গল্প অন্তরাল-নায়িকা শুনে অবাক হয়েছিলাম
গতকাল মুক্তি পেয়েছে শাহীন-সুমনের পরিচালনায় 'অংক'। এ ছবির মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর আবার নায়িকা চরিত্রে ফিরেছেন সুলতানা পারভীন দিতি। ছবিটি নিয়ে আজ অন্তরালের গল্প বলেছেন তিনি।গত বছরের প্রথম দিকের কথা। পরিচালক শাহীন আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, 'ম্যাডাম, আপনাকে নিয়ে নতুন একটি চরিত্র ভেবেছি। আপনি রাজি থাকলে শিগগিরই কাজ শুরু করব।' আমি ভাবলাম, কী আর নতুন চরিত্র, সেই ভাবি অথবা বোন।
বললাম, ঠিক আছে, পাণ্ডুলিপিটা আগে একবার দেখিয়ে নিন। তারপর না হয় কাজ শুরু করব। পরদিনই শাহীন আমার কাছে পাণ্ডুলিপি পাঠিয়ে দিলেন। আমি প্রথমবার পড়ে অবাক হলাম। এ কী, আমাকে তো নায়িকা চরিত্রে ভাবছেন তিনি! তাহলে নায়ক কে? তা ছাড়া এ মুহূর্তে আমার বিপরীতে কাজ করার মতো কি কেউ আছে? শাহীনকে ফোন দিলাম। জানতে চাইলাম 'আচ্ছা, আমাকে যে চরিত্রে আপনি পছন্দ করেছেন, সেটি তো নায়িকা। তাহলে নায়ক কে হবে?' শাহীন প্রশ্ন শুনে হাসলেন। বললেন, 'আপনি বলেন কাকে নেব?' তাঁর এমন প্রশ্নে আমি আরো বেশি অবাক হলাম। তবে একটু শক্ত হয়ে বললাম, 'মজা না করে বলেন তো নায়ক কে?' শাহীন একবারে বললেন, 'ডিপজল।'
ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছিল গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। শুটিং করতে গিয়ে আমরা পুরো ইউনিট অনেক মজা করেছিলাম। বিশেষ করে আমার চরিত্রটি নিয়ে সবাই ডিপজলকে অনেক খেপিয়েছিল। ছবিতে আমি তার বউ থাকি। সে বাইরে অনেক নামডাকওয়ালা মানুষ। তাকে সবাই অনেক ভয় পায়। কিন্তু ঘরে এলে আমার কাছে সে পাত্তাই পায় না। তাকে দিয়ে আমি মসলা বাটা থেকে শুরু করে জামাকাপড় পর্যন্ত পরিষ্কার করে নিই। এ নিয়ে খুব মন খারাপ থাকে তার। আমাদের এমন খুনসুটি নিয়ে একটা মজার গানও আছে ছবিতে। আসলে গল্পের প্রথম দিকে যতটা মজা আছে, শেষ দিকে ঠিক ততটা উত্তেজনাও আছে। একসময় আমি আর ডিপজল একটা সন্তানের জন্য পাগল হয়ে যাই, তেমনি অন্য চরিত্রগুলোও মোড় নিতে থাকে ভিন্ন দিকে। তবে ছবির শেষ দৃশ্যে সব কিছুর পরিণতি ঘটে, যেটা সিনেমার নিয়ম।
আমি মনেপ্রাণে চাচ্ছি ছবিটি ব্যবসাসফল হোক। কারণ ছবিটির বাজেট, আয়োজন, লোকেশন_সব কিছুতেই রয়েছে ভিন্নতা। তা ছাড়া মারুফ, রত্না, সাহারা, ইমন ও মিশা সওদাগরের মতো শিল্পীরা সবাই তাঁদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। শুধু তা-ই নয়, এ ছবির মাধ্যমে অনেক দিন পর আবার আমি নায়িকা হিসেবে ফিরে এসেছি। তাই আশা করছি, সবার কাছে ছবিটি ভালো লাগবে।
অনুলিখন : সুদীপ কুমার দীপ
ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছিল গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। শুটিং করতে গিয়ে আমরা পুরো ইউনিট অনেক মজা করেছিলাম। বিশেষ করে আমার চরিত্রটি নিয়ে সবাই ডিপজলকে অনেক খেপিয়েছিল। ছবিতে আমি তার বউ থাকি। সে বাইরে অনেক নামডাকওয়ালা মানুষ। তাকে সবাই অনেক ভয় পায়। কিন্তু ঘরে এলে আমার কাছে সে পাত্তাই পায় না। তাকে দিয়ে আমি মসলা বাটা থেকে শুরু করে জামাকাপড় পর্যন্ত পরিষ্কার করে নিই। এ নিয়ে খুব মন খারাপ থাকে তার। আমাদের এমন খুনসুটি নিয়ে একটা মজার গানও আছে ছবিতে। আসলে গল্পের প্রথম দিকে যতটা মজা আছে, শেষ দিকে ঠিক ততটা উত্তেজনাও আছে। একসময় আমি আর ডিপজল একটা সন্তানের জন্য পাগল হয়ে যাই, তেমনি অন্য চরিত্রগুলোও মোড় নিতে থাকে ভিন্ন দিকে। তবে ছবির শেষ দৃশ্যে সব কিছুর পরিণতি ঘটে, যেটা সিনেমার নিয়ম।
আমি মনেপ্রাণে চাচ্ছি ছবিটি ব্যবসাসফল হোক। কারণ ছবিটির বাজেট, আয়োজন, লোকেশন_সব কিছুতেই রয়েছে ভিন্নতা। তা ছাড়া মারুফ, রত্না, সাহারা, ইমন ও মিশা সওদাগরের মতো শিল্পীরা সবাই তাঁদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। শুধু তা-ই নয়, এ ছবির মাধ্যমে অনেক দিন পর আবার আমি নায়িকা হিসেবে ফিরে এসেছি। তাই আশা করছি, সবার কাছে ছবিটি ভালো লাগবে।
অনুলিখন : সুদীপ কুমার দীপ
No comments