পবিত্র কোরআনের আলো-পশু-পাখির মাংস হালাল হওয়ার জন্য আল্লাহর নামে জবাই করা শর্ত
১১৫. ওয়া তাম্মাত কালিমাতু রাবি্বকা সিদক্বাওঁ ওয়া আ'দলা-; লা-মুবাদ্দিলা লিকালিমাতিহী ওয়া হুওয়াছ্ ছামীউ'ল আ'লীম।১১৬. ওয়া ইন তুতি্ব' আকছারা মান ফিল আরদ্বি ইউদ্বিল্লূকা আ'ন ছাবীলিল্লাহ; ইইঁ-ইয়াত্তাবিঊ'না ইল্লায্যান্না ওয়া ইন হুম্ ইল্লা ইয়াখরুসূন।১১৭. ইন্না রাব্বাকা হুওয়া আ'লামু মাইঁইউদ্বিল্লু আ'ন ছাবীলিহ; ওয়া হুওয়া আ'লামু বিলমুহ্তাদীন।
১১৮. ফাকুলূ মিম্মা যুকিরাছ্মুল্লাহি আ'লাইহি ইন কুনতুম বিআয়াতিহী মু'মিনীন। [সুরা : আল আনয়াম, আয়াত : ১১৫-১১৮]
অনুবাদ : ১১৫. সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আপনার প্রভুর বাণী পূর্ণ হয়ে গেছে। তাঁর কথার পরিবর্তন করার কেউ নেই। তিনি সব কিছু শোনেন ও সব কিছু জানেন।
১১৬. (হে মুহাম্মদ) আপনি যদি দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষের কথা মেনে চলেন, তাহলে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে ছাড়বে। কেননা এরা কেবল অমূলক ধারণার অনুসরণ করে এবং কাল্পনিক কথাবার্তা বলে।
১১৭. আপনার প্রভু নিঃসন্দেহে ভালো করেই জানেন, কে তাঁর পথ ছেড়ে বিপথগামী হচ্ছে; আর তিনি জানেন, কে সঠিক পথের অনুসারী।
১১৮. যদি তোমরা আল্লাহর আয়াতের ওপর বিশ্বাসী হও, তবে আল্লাহর নামে জবাই করা জীব খাবে।
ব্যাখ্যা : ১১৫ নম্বর আয়াতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রভুর যে বাণীর কথা বলা হয়েছে, তাতে কোরআন মজিদের দিকে এবং সেই সঙ্গে পূর্ববর্তী কিতাবগুলোর দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এখানে ইসলামের ইমান ও আকিদাসংক্রান্ত বিষয়গুলো যে ইতিমধ্যেই বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে যে তাঁর বাণী চিরন্তন, এর কোনো পরিবর্তন নেই এবং এই বাণী সর্বকালের। ১১৬ নম্বর আয়াতে একটি তাৎপর্যপূর্ণ সত্য কথা বলা হয়েছে, যা দৃশ্যত অরাজনৈতিক এবং আধুনিক গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যতিক্রম। রাজনৈতিক নেতারা দেশের অধিকাংশ মানুষ তথা মেজরিটির মতামতের ভিত্তিতে চলতে চেষ্টা করেন। আবার সমাজসংস্কারকদের অধিকাংশ সময়ই চলতে হয় এর উল্টো পথে। অর্থাৎ সমাজের অধিকাংশ মানুষই তাঁদের বিরোধিতা করে। রাসুল (সা.) একাধারে রাজনীতিক ও সমাজসংস্কারক_সবই ছিলেন। তবে সত্য ও ন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করাই ছিল তাঁর প্রধান কাজ। সে জন্য বিভ্রান্ত সমাজের প্রেক্ষাপটে তিনি ছিলেন প্রধানত সমাজসংস্কারক। এ আয়াতে সে কথাটাই খুলে বলা হয়েছে।
১১৮ নম্বর আয়াতে পশু-পাখির মাংস হালাল হওয়ার জন্য আল্লাহর নামে জবেহ করার বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। কথিত আছে, পারস্য দেশীয় অগি্নপূজকরা একবার মক্কার কোরাইশদের কাছে এক চিঠি লিখে পাঠাল যে তোমাদের শহরের সেই নিরক্ষর নবীকে জিজ্ঞেস করো যে এটা তাঁদের কেমন ধর্ম যে তাঁরা নিজেদের জবেহ করা জীবের মাংস খাবেন, আর তাঁদের ঈশ্বর যে জীবকে মারেন তা খাবেন না। এ সম্বন্ধে আল্লাহ এই আয়াতগুলো নাজিল করেন। জবেহ করার বিধান অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত, স্বাস্থ্যসম্মত এবং মানবিক। জবাইয়ের মাধ্যমে প্রাণীর তাজা রক্ত নিঃসৃত হয়। মরা বা দূষিত প্রাণী থেকে সেরূপ রক্ত নিঃসৃত হয় না। আল্লাহর নামে জবাই করার মধ্য দিয়ে মানুষ হিংস্রতা ও নৃশংসতা থেকে মুক্ত থাকে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ১১৫. সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আপনার প্রভুর বাণী পূর্ণ হয়ে গেছে। তাঁর কথার পরিবর্তন করার কেউ নেই। তিনি সব কিছু শোনেন ও সব কিছু জানেন।
১১৬. (হে মুহাম্মদ) আপনি যদি দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষের কথা মেনে চলেন, তাহলে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে ছাড়বে। কেননা এরা কেবল অমূলক ধারণার অনুসরণ করে এবং কাল্পনিক কথাবার্তা বলে।
১১৭. আপনার প্রভু নিঃসন্দেহে ভালো করেই জানেন, কে তাঁর পথ ছেড়ে বিপথগামী হচ্ছে; আর তিনি জানেন, কে সঠিক পথের অনুসারী।
১১৮. যদি তোমরা আল্লাহর আয়াতের ওপর বিশ্বাসী হও, তবে আল্লাহর নামে জবাই করা জীব খাবে।
ব্যাখ্যা : ১১৫ নম্বর আয়াতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রভুর যে বাণীর কথা বলা হয়েছে, তাতে কোরআন মজিদের দিকে এবং সেই সঙ্গে পূর্ববর্তী কিতাবগুলোর দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এখানে ইসলামের ইমান ও আকিদাসংক্রান্ত বিষয়গুলো যে ইতিমধ্যেই বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে যে তাঁর বাণী চিরন্তন, এর কোনো পরিবর্তন নেই এবং এই বাণী সর্বকালের। ১১৬ নম্বর আয়াতে একটি তাৎপর্যপূর্ণ সত্য কথা বলা হয়েছে, যা দৃশ্যত অরাজনৈতিক এবং আধুনিক গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যতিক্রম। রাজনৈতিক নেতারা দেশের অধিকাংশ মানুষ তথা মেজরিটির মতামতের ভিত্তিতে চলতে চেষ্টা করেন। আবার সমাজসংস্কারকদের অধিকাংশ সময়ই চলতে হয় এর উল্টো পথে। অর্থাৎ সমাজের অধিকাংশ মানুষই তাঁদের বিরোধিতা করে। রাসুল (সা.) একাধারে রাজনীতিক ও সমাজসংস্কারক_সবই ছিলেন। তবে সত্য ও ন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করাই ছিল তাঁর প্রধান কাজ। সে জন্য বিভ্রান্ত সমাজের প্রেক্ষাপটে তিনি ছিলেন প্রধানত সমাজসংস্কারক। এ আয়াতে সে কথাটাই খুলে বলা হয়েছে।
১১৮ নম্বর আয়াতে পশু-পাখির মাংস হালাল হওয়ার জন্য আল্লাহর নামে জবেহ করার বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। কথিত আছে, পারস্য দেশীয় অগি্নপূজকরা একবার মক্কার কোরাইশদের কাছে এক চিঠি লিখে পাঠাল যে তোমাদের শহরের সেই নিরক্ষর নবীকে জিজ্ঞেস করো যে এটা তাঁদের কেমন ধর্ম যে তাঁরা নিজেদের জবেহ করা জীবের মাংস খাবেন, আর তাঁদের ঈশ্বর যে জীবকে মারেন তা খাবেন না। এ সম্বন্ধে আল্লাহ এই আয়াতগুলো নাজিল করেন। জবেহ করার বিধান অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত, স্বাস্থ্যসম্মত এবং মানবিক। জবাইয়ের মাধ্যমে প্রাণীর তাজা রক্ত নিঃসৃত হয়। মরা বা দূষিত প্রাণী থেকে সেরূপ রক্ত নিঃসৃত হয় না। আল্লাহর নামে জবাই করার মধ্য দিয়ে মানুষ হিংস্রতা ও নৃশংসতা থেকে মুক্ত থাকে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments