আওয়ামী লীগে আরও তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব চাই by মিহির কুমার হাওলাদার
পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম, ভারত উপমহাদেশের অন্যতম সফল রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তৃণমূল থেকে তাদের নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চেয়েছে। এই প্রক্রিয়া গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে এটাই প্রত্যাশা। একটি বাড়িতে ২০টি পরিবার বাস করে। তাদের সবার অংশগ্রহণের রূপ হোক একটি পাড়ার কমিটি। প্রত্যেক বাড়ির সদস্যদের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি গ্রামের নেতৃত্বের সঙ্গে সমঅংশগ্রহণকারী হবে। এটাই তৃণমূলে গণতন্ত্রের ভিত।
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দর্শনগতভাবে সত্যের পূজারি, গণতন্ত্রের মন্ত্রে দীক্ষিত বলেই এর মৃত্যু কেউ ঘটাতে পারেনি। এ কথাও সত্য, পৃথিবীর পরিমণ্ডলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শনের গভীরতা বিশাল বলেই গণতন্ত্রের প্রকাশ আজ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে।
গ্রামের জনগণ দেশপ্রেমিকতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গঠন করে দেবে ইউনিয়নের সব শ্রেণী দ্বারা গঠিত একটি কাঙ্ক্ষিত কমিটি। এটি হবে তৃণমূলে গণতন্ত্রের দ্বিতীয় স্তম্ভ। পাড়া ও গ্রাম এবং ইউনিয়নের প্রত্যেক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সমন্বয়ে একটি পর্যালোচনা বোর্ড হবে এবং একই আদলে উপজেলায়, জেলায় ও বিভাগে এবং কেন্দ্রেও গঠিত হবে। বোর্ড প্রত্যেকের আওতাধীন কমিটির নেতাকর্মীদের অবস্থা, আচরণ ও অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে সচেষ্ট করে গড়ে তুলবে। ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ও আলোচনা সভার মাধ্যমে সক্রিয় রাখবেন অভিজ্ঞ নেতা-নেত্রীরা। বেরিয়ে আসবে প্রকৃত গণতন্ত্রের ধারক। জনগণ বিচার করতে পারবে দেশ কাদের কাছে নিরাপদ। জেলাতেও পূর্বের নীতি অনুসরণপূর্বক কমিটির নেতৃবৃন্দ কর্মীদের প্রশিক্ষণসহ রাজনৈতিক আদর্শে দীক্ষিত করে তুলবে। বিভাগেও পূর্বের নিয়মনীতি অনুসরণপূর্বক বিভাগীয় বোর্ড-জেলার সব কমিটির কর্মপন্থা তৈরি, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনায় জড়িয়ে পড়া নেতাকর্মীর মূল্যায়ন এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা তাদের প্রধান দায়িত্ব।
নীতি অনুসরণপূর্বক জাতীয় পর্যালোচনা বোর্ড গঠিত হবে। কেন্দ্রের মনোনীত ব্যক্তির দ্বারা ওই বোর্ড পরিচালিত হবে। তৃণমূলের বোর্ড থেকে বিভাগীয় বোর্ডের সুপারিশসহ দেশ গঠনের সব স্তরের কাজের পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা কেন্দ্রের জন্য সুপারিশ আকারে তৈরি করে কেন্দ্রকে প্রদান করবে। কেন্দ্র আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের নীতি অনুসরণপূর্বক ও গবেষণার আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। পর্যালোচনা বোর্ড মিডিয়ায় আলাপচারিতার জন্য বিষয়ের আলোকে বিজ্ঞ নেতাদের নির্ধারণ করবে। মিডিয়ায় আলাপচারিতায় প্রমাণিত-সমন্বয়ের অভাব, পর্যালোচনাবিহীন, প্রশিক্ষণহীন এবং অপরিকল্পিত। জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নের প্রক্রিয়া আধুনিকায়নের প্রার্থনা সবার। নেতা নির্বাচনেও ইতিহাসকে মূল্যায়ন করে বেছে নিতে হবে, নেতা কে হবেন।
হ টঙ্গী, গাজীপুর
No comments