সারের রেকর্ড মজুদ, দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই by শফিকুল ইসলাম জুয়েল
আসন্ন বোরো মৌসুমকে ঘিরে সব ধরনের সারের মজুদ এখন পর্যাপ্ত, যার পরিমাণকে 'রেকর্ড মজুদ' হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ফলে এবারের বোরো মৌসুমে সার সংকট কিংবা দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই।কৃষিসচিব সি কিউ কে মুসতাক আহমেদ টেলিফোনে কালের কণ্ঠকে জানান, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় সারের ব্যবহারও বেড়েছে। ফলে আমদানিও হয়েছে পর্যাপ্ত। এ কারণে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সারের মজুদ বেড়ে রেকর্ড করেছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'সারের দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।'কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে মজুদ সারের মধ্যে ইউরিয়া সাত লাখ ১৯ হাজার টন, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) দুই লাখ ৭৮ হাজার টন, মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) দুই লাখ ১৪ হাজার টন এবং ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) দুই লাখ ৫৮ হাজার টন। অথচ গত বছরের একই দিনে মজুদ ছিল ইউরিয়া পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টন, টিএসপি দুই লাখ ১১ হাজার টন, এমওপি এক লাখ ৯৫ হাজার টন এবং ডিএপি এক লাখ ১৩ হাজার টন। এর আগের বছর মজুদের পরিমাণ ছিল আরো কম।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের দাবি, বর্তমানে কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি টিএসপি ২২ টাকা, এমওপি ১৫ টাকা, ডিএপি ২৭ টাকা এবং ইউরিয়া ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি টিএসপিতে ২৮ টাকা, এমওপিতে ৩২ টাকা, ডিএপি ৩১ টাকা এবং ইউরিয়ায় ১৭ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। এর ফলে ২০১০-১১ অর্থবছরে পরিশোধিত ভর্তুকি ছিল পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, ২০০৯-১০ অর্থবছরে চার হাজার ৯২২ কোটি টাকা এবং ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল পাঁচ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থ বছরের জন্য বরাদ্দ রয়েছে চার হাজার কোটি টাকা।
এর আগে সারের দাম প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বর্তমান সরকার দেশের মানুষকে মায়ের মতো ভালোবাসে। ফলে কৃষিপ্রধান এ দেশের মানুষের মঙ্গলার্থে বারবার ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়। এরই ফলশ্রুতিতে দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছরের মধ্যে তিন দফা সারের মূল্য কমিয়ে (২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি ও ৩ নভেম্বরসহ) দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।' মন্ত্রী জানান, জনবহুল দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফসলের উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সারের দাম কমনোর ফলে ইউরিয়ার ওপর চাপ কমেছে। ফসলে সারের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে। এতে মাটির গুণাগুণ রক্ষাসহ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কমছে উৎপাদন খরচও।
কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ও কৃষি বিশেষজ্ঞ ড. জহুরুল করিম কালের কণ্ঠকে জানান, কৃষি উপকরণ সহজলভ্য হলে ফসল উৎপাদনে কৃষকের আগ্রহ বাড়বে। তবে শুধু দাম কমালেই চলবে না, সারের প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকারকে সবসময়ই মাঠপর্যায়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আর সারের দামের পাশাপাশি অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম কমানোর ব্যাপারেও সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্ববাজারে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের মে মাসে সারের দাম বাড়ায়।
সারের সুষম ব্যবহার প্রসঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তসচিব ও বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক আনোয়ার ফারুক বলেন, সারের দাম কৃষকের হাতের নাগালে থাকায় ফসলে সারের সুষম ব্যবহার হচ্ছে। ভেজাল সারের দৌরাত্ম্য ও কীটনাশকের ব্যবহার কমেছে। আক্রমণ কমছে পোকামাকড়েরও। জমির উর্বরতা রক্ষা পাওয়ায় পুষ্ট হচ্ছে ফসল, ফলে বাড়ছে উৎপাদন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের দাবি, বর্তমানে কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি টিএসপি ২২ টাকা, এমওপি ১৫ টাকা, ডিএপি ২৭ টাকা এবং ইউরিয়া ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি টিএসপিতে ২৮ টাকা, এমওপিতে ৩২ টাকা, ডিএপি ৩১ টাকা এবং ইউরিয়ায় ১৭ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। এর ফলে ২০১০-১১ অর্থবছরে পরিশোধিত ভর্তুকি ছিল পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, ২০০৯-১০ অর্থবছরে চার হাজার ৯২২ কোটি টাকা এবং ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ছিল পাঁচ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থ বছরের জন্য বরাদ্দ রয়েছে চার হাজার কোটি টাকা।
এর আগে সারের দাম প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বর্তমান সরকার দেশের মানুষকে মায়ের মতো ভালোবাসে। ফলে কৃষিপ্রধান এ দেশের মানুষের মঙ্গলার্থে বারবার ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়। এরই ফলশ্রুতিতে দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছরের মধ্যে তিন দফা সারের মূল্য কমিয়ে (২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি ও ৩ নভেম্বরসহ) দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।' মন্ত্রী জানান, জনবহুল দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফসলের উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সারের দাম কমনোর ফলে ইউরিয়ার ওপর চাপ কমেছে। ফসলে সারের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে। এতে মাটির গুণাগুণ রক্ষাসহ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কমছে উৎপাদন খরচও।
কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ও কৃষি বিশেষজ্ঞ ড. জহুরুল করিম কালের কণ্ঠকে জানান, কৃষি উপকরণ সহজলভ্য হলে ফসল উৎপাদনে কৃষকের আগ্রহ বাড়বে। তবে শুধু দাম কমালেই চলবে না, সারের প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকারকে সবসময়ই মাঠপর্যায়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আর সারের দামের পাশাপাশি অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম কমানোর ব্যাপারেও সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্ববাজারে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের মে মাসে সারের দাম বাড়ায়।
সারের সুষম ব্যবহার প্রসঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তসচিব ও বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক আনোয়ার ফারুক বলেন, সারের দাম কৃষকের হাতের নাগালে থাকায় ফসলে সারের সুষম ব্যবহার হচ্ছে। ভেজাল সারের দৌরাত্ম্য ও কীটনাশকের ব্যবহার কমেছে। আক্রমণ কমছে পোকামাকড়েরও। জমির উর্বরতা রক্ষা পাওয়ায় পুষ্ট হচ্ছে ফসল, ফলে বাড়ছে উৎপাদন।
No comments