নাম তার সালমা by হাসনাত মুনীর
সালমা খাতুন', সাদামাটা নাম। কিন্তু রবি ঠাকুরের 'সাধারণ মেয়ে' কবিতার সেই অসাধারণ চরিত্রের মতো! অযত্নে বেড়ে ওঠা ফুল, কিন্তু সৌরভ ছড়াতে যার জুড়ি মেলা ভার। নয়তো কী? খুলনার অজপাড়াগাঁয়ের অতি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা সালমার হাত ধরেই যে ২৪-১১-১১ তারিখটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ইতিহাস হয়ে থাকল। ওই দিনই যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের দ্বিতীয় প্লে-অফ ম্যাচে ৯ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা পেয়েছে ওয়ানডে স্ট্যাটাস!
এমন প্রাপ্তির দিনে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়কের মুকুট ছিল সালমার মাথায়। আজও সে মুকুট তার মাথাতেই আছে কিন্তু এ আসন যে চিরস্থায়ী নয়। ঘড়ির কাঁটায় চড়ে দিন-মাস-বছর যাবে, আজকের ২১ বছর বয়সী সালমা বুড়িয়ে যাবেন একদিন। মাথা থেকে খসে পড়বে অধিনায়কের তাজ। কিন্তু নাতি-পুতিদের কাছে সে সময়ও সালমা গর্বের সুরে বলতে পারবেন 'বাংলাদেশের মেয়েদের ওয়ানডে স্ট্যাটাস উপহার দেওয়া অধিনায়ক ছিলাম আমিই।'
সে সময় কি আরও পেছনের ইতিহাস মনে পড়বে সালমার? নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম। মানে জন্মসূত্রে দারিদ্র্যের সঙ্গে কঠিন লড়াই চালিয়ে যাওয়া জীবন। জীবিকার প্রয়োজন, খেলার নেশা একসঙ্গে নিয়ে ছুটেছিলেন। ব্যাট-বলের সঙ্গে গড়ে উঠল সখ্য। এরপর অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে জাতীয় দলে সুযোগ। অধিনায়ক হওয়া। হার-জিতের সঙ্গে নিরন্তর লড়াই করতে করতে এক সময় আপন লক্ষ্যে পেঁৗছে যাওয়া পথিক তিনি। চওড়া গলায় পিছু ফেরা দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করতেই পারেন সালমা। এ গল্পগুলোই যে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা মেয়েদের পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসার, শতদলে মেলে ধরার অনুপ্রেরণা জোগাবে অনাগত আগামীতে।
ওয়ানডে স্ট্যাটাস নিশ্চিত করা ম্যাচে উল্লেখ করার মতো ব্যাটিং-বোলিং কোনোটাই হয়নি সালমার। বল হাতে ২৩ রান খরচের বিনিময়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। যুক্তরাষ্ট্র ৭৮ রানে অল আউট হওয়ায় আর শুকতারা রহমান ও ফারজানা হক মিলিয়ে সহজ লক্ষ্যে পেঁৗছে যাওয়ায় ব্যাট হাতে নামার সুযোগই পাননি তিনি। কিন্তু তাতে কী? বাছাই পর্বের আগের ম্যাচগুলোতে সতীর্থদের তুলনায় যে সালমাই ছিলেন আপন আলোয় উদ্ভাসিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান। ৬ ম্যাচে মোট ১২৯ রান তুলেছেন তিনি। এর মধ্যে আছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে উপহার দেওয়া সেই ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। যে ইনিংসটির সুবাদে পাওয়া জয় বাংলাদেশের ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার স্বপ্ন পূরণের পথে ছিল দ্বিতীয় পদক্ষেপ। তার আগের ম্যাচে বল হাতেও জাপানকে স্রেফ খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ডান হাতের মায়াবী স্পিনে শিকার করেছিলেন জাপানের ৫টি উইকেট। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ নভেম্বরের ম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েদের প্রথম আইসিসি স্বীকৃত ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়ে সালমা এখন এই 'প্রথম'-এর বৃত্তে লিপুর পাশাপাশি। সত্যিই সাধারণে কী অসাধারণ-ই না সালমা।
সে সময় কি আরও পেছনের ইতিহাস মনে পড়বে সালমার? নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম। মানে জন্মসূত্রে দারিদ্র্যের সঙ্গে কঠিন লড়াই চালিয়ে যাওয়া জীবন। জীবিকার প্রয়োজন, খেলার নেশা একসঙ্গে নিয়ে ছুটেছিলেন। ব্যাট-বলের সঙ্গে গড়ে উঠল সখ্য। এরপর অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে জাতীয় দলে সুযোগ। অধিনায়ক হওয়া। হার-জিতের সঙ্গে নিরন্তর লড়াই করতে করতে এক সময় আপন লক্ষ্যে পেঁৗছে যাওয়া পথিক তিনি। চওড়া গলায় পিছু ফেরা দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করতেই পারেন সালমা। এ গল্পগুলোই যে বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা মেয়েদের পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসার, শতদলে মেলে ধরার অনুপ্রেরণা জোগাবে অনাগত আগামীতে।
ওয়ানডে স্ট্যাটাস নিশ্চিত করা ম্যাচে উল্লেখ করার মতো ব্যাটিং-বোলিং কোনোটাই হয়নি সালমার। বল হাতে ২৩ রান খরচের বিনিময়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। যুক্তরাষ্ট্র ৭৮ রানে অল আউট হওয়ায় আর শুকতারা রহমান ও ফারজানা হক মিলিয়ে সহজ লক্ষ্যে পেঁৗছে যাওয়ায় ব্যাট হাতে নামার সুযোগই পাননি তিনি। কিন্তু তাতে কী? বাছাই পর্বের আগের ম্যাচগুলোতে সতীর্থদের তুলনায় যে সালমাই ছিলেন আপন আলোয় উদ্ভাসিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান। ৬ ম্যাচে মোট ১২৯ রান তুলেছেন তিনি। এর মধ্যে আছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে উপহার দেওয়া সেই ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। যে ইনিংসটির সুবাদে পাওয়া জয় বাংলাদেশের ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার স্বপ্ন পূরণের পথে ছিল দ্বিতীয় পদক্ষেপ। তার আগের ম্যাচে বল হাতেও জাপানকে স্রেফ খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ডান হাতের মায়াবী স্পিনে শিকার করেছিলেন জাপানের ৫টি উইকেট। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ নভেম্বরের ম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েদের প্রথম আইসিসি স্বীকৃত ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়ে সালমা এখন এই 'প্রথম'-এর বৃত্তে লিপুর পাশাপাশি। সত্যিই সাধারণে কী অসাধারণ-ই না সালমা।
No comments