আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ-প্রতিবাদের ভাষা হোক প্রতিরোধ by সাকিলা মতিন মৃদুলা
নারীর প্রতি সহিংসতা শুধু মানবাধিকারকেই লঙ্ঘন করে না। একই সঙ্গে ব্যাহত করে পারিবারিক সম্প্রীতি, সামাজিক শৃঙ্খলা এবং জাতীয় উন্নয়ন। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে নিবন্ধটি লিখেছেনসাকিলা মতিন মৃদুলাআমি ভাবছি কষ্টগুলো আমার একার, তুমি ভাবছ কষ্টগুলো তোমার একার। আর সে? কিংবা ওরা? সবাই নিজস্ব অবস্থানে নিজের মতো করে যার যার কষ্টের কথাই ভাবছে। 'নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস... ওপারেতে যত সুখ
আমার বিশ্বাস'। বদলে গেছে দিন, বদলে গেছে ভাবনা। কষ্ট আজ আর কারও একার নয়। নদীর এপার, ওপার সব পার থেকে আমার, তোমার, আমাদের সবার কষ্টের নিঃশ্বাসগুলো আজ একত্র, ঐক্যবদ্ধ। ঐক্যের শক্তিতে আজ তারা প্রতিবাদী। ক্ষোভ পরিণত হয়েছে শক্তিতে। প্রতিবাদের ভাষা প্রতিরোধ। আমি বলে কিছু নেই। পুরোটাই আমাদের। অসংখ্য আমি আজ একত্র। একত্র দৃঢ়তায় 'নারী নির্যাতন' শব্দ দুটিকে ঘিরে আছে আন্তর্জাতিক এবং প্রতিরোধ শব্দ দুটি। ২৫ নভেম্বর 'আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস।'
১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর লতিন আমেরিকার ডমিনিকান রিপাবলিকের স্বৈরাচারী শাসক রাফায়েল ক্রজিলোর বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত বিদ্রোহ করায় প্যাট্রিয়া, মারিয়া তেরেসা ও মিনার্ভা মিরাকেল নামে তিন বোনকে হত্যা করা হয়। এ অন্যায়ের প্রতিবাদে ১৯৮১ সালে লতিন আমেরিকার নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বরকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত মানবাধিকার সম্মেলনে দিবসটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ২৫ নভেম্বর 'ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর দ্য ইলিমিনেশন অব ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন' দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৬০ থেকে ১৯৮১, ১৯৮১ থেকে ১৯৯৯ সময়ের ব্যবধান অনেক হলেও লক্ষ্যের দৃঢ়তা নিশ্চিত করেছে প্রাপ্যের প্রাপ্তিকে। লতিন আমেরিকার নারী সম্মেলনে প্রতিবাদের ঘোষণা মর্যাদা পেয়েছে জাতিসংঘে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। প্রতিবাদের ভাষা এক হতে পারে না। প্রতিরোধের দিনকেও কেউ নির্দিষ্ট করে দিতে পারে না। যেটা করতে পারে, যেটা করা সম্ভব সেটা হলো_ একটি দিনকে ঘিরে প্রতিটি দিনেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতাকে ছড়িয়ে দেওয়া। হতে পারে ২৫ নভেম্বর সেই একটি দিন। যে দিনকে ঘিরে প্রতিটি দিনই অব্যাহত থাকবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করার প্রয়াস। নারীর অধিকার মানুষের অধিকার। নারীর প্রতি নির্যাতন, মানুষের অধিকারের প্রতি নির্যাতন। প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদের সচেতনতা আজ ডালপালা ছড়িয়ে দিয়েছে নিরাপত্তায় সন্ধানে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস মিলিত হয়েছে মানবাধিকার দিবস ১০ ডিসেম্বরে। পক্ষকালব্যাপী থাকে আয়োজন। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পক্ষকালব্যাপী এ আয়োজনের উদ্যোক্তা উইমেন এইড ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক পিদা রিপ্লে। তিনি এই আয়োজনের নাম দেন 'সিক্সটিন ডেজ অব অ্যাকটিভিশন এগেইনস্ট জেন্ডার ভায়োলেন্স'। পক্ষকালব্যাপী এ আয়োজনে স্থান করে নেয় 'হোয়াইট রিবন ক্যাম্পেইন'। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কানাডিয়ান একজন পুরুষের উদ্যোগে এ ক্যাম্পেইন শুরুতে ছিল একটি বিরল দৃষ্টান্ত। নারীর ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কোনো অধিকার নেই, শুধু এই ভ্রান্ত ধারণার ওপর ভিত্তি করে মনট্রিলে ১৪ জন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর অল্প বয়সী কানাডিয়ান মেয়েকে হত্যা করে একজন পুরুষ। নির্মম এ ঘটনাকে স্মরণ করে ৬ ডিসেম্বর প্রতিবাদ হিসেবে পালন করা হয় 'হোয়াইট রিবন' নামে নারীর প্রতি নির্যাতন বন্ধে প্রতিবাদ ক্যাম্পেইন। ২০০০ সাল থেকে পক্ষকালব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস পালিত হচ্ছে। ন্যায়বোধ ও মানবতাবোধের মানদণ্ডে এ আয়োজন আজ আর নারী সংগঠন কিংবা নারী নেত্রীদের বলয়ে আবদ্ধ নয়। উপলব্ধির অগ্রগতি আজ সবার বিবেকের তাড়না।
সারাবিশ্বে ক্যান্সার, এইডস, ম্যালেরিয়া, সড়ক দুর্ঘটনা, যুদ্ধ কিংবা অন্য কারণে নারীর মৃত্যুর চেয়ে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার কারণে নারী মৃত্যুর সংখ্যা আজও অনেক বেশি। ৭০ শতাংশ নারী নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার। সারাবিশ্বে প্রতি ১০ নারীর ভেতর ৬ জনই কোনো না কোনোভাবে সরাসরি শারীরিক কিংবা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মানসিক, সামাজিক কিংবা অর্থনৈতিক নির্যাতনের কথা বলাবাহুল্য। বেসরকারি সংস্থা অধিকারের হিসাব অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি ২০০৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ পর্যন্ত বাংলাদেশে ১ হাজার ২৫৭ নারী খুন হয়েছে এবং ২৪৩ নারী যৌতুকের কারণে নির্যাতিত হয়ে আত্মহত্যা করেছে। এসিড সহিংসতার শিকার হয়েছে ৫২৬জন এবং ১ হাজার ৮৭৬ নারী ও ১ হাজার ৫৯৮ জন মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এতো গেল আক্ষরিক অর্থে নির্যাতনের পরিসংখ্যান। বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য নির্যাতন আজও হিসাবের বাইরে।
২৫ নভেম্বরকে ঘিরে পুরো আয়োজনজুড়ে এক মিশ্র অনুভূতি। একদিকে নারী নির্যাতন ইস্যুটি আন্তর্জাতিকভাবে সচেতনতার বিবেককে নাড়া দিয়েছে, অন্যদিকে ১৯৮১ সালের নারী সম্মেলনের দাবি আজ আন্তর্জাতিকভাবে নারী-পুরুষ নির্বিশেষের অঙ্গীকার। সফলতা বটে! কিন্তু আজও এত বছর পর নারী এবং নির্যাতন আলাদা করা যাচ্ছে না। ভাগ্যের পরিহাস বটে! তাই বলে হতাশা নয়, নয় পিছিয়ে যাওয়া কিংবা ভেঙেপড়া। অন্ধকারের মধ্যেই তো জোনাক জ্বলে জোনাকের আপন স্বভাবে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য_ 'কন্যা ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই নারী-পুরুষ একসঙ্গে'_ জোনাকের মতোই গতিতে গতিতে অন্ধকার বিবেকের কাঠগড়ায় আজও জ্বলছে। তাই তো আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসের আয়োজনেও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুরুষের অঙ্গীকার, সংহতি প্রকাশ অব্যাহত।
নারীর প্রতি সহিংসতা শুধু মানবাধিকারকেই লঙ্ঘন করে না। একই সঙ্গে ব্যাহত করে পারিবারিক সম্প্রীতি, সামাজিক শৃঙ্খলা এবং জাতীয় উন্নয়ন। তাই তো এবারের প্রতিপাদ্য_
"ঋৎড়স চবধপব রহ ঃযব ঐড়সব ঃড় চবধপব রহ ঃযব ডড়ৎষফ: খবঃ্থং ঈযধষষবহমব গরষরঃধৎরংস ধহফ ঊহফ ঠরড়ষবহপব অমধরহংঃ ডড়সবহ"। চলুন না, সবাই মিলে চ্যালেঞ্জ নিই, রুখে দাঁড়াই। ফিরিয়ে আনি মনের প্রশান্তি, ঘরের শান্তি। গৃহের ছোট্ট কোণ থেকে সে প্রশান্তি ছড়িয়ে যাক পথে-প্রান্তরে, দেশ হতে দেশান্তরে। প্রাণ খুলে সমস্বরে নারী-পুরুষ গেয়ে উঠি 'ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বালো ... আগুন জ্বালো'।
১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর লতিন আমেরিকার ডমিনিকান রিপাবলিকের স্বৈরাচারী শাসক রাফায়েল ক্রজিলোর বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত বিদ্রোহ করায় প্যাট্রিয়া, মারিয়া তেরেসা ও মিনার্ভা মিরাকেল নামে তিন বোনকে হত্যা করা হয়। এ অন্যায়ের প্রতিবাদে ১৯৮১ সালে লতিন আমেরিকার নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বরকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত মানবাধিকার সম্মেলনে দিবসটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ২৫ নভেম্বর 'ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর দ্য ইলিমিনেশন অব ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন' দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৬০ থেকে ১৯৮১, ১৯৮১ থেকে ১৯৯৯ সময়ের ব্যবধান অনেক হলেও লক্ষ্যের দৃঢ়তা নিশ্চিত করেছে প্রাপ্যের প্রাপ্তিকে। লতিন আমেরিকার নারী সম্মেলনে প্রতিবাদের ঘোষণা মর্যাদা পেয়েছে জাতিসংঘে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। প্রতিবাদের ভাষা এক হতে পারে না। প্রতিরোধের দিনকেও কেউ নির্দিষ্ট করে দিতে পারে না। যেটা করতে পারে, যেটা করা সম্ভব সেটা হলো_ একটি দিনকে ঘিরে প্রতিটি দিনেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতাকে ছড়িয়ে দেওয়া। হতে পারে ২৫ নভেম্বর সেই একটি দিন। যে দিনকে ঘিরে প্রতিটি দিনই অব্যাহত থাকবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করার প্রয়াস। নারীর অধিকার মানুষের অধিকার। নারীর প্রতি নির্যাতন, মানুষের অধিকারের প্রতি নির্যাতন। প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদের সচেতনতা আজ ডালপালা ছড়িয়ে দিয়েছে নিরাপত্তায় সন্ধানে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস মিলিত হয়েছে মানবাধিকার দিবস ১০ ডিসেম্বরে। পক্ষকালব্যাপী থাকে আয়োজন। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পক্ষকালব্যাপী এ আয়োজনের উদ্যোক্তা উইমেন এইড ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক পিদা রিপ্লে। তিনি এই আয়োজনের নাম দেন 'সিক্সটিন ডেজ অব অ্যাকটিভিশন এগেইনস্ট জেন্ডার ভায়োলেন্স'। পক্ষকালব্যাপী এ আয়োজনে স্থান করে নেয় 'হোয়াইট রিবন ক্যাম্পেইন'। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কানাডিয়ান একজন পুরুষের উদ্যোগে এ ক্যাম্পেইন শুরুতে ছিল একটি বিরল দৃষ্টান্ত। নারীর ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কোনো অধিকার নেই, শুধু এই ভ্রান্ত ধারণার ওপর ভিত্তি করে মনট্রিলে ১৪ জন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর অল্প বয়সী কানাডিয়ান মেয়েকে হত্যা করে একজন পুরুষ। নির্মম এ ঘটনাকে স্মরণ করে ৬ ডিসেম্বর প্রতিবাদ হিসেবে পালন করা হয় 'হোয়াইট রিবন' নামে নারীর প্রতি নির্যাতন বন্ধে প্রতিবাদ ক্যাম্পেইন। ২০০০ সাল থেকে পক্ষকালব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস পালিত হচ্ছে। ন্যায়বোধ ও মানবতাবোধের মানদণ্ডে এ আয়োজন আজ আর নারী সংগঠন কিংবা নারী নেত্রীদের বলয়ে আবদ্ধ নয়। উপলব্ধির অগ্রগতি আজ সবার বিবেকের তাড়না।
সারাবিশ্বে ক্যান্সার, এইডস, ম্যালেরিয়া, সড়ক দুর্ঘটনা, যুদ্ধ কিংবা অন্য কারণে নারীর মৃত্যুর চেয়ে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার কারণে নারী মৃত্যুর সংখ্যা আজও অনেক বেশি। ৭০ শতাংশ নারী নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার। সারাবিশ্বে প্রতি ১০ নারীর ভেতর ৬ জনই কোনো না কোনোভাবে সরাসরি শারীরিক কিংবা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মানসিক, সামাজিক কিংবা অর্থনৈতিক নির্যাতনের কথা বলাবাহুল্য। বেসরকারি সংস্থা অধিকারের হিসাব অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি ২০০৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ পর্যন্ত বাংলাদেশে ১ হাজার ২৫৭ নারী খুন হয়েছে এবং ২৪৩ নারী যৌতুকের কারণে নির্যাতিত হয়ে আত্মহত্যা করেছে। এসিড সহিংসতার শিকার হয়েছে ৫২৬জন এবং ১ হাজার ৮৭৬ নারী ও ১ হাজার ৫৯৮ জন মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এতো গেল আক্ষরিক অর্থে নির্যাতনের পরিসংখ্যান। বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য নির্যাতন আজও হিসাবের বাইরে।
২৫ নভেম্বরকে ঘিরে পুরো আয়োজনজুড়ে এক মিশ্র অনুভূতি। একদিকে নারী নির্যাতন ইস্যুটি আন্তর্জাতিকভাবে সচেতনতার বিবেককে নাড়া দিয়েছে, অন্যদিকে ১৯৮১ সালের নারী সম্মেলনের দাবি আজ আন্তর্জাতিকভাবে নারী-পুরুষ নির্বিশেষের অঙ্গীকার। সফলতা বটে! কিন্তু আজও এত বছর পর নারী এবং নির্যাতন আলাদা করা যাচ্ছে না। ভাগ্যের পরিহাস বটে! তাই বলে হতাশা নয়, নয় পিছিয়ে যাওয়া কিংবা ভেঙেপড়া। অন্ধকারের মধ্যেই তো জোনাক জ্বলে জোনাকের আপন স্বভাবে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য_ 'কন্যা ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই নারী-পুরুষ একসঙ্গে'_ জোনাকের মতোই গতিতে গতিতে অন্ধকার বিবেকের কাঠগড়ায় আজও জ্বলছে। তাই তো আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসের আয়োজনেও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পুরুষের অঙ্গীকার, সংহতি প্রকাশ অব্যাহত।
নারীর প্রতি সহিংসতা শুধু মানবাধিকারকেই লঙ্ঘন করে না। একই সঙ্গে ব্যাহত করে পারিবারিক সম্প্রীতি, সামাজিক শৃঙ্খলা এবং জাতীয় উন্নয়ন। তাই তো এবারের প্রতিপাদ্য_
"ঋৎড়স চবধপব রহ ঃযব ঐড়সব ঃড় চবধপব রহ ঃযব ডড়ৎষফ: খবঃ্থং ঈযধষষবহমব গরষরঃধৎরংস ধহফ ঊহফ ঠরড়ষবহপব অমধরহংঃ ডড়সবহ"। চলুন না, সবাই মিলে চ্যালেঞ্জ নিই, রুখে দাঁড়াই। ফিরিয়ে আনি মনের প্রশান্তি, ঘরের শান্তি। গৃহের ছোট্ট কোণ থেকে সে প্রশান্তি ছড়িয়ে যাক পথে-প্রান্তরে, দেশ হতে দেশান্তরে। প্রাণ খুলে সমস্বরে নারী-পুরুষ গেয়ে উঠি 'ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বালো ... আগুন জ্বালো'।
No comments