র ঙ বে র ঙ-ভবিষ্যতের মহাকাশ হোটেল
মহাকাশ নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার অন্ত নেই। বহুকাল আগে থেকেই মহাকাশের রহস্য উন্মোচনে বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। উদ্ভাবন করছেন নতুন নতুন মহাকাশযানও। মহাকাশে বিজ্ঞানীদের গবেষণার স্থানটির নাম 'আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র'। সংক্ষেপে যার নাম আইএসএস। ইতিমধ্যে মহাকাশে কেউ কেউ বেড়াতে গেছেন। ঘুরে এসে বলেছেন সেখানে বসবাসের কথা। রাশিয়ার অর্বিটাল টেকনোলজিস নামে এক কোম্পানি এবার ঘোষণা
দিয়েছে, মহাকাশে পর্যটকদের জন্য হোটেল নির্মাণ করবে। পর্যটকরা এ হোটেলে থাকবেন আইএসএসের চেয়ে অনেক বেশি আরামে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই তারা মহাকাশে হোটেলটি তৈরির মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করছে। শুধু তাই নয়, ২০৩০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তারা পর্যটকদেরকে মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে!
ভবিষ্যতের এ মহাকাশ হোটেল সম্পর্কে অর্বিটাল টেকনোলজিস সম্প্রতি কিছুটা ধারণাও দিয়েছে। তারা বলছে, হোটেলে থাকবে মোট চারটি কেবিন এবং তাতে একসঙ্গে সাতজন অবস্থান করতে পারবেন। মজার ব্যাপার হলো, এ হোটেলের জন্য খাবার নেওয়া হবে পৃথিবী থেকেই। আর খাবারের মেন্যু সম্পর্কেও কোম্পানিটির চিন্তা-ভাবনা অনেকটা ভিন্ন। প্রথমে আলুর স্যুপ, তারপর মাশরুম দিয়ে রান্না করা বাছুরের মাংস ও শিমের তরকারি। সবশেষে থাকবে চিনির সিরাপে ভেজানো আলুবোখারা। রান্না করা এসব খাবার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করে পরিবেশন করা হবে। তাছাড়া বরফ চা, মিনারেল ওয়াটার এবং ফলের জুসও খেতে পারবেন পর্যটকরা। তবে এখানে অ্যালকোহল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। হোটেল থেকে মহাকাশ দেখার জন্য থাকবে দূরবীন।
মহাকাশে এ হোটেলের অবস্থান হবে পৃথিবী থেকে ২শ' ১৭ মাইল ওপরে। এখানে যাওয়া-আসা বাবদ মাথাপিছু খরচ হবে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মিলিয়ন ডলার। আর হোটেলটিতে পাঁচদিন থাকার জন্য খরচ হবে আনুমানিক ১ মিলিয়ন ডলার। সহজেই বুঝতে পারছেন, সব মিলিয়ে একেক জন পর্যটকের পকেটে কী পরিমাণ টাকা থাকতে হবে! অবশ্য এ খরচের পরিমাণ পরবর্তীতে আরও কমতে পারে বলে অর্বিটাল টেকনোলজিস কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশাও দিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা যে রকেটে করে বর্তমানে আইএসএসে যান, তার নাম সোয়্যুজ। আর এ যানে করেই পর্যটকদের হোটেলে আনা-নেওয়া করা হবে। রাশিয়ার এ উদ্যোগকে বিজ্ঞানীরা সমর্থন করছেন এবং সাধুবাদও জানিয়েছেন। তবে তারা বলছেন, প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনা করে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা ঠিক আছে। কিন্তু এজন্য যে বিনিয়োগ দরকার, তা কতটুকু পাওয়া যাবে, সেটা সবার আগে ভেবে দেখতে হবে।
পাহাড়, নদী, সাগর, বন-বনানী সবই তো দেখা শেষ! হয়তো চাইবেন বা ইচ্ছে হবে, এরপর নতুন কিছু দেখতে। হয়তো মাথার চুল ছিঁড়তে ছিঁড়তে ভাববেন, কোথায় যাওয়া যায়? আর তখন সহজেই আপনাকে বলা যাবে, এবার ঘুরে আসুন মহাকাশ। থেকে আসুন সেখানকার হোটেলে।
প্রদীপ সাহা
ভবিষ্যতের এ মহাকাশ হোটেল সম্পর্কে অর্বিটাল টেকনোলজিস সম্প্রতি কিছুটা ধারণাও দিয়েছে। তারা বলছে, হোটেলে থাকবে মোট চারটি কেবিন এবং তাতে একসঙ্গে সাতজন অবস্থান করতে পারবেন। মজার ব্যাপার হলো, এ হোটেলের জন্য খাবার নেওয়া হবে পৃথিবী থেকেই। আর খাবারের মেন্যু সম্পর্কেও কোম্পানিটির চিন্তা-ভাবনা অনেকটা ভিন্ন। প্রথমে আলুর স্যুপ, তারপর মাশরুম দিয়ে রান্না করা বাছুরের মাংস ও শিমের তরকারি। সবশেষে থাকবে চিনির সিরাপে ভেজানো আলুবোখারা। রান্না করা এসব খাবার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করে পরিবেশন করা হবে। তাছাড়া বরফ চা, মিনারেল ওয়াটার এবং ফলের জুসও খেতে পারবেন পর্যটকরা। তবে এখানে অ্যালকোহল সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। হোটেল থেকে মহাকাশ দেখার জন্য থাকবে দূরবীন।
মহাকাশে এ হোটেলের অবস্থান হবে পৃথিবী থেকে ২শ' ১৭ মাইল ওপরে। এখানে যাওয়া-আসা বাবদ মাথাপিছু খরচ হবে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মিলিয়ন ডলার। আর হোটেলটিতে পাঁচদিন থাকার জন্য খরচ হবে আনুমানিক ১ মিলিয়ন ডলার। সহজেই বুঝতে পারছেন, সব মিলিয়ে একেক জন পর্যটকের পকেটে কী পরিমাণ টাকা থাকতে হবে! অবশ্য এ খরচের পরিমাণ পরবর্তীতে আরও কমতে পারে বলে অর্বিটাল টেকনোলজিস কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশাও দিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা যে রকেটে করে বর্তমানে আইএসএসে যান, তার নাম সোয়্যুজ। আর এ যানে করেই পর্যটকদের হোটেলে আনা-নেওয়া করা হবে। রাশিয়ার এ উদ্যোগকে বিজ্ঞানীরা সমর্থন করছেন এবং সাধুবাদও জানিয়েছেন। তবে তারা বলছেন, প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনা করে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা ঠিক আছে। কিন্তু এজন্য যে বিনিয়োগ দরকার, তা কতটুকু পাওয়া যাবে, সেটা সবার আগে ভেবে দেখতে হবে।
পাহাড়, নদী, সাগর, বন-বনানী সবই তো দেখা শেষ! হয়তো চাইবেন বা ইচ্ছে হবে, এরপর নতুন কিছু দেখতে। হয়তো মাথার চুল ছিঁড়তে ছিঁড়তে ভাববেন, কোথায় যাওয়া যায়? আর তখন সহজেই আপনাকে বলা যাবে, এবার ঘুরে আসুন মহাকাশ। থেকে আসুন সেখানকার হোটেলে।
প্রদীপ সাহা
No comments