মুম্বাইয়ে টেস্ট থ্রিলার
বলিউডের চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে এই টেস্ট। মুম্বাই টেস্টের প্রথম চার দিন দেখে ঘুণাক্ষরেও ভাবা যায়নি এমন রোমাঞ্চকর পরিণতি অপেক্ষা করছে ওয়াংখেড়েতে। প্রথম চার দিনের ইঙ্গিতমতো টেস্ট ড্র হয়েছে ঠিকই; কিন্তু স্কোর সমতার পর। থ্রিলার শেষে ভারত সিরিজ জিতেছে ২-০-তে।ওয়াংখেড়েতে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে গতকাল যা ঘটেছে, সেটা দ্বিতীয় ঘটনা। সর্বশেষ ঘটনার সাক্ষী জিম্বাবুয়ে ও ইংল্যান্ড। ১৯৯৬ সালে বুলাওয়ে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে
অনুষ্ঠিত সেই টেস্টও স্কোর সমতার পর ড্র হয়েছিল। উভয় ইনিংসেই দুই দলের মোট স্কোর ছিল ৬১০।
রবিচন্দ্র অশ্বিন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতেছেন। ম্যান অব দ্য সিরিজও তিনি। তাৎক্ষণিক মুহূর্তের নায়ক তিনি নন। অথচ শেষ বলে মাত্র দুটি রান করতে পারলে সবকিছু ছাপিয়ে তিনি নায়ক হতে পারতেন। শেষ পর্যন্ত হতে পারেননি। মাত্র ১ রান করতে পেরেছেন অশ্বিন। ৯ উইকেটে ২৪২ রান করার পর ওভার শেষ। দুই দলের দুই ইনিংসের স্কোরের যোগফল তখন ৭২৪। উইকেট পড়েছে ৩৯টি।
মুম্বাইয়ে গতকাল টেস্ট ক্রিকেটের যে রোমাঞ্চকর চিত্রনাট্য প্রদর্শিত হয়েছে, তা কল্পনাকেও হার মানাবে। প্রথম সেশনের শুরুই হয় চার দিনের স্মৃতিকে ভোলানোর উদ্দেশ্য নিয়ে। আগের দিন ২ উইকেটে ৮১ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই স্পিনারের তোপের মুখে পড়ে। প্রথম পাঁচ উইকেট তুলে নেন প্রজ্ঞান ওঝা। এরপর হাত লাগান রবিচন্দ্র অশ্বিন। শেষ পর্যন্ত ওঝার ৬ উইকেট এবং অশ্বিনের ৪ উইকেট দখলের ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩৪ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের জন্য ভারতের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ২৪৩ রানের।
ভারতের শুরুটাও হয় আশানুরূপ। প্রত্যাশিতভাবেই তারা টার্গেটের দিকে এগোতে থাকে। স্কোর বোর্ডে মাত্র ১৯ রান উঠতেই গৌতম গম্ভীর ফিরে গেলেও রানের চাকা সচল রাখেন শেবাগ আর দ্রাবিড়। মাত্র ১৯ ওভারে শতরানের গণ্ডি স্পর্শ করে ভারত। ১০১ রানের মাথায় শেবাগ আউট হওয়ার পরই টেস্টের পরিণতি রোমাঞ্চের দিকে মোড় নেয়। দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শচীন ও রাহুল দ্রাবিড়। একটু পরই তাদের অনুসরণ করেন লক্ষ্মণ। এরপর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ফিরে গেলে পরাজয়ের শঙ্কা ঘনিয়ে আসে ভারতের ভাগ্যে। ঠিক তখনই ভরসা হয়ে দাঁড়ায় বিরাট কোহলি ও অশ্বিনের ব্যাট; কিন্তু দলকে জয়ের বন্দরে নেওয়ার আগেই আউট হয়েছেন কোহলি। ব্যক্তিগত ৬৩ রানে তিনি ফিরে যাওয়ার পর শুরু হয় চূড়ান্ত নাটক। ওভার কমতে থাকে। আর জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলতে থাকেন ইশান্ত শর্মা ও রবিচন্দ্র অশ্বিন। স্পিনারদের বিরুদ্ধে এক রান নিয়ে ব্যবধান কমাতে থাকেন দু'জন। ফলে স্যামি বল তুলে দেন পেসারদের হাতে। রামপাল ফিরিয়ে দেন ইশান্ত শর্মাকে। তিনি মহামূল্যবান ১০ রান করেছেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৩ রানের। স্ট্রাইকিং এন্ডে তখন নবাগত বরুন অ্যারোন। তিনি চতুর্থ বলে ১ রান নিয়ে জায়গা বদল করেন। সুযোগ পান অশ্বিন। নায়ক থেকে মহানায়ক হওয়ার মুহূর্তে এসে দাঁড়ান প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান। পঞ্চম বলে রান হয়নি। শেষ বলে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ২ রান। স্ট্রেট ড্রাইভ খেলেন অশ্বিন; কিন্তু গড়ানো বল পেঁৗছায় লং অনে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতে। ১ রান পূরণ করেন বরুন ও অশ্বিন; কিন্তু দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে অশ্বিন রান আউট হলে টেস্ট ড্র হয়।
এই ফল ক্যারিবীয় অধিনায়ককে এতটাই তৃপ্ত করেছে যে, পাঁচ মিনিট টানা হেসেছেন তিনি। কিন্তু তার চেয়েও বেশি খুশি বোধহয় ব্রাভো। টেস্ট হারলে তিনি ধোনির ট্যাটু আঁকার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন পিঠে। যেহেতু ম্যাচ ড্র_ তাই প্রতিপক্ষ অধিনায়কের ট্যাটু আঁকার দায় থাকল না তার। কিন্তু বেশি হতাশ বোধহয় কোহলি। কোচ ডানকান ফ্লেচারের সান্ত্বনার হাত কি পারবে ৬৩ রানে উইকেট ছুড়ে দেওয়ার দুঃখ ভোলাতে!
রবিচন্দ্র অশ্বিন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতেছেন। ম্যান অব দ্য সিরিজও তিনি। তাৎক্ষণিক মুহূর্তের নায়ক তিনি নন। অথচ শেষ বলে মাত্র দুটি রান করতে পারলে সবকিছু ছাপিয়ে তিনি নায়ক হতে পারতেন। শেষ পর্যন্ত হতে পারেননি। মাত্র ১ রান করতে পেরেছেন অশ্বিন। ৯ উইকেটে ২৪২ রান করার পর ওভার শেষ। দুই দলের দুই ইনিংসের স্কোরের যোগফল তখন ৭২৪। উইকেট পড়েছে ৩৯টি।
মুম্বাইয়ে গতকাল টেস্ট ক্রিকেটের যে রোমাঞ্চকর চিত্রনাট্য প্রদর্শিত হয়েছে, তা কল্পনাকেও হার মানাবে। প্রথম সেশনের শুরুই হয় চার দিনের স্মৃতিকে ভোলানোর উদ্দেশ্য নিয়ে। আগের দিন ২ উইকেটে ৮১ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই স্পিনারের তোপের মুখে পড়ে। প্রথম পাঁচ উইকেট তুলে নেন প্রজ্ঞান ওঝা। এরপর হাত লাগান রবিচন্দ্র অশ্বিন। শেষ পর্যন্ত ওঝার ৬ উইকেট এবং অশ্বিনের ৪ উইকেট দখলের ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩৪ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের জন্য ভারতের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ২৪৩ রানের।
ভারতের শুরুটাও হয় আশানুরূপ। প্রত্যাশিতভাবেই তারা টার্গেটের দিকে এগোতে থাকে। স্কোর বোর্ডে মাত্র ১৯ রান উঠতেই গৌতম গম্ভীর ফিরে গেলেও রানের চাকা সচল রাখেন শেবাগ আর দ্রাবিড়। মাত্র ১৯ ওভারে শতরানের গণ্ডি স্পর্শ করে ভারত। ১০১ রানের মাথায় শেবাগ আউট হওয়ার পরই টেস্টের পরিণতি রোমাঞ্চের দিকে মোড় নেয়। দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শচীন ও রাহুল দ্রাবিড়। একটু পরই তাদের অনুসরণ করেন লক্ষ্মণ। এরপর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ফিরে গেলে পরাজয়ের শঙ্কা ঘনিয়ে আসে ভারতের ভাগ্যে। ঠিক তখনই ভরসা হয়ে দাঁড়ায় বিরাট কোহলি ও অশ্বিনের ব্যাট; কিন্তু দলকে জয়ের বন্দরে নেওয়ার আগেই আউট হয়েছেন কোহলি। ব্যক্তিগত ৬৩ রানে তিনি ফিরে যাওয়ার পর শুরু হয় চূড়ান্ত নাটক। ওভার কমতে থাকে। আর জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলতে থাকেন ইশান্ত শর্মা ও রবিচন্দ্র অশ্বিন। স্পিনারদের বিরুদ্ধে এক রান নিয়ে ব্যবধান কমাতে থাকেন দু'জন। ফলে স্যামি বল তুলে দেন পেসারদের হাতে। রামপাল ফিরিয়ে দেন ইশান্ত শর্মাকে। তিনি মহামূল্যবান ১০ রান করেছেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৩ রানের। স্ট্রাইকিং এন্ডে তখন নবাগত বরুন অ্যারোন। তিনি চতুর্থ বলে ১ রান নিয়ে জায়গা বদল করেন। সুযোগ পান অশ্বিন। নায়ক থেকে মহানায়ক হওয়ার মুহূর্তে এসে দাঁড়ান প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান। পঞ্চম বলে রান হয়নি। শেষ বলে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ২ রান। স্ট্রেট ড্রাইভ খেলেন অশ্বিন; কিন্তু গড়ানো বল পেঁৗছায় লং অনে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতে। ১ রান পূরণ করেন বরুন ও অশ্বিন; কিন্তু দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে অশ্বিন রান আউট হলে টেস্ট ড্র হয়।
এই ফল ক্যারিবীয় অধিনায়ককে এতটাই তৃপ্ত করেছে যে, পাঁচ মিনিট টানা হেসেছেন তিনি। কিন্তু তার চেয়েও বেশি খুশি বোধহয় ব্রাভো। টেস্ট হারলে তিনি ধোনির ট্যাটু আঁকার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন পিঠে। যেহেতু ম্যাচ ড্র_ তাই প্রতিপক্ষ অধিনায়কের ট্যাটু আঁকার দায় থাকল না তার। কিন্তু বেশি হতাশ বোধহয় কোহলি। কোচ ডানকান ফ্লেচারের সান্ত্বনার হাত কি পারবে ৬৩ রানে উইকেট ছুড়ে দেওয়ার দুঃখ ভোলাতে!
No comments