সিরিয়ার বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নেবে আরব লিগ
সিরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আরব লিগের অর্থমন্ত্রীরা গতকাল শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোয় বৈঠক করেন। ৫০০ সদস্যের প্রতিনিধিদলকে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস দমননীতি বন্ধ না করায় প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। অর্থমন্ত্রীরা আবরোধের একটি খসড়া তৈরি করে দিলে আজ রবিবার আরব লিগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
নেবেন।আরব অর্থমন্ত্রীরা গত রাতে বৈঠকে বসেন। গত শুক্রবার দুপুর ১টায় সিরিয়াকে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পর এটাই প্রথম বৈঠক তাঁদের। পূর্ববর্তী একটি সংস্কার প্রস্তাবের অংশ হিসেবে আরব লিগ তাদের একটি প্রতিনিধিদলকে সিরিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়ার অনুমতি চায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের কাছে। সিরিয়া আরব লিগের দাবির ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানানোয় নেতারা দেশটির ওপর অবরোধ আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছেন। ২২ সদস্যের এ সংস্থা সিরিয়ার সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করতে পারে এবং সিরিয়ার সম্পদ জব্দ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু গতকাল বলেন, আরব লিগের দাবি না মেনে সিরিয়া তার শেষ সুযোগটিও হারিয়েছে। প্রতিনিধিদলকে প্রবেশ করতে না দেওয়ার মানে হচ্ছে, সিরিয়া অবশ্যই কিছু লুকাতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, "পর্যবেক্ষকদের ব্যাপারে সিরিয়ার হ্যাঁ বলা উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তারা সিরিয়ার শহরগুলোর পরিস্থিতি লুকানোর চেষ্টা করছে। তাদের 'না' উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে এই আশঙ্কা বাড়ছে।" আরব লিগ অবরোধের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট করলে তুরস্ক সেগুলোর সঙ্গে সিরিয়ার ব্যাপারে তাদের নিজস্ব কতগুলো অবরোধের সমন্বয় করে নেবে বলেও জানান দাভুতোগলু।
তবে সিরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপের ব্যাপারে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে ইরাক। এ মাসের শুরুতে আরব লিগে সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিতের ভোটেও বিরত ছিল দেশটি। ইরাকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোশিয়ার জাবেরি বলেন, 'সিরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ সম্ভব নয় বলে মনে করে ইরাক। এ ব্যাপারে আমরা সংরক্ষিত অবস্থানে থাকব।' আসাদ সরকারের পতন হলে চরমপন্থীরা শাসনক্ষমতায় চলে আসতে পারে বলে গতকাল আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইরাকি প্রেসিডেন্ট জালাল তালাবানি। লেবাননও আরব লিগের অবরোধের বিরোধিতা করছে।
এদিকে সিরিয়ার অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ নিদাল আল-শার বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'অবরোধ দেওয়া হলে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক হবে। কারণ এর ফলে সব পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আরব দেশগুলোর সবাই এ অবরোধে অংশ নেবে_আমরা এমনটা মনে করি না।' সূত্র : এএফপি।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু গতকাল বলেন, আরব লিগের দাবি না মেনে সিরিয়া তার শেষ সুযোগটিও হারিয়েছে। প্রতিনিধিদলকে প্রবেশ করতে না দেওয়ার মানে হচ্ছে, সিরিয়া অবশ্যই কিছু লুকাতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, "পর্যবেক্ষকদের ব্যাপারে সিরিয়ার হ্যাঁ বলা উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তারা সিরিয়ার শহরগুলোর পরিস্থিতি লুকানোর চেষ্টা করছে। তাদের 'না' উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে এই আশঙ্কা বাড়ছে।" আরব লিগ অবরোধের ক্ষেত্র নির্দিষ্ট করলে তুরস্ক সেগুলোর সঙ্গে সিরিয়ার ব্যাপারে তাদের নিজস্ব কতগুলো অবরোধের সমন্বয় করে নেবে বলেও জানান দাভুতোগলু।
তবে সিরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপের ব্যাপারে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে ইরাক। এ মাসের শুরুতে আরব লিগে সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিতের ভোটেও বিরত ছিল দেশটি। ইরাকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোশিয়ার জাবেরি বলেন, 'সিরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ সম্ভব নয় বলে মনে করে ইরাক। এ ব্যাপারে আমরা সংরক্ষিত অবস্থানে থাকব।' আসাদ সরকারের পতন হলে চরমপন্থীরা শাসনক্ষমতায় চলে আসতে পারে বলে গতকাল আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইরাকি প্রেসিডেন্ট জালাল তালাবানি। লেবাননও আরব লিগের অবরোধের বিরোধিতা করছে।
এদিকে সিরিয়ার অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ নিদাল আল-শার বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'অবরোধ দেওয়া হলে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক হবে। কারণ এর ফলে সব পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আরব দেশগুলোর সবাই এ অবরোধে অংশ নেবে_আমরা এমনটা মনে করি না।' সূত্র : এএফপি।
No comments