গুচ্ছবোমা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব জাতিসংঘে প্রত্যাখ্যান
গুচ্ছবোমা নিয়ন্ত্রণবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘ। গত শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘ দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রস্তাবের বিপক্ষে ৫০টি দেশ অবস্থান নেয়। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হয়। এ ঘটনাকে 'গভীর হতাশাজনক' বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মানবাধিকারকর্মীরা জাতিসংঘের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
গুচ্ছবোমা নিষিদ্ধ-সংক্রান্ত জাতিসংঘের একটি সনদ রয়েছে। ২০০৮ সালে অসলোয় স্বাক্ষরিত 'কনভেনশন অন ক্লাস্টার মিউনিশনস-এর অধীনে গুচ্ছবোমা উৎপাদন, স্থানান্তর ও এর ব্যবহার নিষিদ্ধ। ১১১টি দেশ এ সনদে সই করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন এতে সই করেনি।
গুচ্ছবোমা নিষিদ্ধ-সংক্রান্ত সনদ থাকার পরও যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাবের কঠোর সমালোচনায় সরব হন মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা দাবি করেন, এ ধরনের পদক্ষেপ বিদ্যমান মানবাধিকার আইনের নজিরবিহীন বৈপরীত্য। বিদ্যমান নিষিদ্ধ-সংক্রান্ত বিধানকে পাশ কাটিয়ে নিয়ন্ত্রণ আরোপের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কোনোভাবেই ঠিক হবে না।
তবে নিজেদের প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি ছিল, ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ গুচ্ছবোমার মজুদ যেসব দেশের হাতে, তারা অসলো কনভেনশনে সই করেনি। তারা এতে সহসা সই করবে_এমন কোনো লক্ষণও নেই। তাই নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা দরকার। পাশাপাশি গুচ্ছবোমার পক্ষে মার্কিন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে একসঙ্গে আঘাত করার জন্য এর দরকার রয়েছে। আধুনিক সামরিক বাহিনীর জন্য এটি প্রয়োজনীয় উপাদান।
তবে বিরোধীরা বলছেন, গুচ্ছবোমা যেহেতু বাছবিচারহীনভাবে একটি বিস্তৃত এলাকায় আঘাত হানে, তাই এটি নিষিদ্ধ রাখতে হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার, জরুরি ত্রাণ ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থার প্রধান বলেন, গুচ্ছবোমা বিশেষভাবে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, খেলনার মতো আকৃতির ও রঙিন এ বোমা দেখে তারা আকৃষ্ট হয়।
মানবাধিকারকর্মীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন গুচ্ছবোমার উৎপাদন ও ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে কথা বলছে। এর মাধ্যমে আসলে তারা ভয়াবহ এ বোমার বৈধতা দিতে চাইছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডাবি্লউ) স্টিভ গুজ বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারত, ইসরায়েল ও বেলারুসের মতো দেশগুলো কোনো একটি প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়, তার কতগুলোর বিফলতা দেখেন আপনারা? এ যাত্রায় তাদের ব্যর্থতার কারণ, অসলো কনভেনশনকে তারা টেক্কা দিতে চাইছিল।' সূত্র : বিবিসি, জিনিউজ।
গুচ্ছবোমা নিষিদ্ধ-সংক্রান্ত সনদ থাকার পরও যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাবের কঠোর সমালোচনায় সরব হন মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা দাবি করেন, এ ধরনের পদক্ষেপ বিদ্যমান মানবাধিকার আইনের নজিরবিহীন বৈপরীত্য। বিদ্যমান নিষিদ্ধ-সংক্রান্ত বিধানকে পাশ কাটিয়ে নিয়ন্ত্রণ আরোপের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কোনোভাবেই ঠিক হবে না।
তবে নিজেদের প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি ছিল, ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ গুচ্ছবোমার মজুদ যেসব দেশের হাতে, তারা অসলো কনভেনশনে সই করেনি। তারা এতে সহসা সই করবে_এমন কোনো লক্ষণও নেই। তাই নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা দরকার। পাশাপাশি গুচ্ছবোমার পক্ষে মার্কিন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে একসঙ্গে আঘাত করার জন্য এর দরকার রয়েছে। আধুনিক সামরিক বাহিনীর জন্য এটি প্রয়োজনীয় উপাদান।
তবে বিরোধীরা বলছেন, গুচ্ছবোমা যেহেতু বাছবিচারহীনভাবে একটি বিস্তৃত এলাকায় আঘাত হানে, তাই এটি নিষিদ্ধ রাখতে হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার, জরুরি ত্রাণ ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থার প্রধান বলেন, গুচ্ছবোমা বিশেষভাবে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, খেলনার মতো আকৃতির ও রঙিন এ বোমা দেখে তারা আকৃষ্ট হয়।
মানবাধিকারকর্মীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন গুচ্ছবোমার উৎপাদন ও ব্যবহারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে কথা বলছে। এর মাধ্যমে আসলে তারা ভয়াবহ এ বোমার বৈধতা দিতে চাইছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডাবি্লউ) স্টিভ গুজ বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারত, ইসরায়েল ও বেলারুসের মতো দেশগুলো কোনো একটি প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়, তার কতগুলোর বিফলতা দেখেন আপনারা? এ যাত্রায় তাদের ব্যর্থতার কারণ, অসলো কনভেনশনকে তারা টেক্কা দিতে চাইছিল।' সূত্র : বিবিসি, জিনিউজ।
No comments