আওয়ামী লীগ : ঝালকাঠি-১ আসন-নতুন আর পুরনো আ. লীগের দ্বন্দ্ব by কে এম সবুজ ও দেবদাস মজুমদার,
২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েই ঝালকাঠি-১ আসনের রাজনীতিতে তাক লাগিয়ে দেন শিল্পপতি বজলুল হক হারুন। নির্বাচনের আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দলের মধ্যে আস্থা অর্জন করেন তিনি। বিএনপির দখলে থাকা এ আসনের আওয়ামী লীগের প্রথম বিজয় ছিনিয়ে আনেন বজলুল হক হারুন। নির্বাচনের পর স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নানা সমন্বয়হীনতায় সম্পর্কে কিছুটা টানাপড়েন শুরু হয়।
আর এ সুযোগে তাঁর নিকটবর্তী হন একসময়ের জাতীয় পার্টির নেতা (বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতা) রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চু। সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন দলীয় নেতা-কর্মীদের উপেক্ষা করে ভাগবাটোয়ারা থেকে শুরু করে সব কাজই ন্যস্ত করেন উপজেলা চেয়ারম্যানের হাতে। উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের কিছু নেতা-কর্মী যোগদান করেন আওয়ামী লীগে। উপজেলা চেয়ারম্যানের কথামতো দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের পেছনে ফেলে সংসদ সদস্য নতুনদের কাছে টেনে নেন। সেই থেকে শুরু হয় নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব। এমন অবস্থায় রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
শুধু জাতীয় দিবস ছাড়া কেন্দ্র ঘোষিত কোনো অনুষ্ঠান এখানে পালন হয় না বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের সঙ্গে রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চুর সুসম্পর্কই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ত্যাগী তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কাছে। দলীয় নেতা-কর্মীরা এমপির কাছে গিয়ে সুখ-দুঃখের কথা বলতে পারেন না। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা চেয়ারম্যানের কথা ছাড়া নেতা-কর্মীদের কারো কথার গুরুত্ব নেই এমপি বজলুল হক হারুনের কাছে। টিআর-কাবিখা ছাড়াও এমপির বরাদ্দের অর্থ ও অন্য কাজকর্ম ভাগভাটোয়ারার কাজও করে থাকেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৬ সাল থেকে দলের সার্বিক কর্মকাণ্ড এবং তৃণমূল পর্যায়ে রাজাপুরের ছয়টি ইউনিয়নের ৫৪টি কমিটি গঠন করতে সার্বিক সহযোগিতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক হান্নান ফিরোজ। তাঁর নেতৃত্বে দল সুসংগঠিত ছিল। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন চললেও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে বজলুল হক হারুন আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে তিনি এলাকায় আসেন। যোগাযোগ শুরু করেন তৃণমূল থেকে সব স্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। ওই নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের সঙ্গে হেরে যান। এরপর ঢাকায় চলে যান তিনি। দীর্ঘদিন কোনো নেতা-কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ না রেখে দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে একপ্রকার বিরত থাকেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি আবার এলাকায় ফিরে আসেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে কাজ করে মহাজোটকে এ আসন উপহার দেন। মহাজোট ক্ষমতাগ্রহণের পর স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা মিলন মাহমুদ বাচ্চু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। একসময় মিলন মাহমুদ বাচ্চুই তাঁর আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। দলীয় কোনো কর্মসূচিতে তিনি এলাকায় থাকেন না। মাঝেমধ্যে সরকারি কর্মসূচিতে তিনি আসেন।
রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল আলম সরফরাজ জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কোনো খোঁজখবর রাখেন না ঝালকাঠি-১ আসনের এমপি বজলুল হক হারুন। তিনি জাতীয় পার্টির সাবেক নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা করেন। জাতীয় পার্টি থেকে যোগদান করে এরই মধ্যে তাঁর আস্থাভাজন হয়েছেন রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চু। এমপি যখন ঢাকায় থাকেন, তখন এলাকার দায়িত্ব বাচ্চুকে দিয়ে যান। তিনিই টিআর-কাবিখাসহ অন্যান্য বরাদ্দ ভাগবাটোয়ারা করে থাকেন।
এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চু বলেন, 'রাজাপুরে আওয়ামী লীগ বর্তমানে যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন, এ জন্য আমাদের অবদান রয়েছে। আমরা জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে মহাজোট প্রার্থীকে বিজয়ী করেছি। আমার সঙ্গে এমপির সম্পর্ক ভালো থাকতেই পারে। যারা এটা সহ্য করতে পারে না, তারা দুষ্টুপ্রকৃতির লোক বলে আমার কাছে মনে হয়।'
এদিকে কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগেও চলছে দুই ধারার নেতৃত্ব। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রাজেন সমাদ্দার এবং সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক সিকদার দিচ্ছেন এক গ্রুপের নেতৃত্ব, অন্য গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান উজির সিকদার। বজলুল হক হারুন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক সিকদারের ইচ্ছামতো আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে আগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হয়নি দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা উজির সিকদারকে। এ উপজেলায় নতুন ও পুরনো আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর মধ্যে রয়েছে দ্বন্দ্ব। উজির সিকদারের নেতৃত্বাধীন দলের একটি অংশকে ডাকা হয় না এমপির কোনো অনুষ্ঠানে। এমপি এলাকায় না থাকলে তাঁর অবর্তমানে ভাগবাটোয়ারা থেকে শুরু করে দলের কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক সিকদার।
এ ব্যাপারে কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান উজির সিকদার বলেন, 'আমি দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাকে বাদ দিয়ে নতুন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংসদ সদস্য ওই কমিটির নেতা-কর্মীকেই সব সময় কাছে ডাকেন। আমাদের আবার প্রয়োজন হবে সংসদ নির্বাচনের আগে। জবাবটা সে সময়ই দেওয়া হবে।'
কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রাজেন সমাদ্দার বলেন, 'এমপি বজলুল হক হারুনের নির্দেশেই দল ক্ষমতায় আসার পরপরই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির মাধ্যমেই দলের কার্যক্রম চলছে। আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই।'
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক সিকদার বলেন, 'আমি স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই, তবে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। এমপির নির্দেশেই সব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। এখানে কোনো দ্বন্দ্ব ও কোনো বৈষম্য নেই।'
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি-১ আসনের এমপি বজলুল হক হারুন বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক ভালো। সমন্বয়েরও কোনো সমস্যা নেই। দলের ত্যাগী সব নেতা-কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই আমি নির্বাচিত হয়েছি। তাঁদের সুখে-দুঃখে সব সময় আমি পাশে থাকতে চাই।
শুধু জাতীয় দিবস ছাড়া কেন্দ্র ঘোষিত কোনো অনুষ্ঠান এখানে পালন হয় না বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের সঙ্গে রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চুর সুসম্পর্কই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ত্যাগী তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কাছে। দলীয় নেতা-কর্মীরা এমপির কাছে গিয়ে সুখ-দুঃখের কথা বলতে পারেন না। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা চেয়ারম্যানের কথা ছাড়া নেতা-কর্মীদের কারো কথার গুরুত্ব নেই এমপি বজলুল হক হারুনের কাছে। টিআর-কাবিখা ছাড়াও এমপির বরাদ্দের অর্থ ও অন্য কাজকর্ম ভাগভাটোয়ারার কাজও করে থাকেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৬ সাল থেকে দলের সার্বিক কর্মকাণ্ড এবং তৃণমূল পর্যায়ে রাজাপুরের ছয়টি ইউনিয়নের ৫৪টি কমিটি গঠন করতে সার্বিক সহযোগিতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক হান্নান ফিরোজ। তাঁর নেতৃত্বে দল সুসংগঠিত ছিল। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন চললেও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে বজলুল হক হারুন আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে তিনি এলাকায় আসেন। যোগাযোগ শুরু করেন তৃণমূল থেকে সব স্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। ওই নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের সঙ্গে হেরে যান। এরপর ঢাকায় চলে যান তিনি। দীর্ঘদিন কোনো নেতা-কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ না রেখে দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে একপ্রকার বিরত থাকেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি আবার এলাকায় ফিরে আসেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে কাজ করে মহাজোটকে এ আসন উপহার দেন। মহাজোট ক্ষমতাগ্রহণের পর স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা মিলন মাহমুদ বাচ্চু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। একসময় মিলন মাহমুদ বাচ্চুই তাঁর আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। দলীয় কোনো কর্মসূচিতে তিনি এলাকায় থাকেন না। মাঝেমধ্যে সরকারি কর্মসূচিতে তিনি আসেন।
রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল আলম সরফরাজ জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কোনো খোঁজখবর রাখেন না ঝালকাঠি-১ আসনের এমপি বজলুল হক হারুন। তিনি জাতীয় পার্টির সাবেক নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা করেন। জাতীয় পার্টি থেকে যোগদান করে এরই মধ্যে তাঁর আস্থাভাজন হয়েছেন রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চু। এমপি যখন ঢাকায় থাকেন, তখন এলাকার দায়িত্ব বাচ্চুকে দিয়ে যান। তিনিই টিআর-কাবিখাসহ অন্যান্য বরাদ্দ ভাগবাটোয়ারা করে থাকেন।
এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চু বলেন, 'রাজাপুরে আওয়ামী লীগ বর্তমানে যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন, এ জন্য আমাদের অবদান রয়েছে। আমরা জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে মহাজোট প্রার্থীকে বিজয়ী করেছি। আমার সঙ্গে এমপির সম্পর্ক ভালো থাকতেই পারে। যারা এটা সহ্য করতে পারে না, তারা দুষ্টুপ্রকৃতির লোক বলে আমার কাছে মনে হয়।'
এদিকে কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগেও চলছে দুই ধারার নেতৃত্ব। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রাজেন সমাদ্দার এবং সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক সিকদার দিচ্ছেন এক গ্রুপের নেতৃত্ব, অন্য গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান উজির সিকদার। বজলুল হক হারুন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক সিকদারের ইচ্ছামতো আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে আগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হয়নি দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা উজির সিকদারকে। এ উপজেলায় নতুন ও পুরনো আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর মধ্যে রয়েছে দ্বন্দ্ব। উজির সিকদারের নেতৃত্বাধীন দলের একটি অংশকে ডাকা হয় না এমপির কোনো অনুষ্ঠানে। এমপি এলাকায় না থাকলে তাঁর অবর্তমানে ভাগবাটোয়ারা থেকে শুরু করে দলের কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক সিকদার।
এ ব্যাপারে কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান উজির সিকদার বলেন, 'আমি দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাকে বাদ দিয়ে নতুন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংসদ সদস্য ওই কমিটির নেতা-কর্মীকেই সব সময় কাছে ডাকেন। আমাদের আবার প্রয়োজন হবে সংসদ নির্বাচনের আগে। জবাবটা সে সময়ই দেওয়া হবে।'
কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রাজেন সমাদ্দার বলেন, 'এমপি বজলুল হক হারুনের নির্দেশেই দল ক্ষমতায় আসার পরপরই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির মাধ্যমেই দলের কার্যক্রম চলছে। আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই।'
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক সিকদার বলেন, 'আমি স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই, তবে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। এমপির নির্দেশেই সব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। এখানে কোনো দ্বন্দ্ব ও কোনো বৈষম্য নেই।'
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি-১ আসনের এমপি বজলুল হক হারুন বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক ভালো। সমন্বয়েরও কোনো সমস্যা নেই। দলের ত্যাগী সব নেতা-কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই আমি নির্বাচিত হয়েছি। তাঁদের সুখে-দুঃখে সব সময় আমি পাশে থাকতে চাই।
No comments