত্থাপন করা হয়। এর আগে এ প্রস্তাবে সম্মতি দেয় মন্ত্রিপরিষদ। ঢাকার ৯২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬টি নিয়ে দক্ষিণে একটি এবং ৩৬টি ওয়ার্ড নিয়ে উত্তরে আরেকটি সিটি করপোরেশন গঠনের কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। বিলটি পাস হলে বর্তমান সিটি করপোরেশন বিলুপ্ত হবে এবং পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দুটি সিটি করপোরেশনের জন্য দুই জন প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। ফলে বর্তমান মেয়র এবং কাউন্সিলররা আর তাদের পদে বহাল থাকতে পারবেন না।
তিনি বলেন, সৌন্দর্যবর্ধন, সবুজায়ন, ডেঙ্গু প্রতিরোধসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে গণমাধ্যমসহ সুশীল সমাজকে সম্পৃক্ত করে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। যে কারণে ঢাকা বিভক্তির প্রশ্নে সর্বস্তরের নগরবাসীসহ নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের সুস্পষ্ট বিরোধিতা সত্ত্বেও সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে দু'ভাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মেয়র বলেন, প্রথম থেকেই দলমত নির্বিশেষ সবাই এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছে। কাউন্সিলররা মানববন্ধন, মুক্ত আলোচনা করেছেন। এ আন্দোলনের সঙ্গে তিনি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন পাস হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবুল বাশার, মকবুল আহমেদ আকন্দ, আবদুল লতিফ, শামসুল হুদাসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে
মেয়র পদে থাকা সাদেক হোসেন খোকা তার মেয়াদে নানা উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি নানা ব্যর্থতার দায়ও স্বীকার করেন।
২০০২ সালের ১৫ মে এই করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন খোকা। তিনি দ্বিতীয় নির্বাচিত মেয়র। প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগেই তার মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু নির্বাচন না হওয়ায় এখন মেয়রের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান।
শুক্রবার রাত থেকে গুঞ্জন ছিল_ ঢাকা দ্বিখণ্ডিত করার প্রতিবাদে সাদেক হোসেন খোকা মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের কথা নাকচ করে মেয়র বলেন, তিনি অবিভক্ত ঢাকার মেয়র। যতক্ষণ পর্যন্ত সিটি করপোরেশন দ্বিখণ্ডিত হবে না, ততক্ষণ তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই পদত্যাগ করবেন।
বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, দীর্ঘদিন কোনো জনপ্রতিনিধি ক্ষমতায় থাকলে তার জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। তার ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টো। এ জন্য সরকার নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। তাকে সরিয়ে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করতে চাইছে। কারণ নির্বাচনে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বী করার মতো আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই। বিদ্যমান আইনে প্রশাসক নিয়োগ করার সুযোগ নেই।
দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগেই করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রেস ক্লাবে জড়ো হতে শুরু করেন। তাদের উপস্থিতিতে খোকা বলেন, সরকার 'বিনা মেঘে বজ্রপাতের' মতো সিটি করপোরেশনকে দুুই ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 'উদ্ভট' এ পদক্ষেপ নাগরিকদের জন্য সহায়ক হওয়ার পরিবর্তে বিপর্যয় ডেকে আনবে। এ সিদ্ধান্তে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত তোগলকি কা । সিটি করপোরেশন বিভক্ত করার আয়োজন বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। ঢাকাকে দুই ভাগ করা হলে আগামীতে ক্ষমতায় এলে অখ তা ফিরিয়ে আনা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে কেউ এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তারা চিন্তা-ভাবনা করছেন। মামলার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সরকার তার অনুরোধে সাড়া দিয়ে ডিসিসিকে দ্বিখণ্ডিত করা থেকে বিরত থাকবে।
প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করতে গত ২৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদে একটি বিল উত্থাপন করা হয়। এর আগে এ প্রস্তাবে সম্মতি দেয় মন্ত্রিপরিষদ। ঢাকার ৯২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬টি নিয়ে দক্ষিণে একটি এবং ৩৬টি ওয়ার্ড নিয়ে উত্তরে আরেকটি সিটি করপোরেশন গঠনের কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে। বিলটি পাস হলে বর্তমান সিটি করপোরেশন বিলুপ্ত হবে এবং পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দুটি সিটি করপোরেশনের জন্য দুই জন প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। ফলে বর্তমান মেয়র এবং কাউন্সিলররা আর তাদের পদে বহাল থাকতে পারবেন না।
তিনি বলেন, সৌন্দর্যবর্ধন, সবুজায়ন, ডেঙ্গু প্রতিরোধসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে গণমাধ্যমসহ সুশীল সমাজকে সম্পৃক্ত করে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। যে কারণে ঢাকা বিভক্তির প্রশ্নে সর্বস্তরের নগরবাসীসহ নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের সুস্পষ্ট বিরোধিতা সত্ত্বেও সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে দু'ভাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মেয়র বলেন, প্রথম থেকেই দলমত নির্বিশেষ সবাই এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছে। কাউন্সিলররা মানববন্ধন, মুক্ত আলোচনা করেছেন। এ আন্দোলনের সঙ্গে তিনি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন পাস হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবুল বাশার, মকবুল আহমেদ আকন্দ, আবদুল লতিফ, শামসুল হুদাসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
No comments