মুখোমুখি প্রতিদিন-সভায় না এসে তিনি নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করেছেন

নেক আগে থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় কাল তা রূপ নিয়েছে গণবিস্ফোরণে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন থেকে শাহ আলমের বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। কেন এ দাবি? এ বিষয় জানতেই কালের কণ্ঠ স্পোর্টস মুখোমুখি হয়েছিল অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সহসভাপতি আলী ইমাম তপন-এর


কালের কণ্ঠ স্পোর্টস : প্রতি বছরই তো বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু তিন বছরে এই প্রথমবারের মতো আপনারা এ সভা আয়োজন করলেন, তাই না?
আলী ইমাম তপন : এই কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু প্রায় তিন বছর পার হলেও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমের কারণে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। সভাপতির ঐকান্তিক চেষ্টায় অবশেষে আমরা এ সভা আয়োজন করতে পেরেছি।
প্রশ্ন : সভায় কি নিয়ে আলোচনা করলেন আপনারা, একটু বলবেন?
তপন : তৃণমূলে অ্যাথলেটিকসকে চাঙা করতে আমরা ঢাকার আশপাশে ফুটবল ক্রিকেটের মতো একটি একাডেমী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর নাম হবে 'মরহুম শেখ কামাল অ্যাথলেটিকস একাডেমী'। এ ছাড়া বার্ষিক সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্র নিয়েও সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
প্রশ্ন : কিন্তু বিবিধ আলোচনায় নাকি সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে?
তপন : আসলে তাঁর বিরুদ্ধে একসঙ্গে অনেক অভিযোগ। গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, আর্থিক অনিয়ম, ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে ফেডারেশন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন : অভিযোগগুলোর ব্যাপারে আরেকটু বিস্তারিত বলবেন?
তপন : নির্বাহী কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পরও তিনি বার্ষিক সাধারণ সভা স্থগিত করতে বলেছিলেন। সব কাউন্সিলর ও জেলাগুলোতে বার্ষিক সাধারণ সভার ব্যাপারে চিঠি দেওয়ার পর সভার কয়েক দিন আগে শাহ আলম কাউকে না জানিয়েই বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে না বলে প্রত্যেকটা জেলায় ও কাউন্সিলরদের কাছে চিঠি দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি যখন হজ করতে গিয়েছিলেন তখন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ছিল যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুর মোর্শেদের কাঁধে। ওই সময়ই বেরিয়ে এসেছে তিনি কিভাবে ফেডারেশনের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমরা এ ব্যাপারে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব দেননি। বরং আজ বার্ষিক সাধারণ সভায় না এসে নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করেছেন।
প্রশ্ন : কিন্তু তিনি অভিযোগ করেছেন সভায় কোরামও পূর্ণ হয়নি?
তপন : এটা একেবারেই মিথ্যে কথা। ৯৮ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৫০ জনের বেশি সভায় উপস্থিত ছিলেন। অনেক সদস্য আবার দেশের বাইরে আছেন। কিন্তু তাঁরা ফোন করে এমন সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এবার আপনারাই বলুন কোরাম পূর্ণ হয়েছে কি না।
প্রশ্ন : তিনি তো মামলা করবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন!
তপন : তিনি সামাজিকভাবে হেয় হবেন বলে এখনো আমরা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করিনি। কিন্তু নির্বাহী কমিটির সভায় তাঁর আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে। এসএ গেমসে কত টাকা খরচ হয়েছে, এমন সব ব্যাপারে এখন পর্যন্ত তিনি কাউকে জানাননি। এ ছাড়া ফেডারেশনের অফিস সহকারী আহমেদ হোসেনকে দিয়ে তিনি বেশ কিছু ফাইল গায়েব করিয়ে ফেলেছেন। আমরা এসব ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।

No comments

Powered by Blogger.