মুম্বাই হামলার তৃতীয় বার্ষিকী-জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান ভারতের

মুম্বাইয়ে হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সুস্পষ্ট পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। সন্ত্রাসীদের এমন কর্মকাণ্ড মুম্বাইকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করেছিল।' মুম্বাই হামলার পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এ কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ। গতকাল শনিবার মুম্বাই হামলার তৃতীয় বার্ষিকীতে তিনি এ কথা বলেন।


রাজধানী নয়াদিলি্লতে সংবাদ সম্মেলনে কৃষ্ণ বলেন, হামলার পরিকল্পনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ সরবরাহ করা হয়েছে। 'আমার মতে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুম্বাই হামলা মামলার যথেষ্ট তথ্য ও প্রমাণ পাকিস্তানকে দিয়েছে, যা দিয়ে যেকোনো আদালতে জড়িতদের বিচার করা সম্ভব। এ অপরাধে মূল হোতা ও জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।'
পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া'র প্রধান হাফিজ সাইদকে মুম্বাই হামলার মূল হোতা হিসেবে মনে করে ভারত। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানের প্রতি অনেক দিন ধরেই আহ্বান জানিয়ে আসছে নয়াদিলি্ল। মুম্বাই হামলায় তার সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে পাকিস্তানকে তথ্য-প্রমাণ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান কৃষ্ণ।
তবে সন্ত্রাসী হামলা রোধে ভারত সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছে প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলের মুখপাত্র প্রকাশ জাভেদকর বলেন, 'দেশবাসীর আশা ছিল দেশকে নিরাপদ রাখতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতেও সক্ষম হয়নি সরকার। এমন পরিস্থিতিতে জনগণ তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।'
গত শুক্রবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেন, হাফিজ সাইদের বিরুদ্ধে ভারত পর্যাপ্ত প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। 'অপরাধে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ হাফিজ সাইদের বিরুদ্ধে নেই_বিষয়টি তিনি জেনে গেল তাকে আটকে রাখা যাবে না। গ্রেপ্তারের পর তিনি সহজেই হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট থেকে ছাড়া পেয়ে যাবেন। আমরা তাকে জেলে আটকে রাখতে পারব না।' এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে পাকিস্তানভিত্তিক ১০ সদস্যের একটি জঙ্গি দল হামলা চালায়। এতে বিদেশিসহ ১৬৬ জন নিহত হয়। মুম্বাইয়ে হামলার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সাজা কার্যকর হয়নি একমাত্র জীবিত হামলাকারী আজমল আমির কাসাবের। ভারতের সন্ত্রাসদমন বিশেষ আদালত গত ফেব্রুয়ারিতে কাসাবকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। সূত্র : এনডিটিভি, পিটিআই।

No comments

Powered by Blogger.