ছয় সপ্তাহ পর ঊর্ধ্বমুখী
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহের পর নভেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে এসে ঊর্ধ্বমুখী হলো দেশের শেয়ারবাজার। বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারদর। শেয়ারদর বাড়ার ইতিবাচক প্রভাবও পড়েছে বাজার মূল্যসূচক ও লেনদেনে। গেল সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর সাধারণ সূচক বেড়েছে ২০৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ। লেনদেন প্রায় এক হাজার ৯০০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৩৮০ কোটি টাকারও বেশি। দৈনিক লেনদেন হয়েছে ৬৭৬
কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার। লেনদেন বৃদ্ধির হার ১২৮ শতাংশ। এর আগের ছয় সপ্তাহে ডিএসই সাধারণ সূচক কমেছিল ৭৪৩ পয়েন্ট এবং এ সময়ের ২৯ কার্যদিবসে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩১৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৬৬টি কোম্পানির শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজের মধ্যে ২০০টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫টির দর। অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজের মধ্যে ১২৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩টির দর। নির্বাচিত খাত সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৪৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩৫৮ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে মোট ১৬৮ কোটি ২৫ লাখ টাকায়।
গত সপ্তাহে ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতে মিশ্রাবস্থা ছাড়া অন্য সব খাতের প্রায় শেয়ারগুলোর দর বেড়েছে। ব্যাংকিং খাতের ৩০টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪টির দর। এ খাতের সার্বিক দর বৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ ছাড়া মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ৩৭টির মধ্যে ১৫টিরই দর বেড়েছে, কমেছে ২০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২টির দর; সার্বিক দর হ্রাসের হার ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। দরবৃদ্ধির দিক থেকে তথ্য ও প্রযুক্তি, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত, প্রকৌশল এগিয়ে ছিল।
খাতওয়ারি লেনদেনের দিক থেকে গত সপ্তাহে ব্যাংকিং খাতে সর্বাধিক এক হাজার ৭৬ কোটি টাকারও বেশি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ৩২ শতাংশ। এর আগের সপ্তাহে এ খাতে ৫২৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২৮৫ কোটি, জ্বালানি ও শক্তি খাতে ২৬১ কোটি, বস্ত্র খাতে ২৪০ কোটি, প্রকৌশল খাতে ২৩৮ কোটি, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতে ২২৭ কোটি, বীমা খাতে ২২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এ ছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে নূ্যনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ উল্লেখিত পরিমাণে কম রয়েছে, সেসব শেয়ারের দর ও লেনদেন অস্বাভাবিক পরিমাণ বেড়েছে। গত মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর বুধবার থেকে এসব কোম্পানির শেয়ারের মোট লেনদেন স্টক এক্সচেঞ্জের মোট লেনদেনের প্রায় ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে। এ ছাড়া গড়ে তিন দিনে এসব কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। এ ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের পাঁচ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইর দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির প্রায় সবই এসব কোম্পানির শেয়ার।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, লেনদেন হয়েছে ১২৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার। এর পরের অবস্থানে ছিল গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, তিতাস গ্যাস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ইনটেক অনলাইন; দরবৃদ্ধির হার ৫২ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে ছিল কে অ্যান্ড কিউ, বিডিকম অনলাইন, অগি্ন, সিস্টেমস, ফু-ওয়াং সিরামিক্স, বিডি অটোকার, মেট্রো স্পিনিং, বিডি ফাইন্যান্স, মিথুন নিটিং ও মুন্নু সিরামিক্স।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৬৬টি কোম্পানির শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজের মধ্যে ২০০টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫টির দর। অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজের মধ্যে ১২৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩টির দর। নির্বাচিত খাত সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৪৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩৫৮ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে মোট ১৬৮ কোটি ২৫ লাখ টাকায়।
গত সপ্তাহে ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতে মিশ্রাবস্থা ছাড়া অন্য সব খাতের প্রায় শেয়ারগুলোর দর বেড়েছে। ব্যাংকিং খাতের ৩০টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪টির দর। এ খাতের সার্বিক দর বৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ ছাড়া মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ৩৭টির মধ্যে ১৫টিরই দর বেড়েছে, কমেছে ২০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২টির দর; সার্বিক দর হ্রাসের হার ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। দরবৃদ্ধির দিক থেকে তথ্য ও প্রযুক্তি, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত, প্রকৌশল এগিয়ে ছিল।
খাতওয়ারি লেনদেনের দিক থেকে গত সপ্তাহে ব্যাংকিং খাতে সর্বাধিক এক হাজার ৭৬ কোটি টাকারও বেশি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ৩২ শতাংশ। এর আগের সপ্তাহে এ খাতে ৫২৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২৮৫ কোটি, জ্বালানি ও শক্তি খাতে ২৬১ কোটি, বস্ত্র খাতে ২৪০ কোটি, প্রকৌশল খাতে ২৩৮ কোটি, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতে ২২৭ কোটি, বীমা খাতে ২২৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এ ছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে নূ্যনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার ধারণের পরিমাণ উল্লেখিত পরিমাণে কম রয়েছে, সেসব শেয়ারের দর ও লেনদেন অস্বাভাবিক পরিমাণ বেড়েছে। গত মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রক সংস্থায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর বুধবার থেকে এসব কোম্পানির শেয়ারের মোট লেনদেন স্টক এক্সচেঞ্জের মোট লেনদেনের প্রায় ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে। এ ছাড়া গড়ে তিন দিনে এসব কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। এ ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের পাঁচ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইর দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির প্রায় সবই এসব কোম্পানির শেয়ার।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, লেনদেন হয়েছে ১২৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার। এর পরের অবস্থানে ছিল গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, তিতাস গ্যাস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট। দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল ইনটেক অনলাইন; দরবৃদ্ধির হার ৫২ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে ছিল কে অ্যান্ড কিউ, বিডিকম অনলাইন, অগি্ন, সিস্টেমস, ফু-ওয়াং সিরামিক্স, বিডি অটোকার, মেট্রো স্পিনিং, বিডি ফাইন্যান্স, মিথুন নিটিং ও মুন্নু সিরামিক্স।
No comments