প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি-অনেক স্বপ্নের মৃত্যু!
গত সংসদ নির্বাচনের আগে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে দুই দলই প্রায় একই রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে মহাজোটের প্রতিশ্রুতিগুলো ছিল এবারের নির্বাচনের প্রাক্কালে। প্রতিশ্রুতিগুলো হলো- কাঁঠালিয়ার আমুয়ার হলতা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, পাটিখালঘাটা ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ, বেড়িবাঁধ নির্মাণ, কাঁঠালিয়া সদরে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ নির্মাণ, গ্রামাঞ্চলে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ, তাঁরাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন সেতু নির্মাণ,
রাজাপুর-কাঁঠালিয়া-আমুয়া সড়ক সংস্কার করে যানচলাচলের উপযোগী করা, রাজাপুরের কাঠিপাড়ার গণকবরের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, রাজাপুর-বেকুটিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক সংস্কার, রাজাপুর বাজার মসজিদের পুরনো ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ, সব কানেকটিং সড়ক পাকাকরণ এবং সিডরে বিপর্যস্ত সব অবকাঠামো পুনঃনির্মাণ।
কিন্তু সরকারের গত পৌনে তিন বছরে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়ন হয়নি রাজাপুর ও কাঁঠালিয়ায়। এখনো সড়কের অবস্থা বেহাল, সড়ক উন্নয়নে যেটুকু বরাদ্দ হয়েছে তার কাজও ফেলে রেখে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ানো হয়েছে। নিরাপদ পানি সরবরাহের কোনো প্রকল্পই বাস্তবায়িত না হওয়ায় কাঁঠালিয়ার তিনটি ইউনিয়নের মানুষ এখনো পুকুর ও খালের পানির ওপর নির্ভরশীল। পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, 'এমপি সাইবে মোগো নিরাপদ পানি খাওয়াইবে কইছিল। আওয়ামী লীগের সরকার আড়াই বছরেও মোগো ইউনিয়নে নিরাপদ পানি খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা করে নাই।'
জনগুরুত্বপূর্ণ রাজাপুর-কাঁঠালিয়া-আমুয়া সড়ক সংস্কার না হওয়ায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধের পথে। খানাখন্দে ভরা এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের দাবি ছিল রাজাপুর ও কাঁঠালিয়াবাসীর। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা গ্রহণের পৌনে তিন বছর পার হলেও স্থায়ীভাবে সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। কেবল গত ঈদে জরুরি সড়ক সংস্কারের সময় কয়েকটি স্থানের গর্তে ইট ফেলে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মান্নান বলেন, '২০০২ সালে নির্মিত পিচঢালা এ রাস্তা বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। নিম্নমানের কাজ করায় পুনরায় সড়কটিতে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। এমপি সাহেব সড়কটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ সড়ক দিয়ে পথচারীরা যাতায়াত করতে পারছে না।'
রাজাপুর উপজেলা যুবদল সভাপতি নাসিম আকন বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাজাপুর ও কাঁঠালিয়ায় তেমন কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বিএনপি আমলে শুরু হওয়া উন্নয়ন কার্যক্রমও তারা স্থবির করে রেখেছে। গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে দলের লোকজনকে কাজ দিয়ে উন্নয়নের নামে লুটপাট করা হচ্ছে। নামে বেনামে টিআর ও কাবিখার বরাদ্দ নিয়ে সরকারি দলের লোকজন পকেট ভারী করছে।'
উন্নয়নের ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল আলম সরফরাজ বলেন, 'উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব ভালো জানেন। এমপি এলাকায় না থাকলে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবই সব কাজের ভাগ-বাটোয়ারা করেন। আমরা উন্নয়নের ব্যাপারে কিছুই জানি না। তবে যত দূর জানি, রাজাপুর বাজার মসজিদের পুরনো ভবন ভেঙে নতুন ভবন করে দেওয়ার কথা ছিল, তা করা হয়নি। কাঠিপাড়া গণকবরের স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এ দুটি কাজ দ্রুত করা উচিত।'
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক নারায়ণ কাঞ্জি লাল বলেন, 'স্বাধীনতার এত বছরেও কাঁঠালিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি সংকোচিত আর অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। এ ছাড়া বাঁশবুনিয়ার বধ্য ভূমিতে ১৯৭১ সালে মুক্তিকামী অর্ধশত শহীদের স্মৃতি রক্ষায় কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় আমরা হতাশ। আশা করছি, এ সরকারের আমলে এ দুটির উন্নয়ন হবে।'
কাঁঠালিয়ার আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম নির্ভর বলেন, আমুয়ার হলতা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের জন্য বিএনপি সরকারের সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা একটি স্মৃতিফলক উন্মোচন করেছিলেন। তারপর আর কাজ হয়নি। মহাজোট সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল সেতুটি নির্মাণ করার, কিন্তু আজও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। সেতুটি নির্মাণ করা খুবই জরুরি।
কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক সিকদার বলেন, নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর যে প্রতিশ্রুতি ছিল, তার বাইরে স্থানীয়ভাবে খুব অল্প প্রতিশ্রুতি ছিল মহাজোট প্রার্থীর। প্রতিশ্রুতির মধ্যে বেশিরভাগ কাজই সম্পন্ন হয়েছে।
কিন্তু সরকারের গত পৌনে তিন বছরে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নয়ন হয়নি রাজাপুর ও কাঁঠালিয়ায়। এখনো সড়কের অবস্থা বেহাল, সড়ক উন্নয়নে যেটুকু বরাদ্দ হয়েছে তার কাজও ফেলে রেখে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ানো হয়েছে। নিরাপদ পানি সরবরাহের কোনো প্রকল্পই বাস্তবায়িত না হওয়ায় কাঁঠালিয়ার তিনটি ইউনিয়নের মানুষ এখনো পুকুর ও খালের পানির ওপর নির্ভরশীল। পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, 'এমপি সাইবে মোগো নিরাপদ পানি খাওয়াইবে কইছিল। আওয়ামী লীগের সরকার আড়াই বছরেও মোগো ইউনিয়নে নিরাপদ পানি খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা করে নাই।'
জনগুরুত্বপূর্ণ রাজাপুর-কাঁঠালিয়া-আমুয়া সড়ক সংস্কার না হওয়ায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধের পথে। খানাখন্দে ভরা এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের দাবি ছিল রাজাপুর ও কাঁঠালিয়াবাসীর। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা গ্রহণের পৌনে তিন বছর পার হলেও স্থায়ীভাবে সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। কেবল গত ঈদে জরুরি সড়ক সংস্কারের সময় কয়েকটি স্থানের গর্তে ইট ফেলে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মান্নান বলেন, '২০০২ সালে নির্মিত পিচঢালা এ রাস্তা বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। নিম্নমানের কাজ করায় পুনরায় সড়কটিতে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। এমপি সাহেব সড়কটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ সড়ক দিয়ে পথচারীরা যাতায়াত করতে পারছে না।'
রাজাপুর উপজেলা যুবদল সভাপতি নাসিম আকন বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাজাপুর ও কাঁঠালিয়ায় তেমন কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বিএনপি আমলে শুরু হওয়া উন্নয়ন কার্যক্রমও তারা স্থবির করে রেখেছে। গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে দলের লোকজনকে কাজ দিয়ে উন্নয়নের নামে লুটপাট করা হচ্ছে। নামে বেনামে টিআর ও কাবিখার বরাদ্দ নিয়ে সরকারি দলের লোকজন পকেট ভারী করছে।'
উন্নয়নের ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল আলম সরফরাজ বলেন, 'উন্নয়নমূলক কাজের ব্যাপারে এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব ভালো জানেন। এমপি এলাকায় না থাকলে উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবই সব কাজের ভাগ-বাটোয়ারা করেন। আমরা উন্নয়নের ব্যাপারে কিছুই জানি না। তবে যত দূর জানি, রাজাপুর বাজার মসজিদের পুরনো ভবন ভেঙে নতুন ভবন করে দেওয়ার কথা ছিল, তা করা হয়নি। কাঠিপাড়া গণকবরের স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এ দুটি কাজ দ্রুত করা উচিত।'
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক নারায়ণ কাঞ্জি লাল বলেন, 'স্বাধীনতার এত বছরেও কাঁঠালিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি সংকোচিত আর অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। এ ছাড়া বাঁশবুনিয়ার বধ্য ভূমিতে ১৯৭১ সালে মুক্তিকামী অর্ধশত শহীদের স্মৃতি রক্ষায় কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় আমরা হতাশ। আশা করছি, এ সরকারের আমলে এ দুটির উন্নয়ন হবে।'
কাঁঠালিয়ার আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম নির্ভর বলেন, আমুয়ার হলতা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের জন্য বিএনপি সরকারের সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা একটি স্মৃতিফলক উন্মোচন করেছিলেন। তারপর আর কাজ হয়নি। মহাজোট সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল সেতুটি নির্মাণ করার, কিন্তু আজও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। সেতুটি নির্মাণ করা খুবই জরুরি।
কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক সিকদার বলেন, নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর যে প্রতিশ্রুতি ছিল, তার বাইরে স্থানীয়ভাবে খুব অল্প প্রতিশ্রুতি ছিল মহাজোট প্রার্থীর। প্রতিশ্রুতির মধ্যে বেশিরভাগ কাজই সম্পন্ন হয়েছে।
No comments