শারমিনেরও 'সিক্সটি নাইন' সৌভাগ্য!
সুপ্তার মাঝে 'সুপ্ত' প্রতিভার সন্ধান মিলেছিল আগেই। কোচ মমতা মাবেন জানতেন যে সুযোগ দেওয়া হলে এ মেয়েও তাঁর প্রতিভার স্ফুরণ ঘটাতে পারবে। কিন্তু সুযোগ যে দেওয়াই যাচ্ছিল না! কারণ? বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের ভারতীয় কোচ সে ব্যাখ্যায় বলছিলেন, 'জানতাম যে খেলালে সুপ্তাও ভালো করবে। কিন্তু আয়েশা আবার দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার। গত তিন-চার বছর ধরেই সে বাংলাদেশের হয়ে খেলছে।'
মহিলা বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে বাংলাদেশের প্রথম ছয়টি ম্যাচেই টানা ব্যর্থতা সত্ত্বেও তাই খেলার সুযোগ পেয়ে এসেছেন আয়েশা। যদিও এমন একটা প্রচার আছে যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মহিলা ক্রিকেট কমিটি প্রধানের জেলা জামালপুরের মেয়ে হওয়াটাই এ ওপেনারের আশীর্বাদ হয়ে ছিল! কিন্তু ওয়ানডে মর্যাদা অর্জনের পর প্রথম এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার আগের রাতে সেটাও আর ধোপে টিকল না। কোচ যেমন বলছিলেন, 'আমাদের ওয়ানডে স্ট্যাটাস নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল ওপেনিংয়ে পরিবর্তন এনে সুপ্তাকে খেলানোর এটাই সঠিক সময়।'
আর সে সঠিক সময়ে কী দারুণভাবেই না জ্বলে উঠলেন শারমীন আক্তার সুপ্তা। প্রায় পুরো আসর সাজঘরে বসে দেখা বিকেএসপির উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের এ ছাত্রী বাংলাদেশের প্রথম এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেই যে ইতিহাসে ঠাঁই করে নিলেন। বাংলাদেশে ছেলেদের ক্রিকেটে আজহার হোসেন শান্টু যে জায়গাটায় বসে, মেয়েদের ক্ষেত্রে ঠিক সেখানেই বসলেন তিনি। এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের প্রথম হাফ সেঞ্চুরিয়ান। ১৯৯০ সালের ২৮ এপ্রিল শারজায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ফিফটি করা শান্টুর কথা একদমই জানা নেই সুপ্তার। জানার কথাও নয়, কেননা তখনো যে তাঁর জন্মও হয়নি! তবে জানানোর লোক তো দলে আছেন! কিন্তু সাবেক ক্রিকেটার ও মেয়েদের দলের ম্যানেজার-কাম-টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার দীপু রায় চৌধুরীও তো কাল বিকেলে হি হি করে হাসতে হাসতে বললেন, 'আমারও ঠিক মনে নেই।'
সুপ্তা অবশ্য দূর অতীত নয়, সাম্প্রতিক অতীত থেকেই ম্যাচ খেলতে নামার আগে অনুপ্রেরণা খুঁজে নিয়েছেন। গাইবান্ধার পলাশপাড়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। পাশের গ্রামেই জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাঈম ইসলামদের পৈতৃক ভিটা। তবে নাঈম নন, একই জেলার আরেক জাতীয় ক্রিকেটার নাসির হোসেনই ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণা। আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে নাসিরের জার্সি নম্বরই সুপ্তার সাফল্যের ক্ষুধা বাড়িয়ে দিয়েছিল আরো। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১১১ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলা সুপ্তা জয়োৎসব করার এক ফাঁকে এসে সে গল্পই বলে গেলেন, 'গতকাল (পরশু) রাতে কোচ আর ক্যাপ্টেন এসে আমাকে জানান যে এ ম্যাচে আমি খেলছি। তখন থেকেই কেবল ভাবছিলাম নাসির ভাইয়ের মতো কিছু একটা করতে হবে। ওনার জার্সি নম্বর সিঙ্টি নাইন। আমারও তাই। উনি তাঁর ওয়ানডে ডেব্যুতে ফিফটি (গত আগস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ রান) করেছিলেন। আমিও তাঁর মতো ফিফটি করতে চাচ্ছিলাম।'
সেটি হয়ে গেল মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলাদেশের 'প্রথম'ও। সর্বশেষ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে বিকেএসপির হয়ে খেলে একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি চার চারটি ফিফটির মধ্যে আছে একটি ৯৯ রানের ইনিংসও। সামর্থ্যের জানান তাই দিয়ে রেখেছিলেন আগেই। কিন্তু বাছাই পর্বে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে সেটি পেতেই দেখা গেল 'সুপ্ত' প্রতিভার প্রকাশও!
আর সে সঠিক সময়ে কী দারুণভাবেই না জ্বলে উঠলেন শারমীন আক্তার সুপ্তা। প্রায় পুরো আসর সাজঘরে বসে দেখা বিকেএসপির উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের এ ছাত্রী বাংলাদেশের প্রথম এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেই যে ইতিহাসে ঠাঁই করে নিলেন। বাংলাদেশে ছেলেদের ক্রিকেটে আজহার হোসেন শান্টু যে জায়গাটায় বসে, মেয়েদের ক্ষেত্রে ঠিক সেখানেই বসলেন তিনি। এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের প্রথম হাফ সেঞ্চুরিয়ান। ১৯৯০ সালের ২৮ এপ্রিল শারজায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ফিফটি করা শান্টুর কথা একদমই জানা নেই সুপ্তার। জানার কথাও নয়, কেননা তখনো যে তাঁর জন্মও হয়নি! তবে জানানোর লোক তো দলে আছেন! কিন্তু সাবেক ক্রিকেটার ও মেয়েদের দলের ম্যানেজার-কাম-টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার দীপু রায় চৌধুরীও তো কাল বিকেলে হি হি করে হাসতে হাসতে বললেন, 'আমারও ঠিক মনে নেই।'
সুপ্তা অবশ্য দূর অতীত নয়, সাম্প্রতিক অতীত থেকেই ম্যাচ খেলতে নামার আগে অনুপ্রেরণা খুঁজে নিয়েছেন। গাইবান্ধার পলাশপাড়া গ্রামে তাঁর বাড়ি। পাশের গ্রামেই জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাঈম ইসলামদের পৈতৃক ভিটা। তবে নাঈম নন, একই জেলার আরেক জাতীয় ক্রিকেটার নাসির হোসেনই ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণা। আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে নাসিরের জার্সি নম্বরই সুপ্তার সাফল্যের ক্ষুধা বাড়িয়ে দিয়েছিল আরো। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১১১ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলা সুপ্তা জয়োৎসব করার এক ফাঁকে এসে সে গল্পই বলে গেলেন, 'গতকাল (পরশু) রাতে কোচ আর ক্যাপ্টেন এসে আমাকে জানান যে এ ম্যাচে আমি খেলছি। তখন থেকেই কেবল ভাবছিলাম নাসির ভাইয়ের মতো কিছু একটা করতে হবে। ওনার জার্সি নম্বর সিঙ্টি নাইন। আমারও তাই। উনি তাঁর ওয়ানডে ডেব্যুতে ফিফটি (গত আগস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ রান) করেছিলেন। আমিও তাঁর মতো ফিফটি করতে চাচ্ছিলাম।'
সেটি হয়ে গেল মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলাদেশের 'প্রথম'ও। সর্বশেষ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে বিকেএসপির হয়ে খেলে একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি চার চারটি ফিফটির মধ্যে আছে একটি ৯৯ রানের ইনিংসও। সামর্থ্যের জানান তাই দিয়ে রেখেছিলেন আগেই। কিন্তু বাছাই পর্বে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে সেটি পেতেই দেখা গেল 'সুপ্ত' প্রতিভার প্রকাশও!
No comments