সাক্ষাৎকার-টিআরপি চ্যানেলগুলোকে নষ্ট প্রতিযোগিতায় নামিয়েছে

জ রাত ৯টা ১৫ মিনিটে এটিএন বাংলায় রয়েছে শরাফ আহমেদ জীবনের পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক 'কামিং সুন'। ধারাবাহিকটি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ'কামিং সুন'-এর পরিকল্পনাটা মাথায় এল কিভাবে?সমাজে, এমনকি আমাদের পরিবারেই প্রতিদিন বিভিন্ন সমস্যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়।ভাবছিলাম এ সমস্যাগুলো নিয়েই একটি ধারাবাহিক বানাব, যেখানে একটি চরিত্রের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান থাকবে।


'কামিং সুন' ধারাবাহিকটি সেই ভাবনা থেকেই। এখানে মোশাররফ করিমের চরিত্রটির মাধ্যমে আমি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি।
এরই মধ্যে তো ২৮ পর্ব প্রচারিত হলো। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
সত্যি বলতে, আমি যে লক্ষ্য নিয়ে ধারাবাহিকটি শুরু করেছিলাম তা আর পরে ধরে রাখতে পারছি না। টিআরপি আমাদের দেশের চ্যানেলগুলোকে এক নষ্ট প্রতিযোগিতায় নামিয়েছে। আমিও তার বাইরে থাকতে পারলাম না। সে জন্য ব্যবসাকে প্রাধান্য দিতে মূল গল্প থেকে খানিকটা বেরিয়ে আসতে হয়েছে। অবশ্য দর্শকরা তাতে বিচলিত না হয়ে বরং সাড়াই দিয়েছে।
'বিপা' চরিত্রে তো প্রথমে সায়না অভিনয় করেছিলেন, আর এখন মিমো। একই চরিত্রের জন্য দুজন অভিনেত্রী নিয়ে কাজ করতে হলো, এ নিয়ে অভিজ্ঞতা বলুন।
এটা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটে গেছে। আসলে চরিত্রটি তৈরির সময় থেকে আমি সায়নাকে ভেবেছিলাম। ওকে দিয়ে তাই গ্রুমিংও করিয়েছিলাম সে সময়। কিন্তু মাত্র ১৩ পর্ব শুটিং করে সে যখন হাঁপিয়ে উঠল তখন সিদ্ধান্তহীন হয়ে পড়েছিলাম। ভাবছিলাম কাকে নিলে চরিত্রটি বাঁচিয়ে রাখা যাবে, দর্শকদেরও ভালো লাগবে। সেই ভাবনা থেকেই মিমো। মিমোর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দেখলাম ভুল হয়নি। ও সায়নার চেয়ে অনেক ভালো করছে।
নাটকটি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আমি চেয়েছিলাম ২৬ পর্বের মধ্যে শেষ করতে। কিন্তু চ্যানেল থেকে বলল, দর্শক নাকি খুব পছন্দ করছে, এটিকে বাড়াতে হবে। তাই চিন্তা করেছি ৩৯ পর্ব পর্যন্ত করব।
আর কী করছেন?
গত সপ্তাহে গ্রামীণফোনের নতুন একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করলাম। সামনে নতুন আরেকটি ধারাবাহিকের পরিকল্পনা করছি। হয়তো শিগগিরই শুটিং শুরু করব।

No comments

Powered by Blogger.