পাকিস্তানে ন্যাটোর বিমান হামলা, ২৮ সেনা নিহত-* ১০ বছরের মধ্যে পাকিস্তানে ন্যাটোর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা -* কাবুলে ন্যাটোর রসদ সরবরাহের পথ বন্ধ
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় মোহমান্দ এলাকার একটি তল্লাশি চৌকিতে গতকাল শনিবার ন্যাটো বাহিনীর হেলিকপ্টার হামলায় কমপক্ষে ২৮ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৪ জন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। হামলার কঠোর সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ন্যাটোর রসদ সরবরাহের পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ।
আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের মোহমান্দের বাইজাই এলাকার সালালা তল্লাশি চৌকিতে এ হামলা চালায় ন্যাটো। এ ঘটনাকে 'বিনা উসকানিতে এলোপাতাড়ি' হামলা বলে অভিহিত করেছে পাকিস্তান। ১০ বছর ধরে আফগানিস্তানের চলা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে চালানো ন্যাটোর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
মোহমান্দ পাকিস্তানের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ওই তল্লাশি চৌকিটি আফগানিস্তানের সীমান্ত থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ন্যাটোর হেলিকপ্টার তল্লাশি চৌকিটিতে দুই দফা হামলা চালায়। তিনি বলেন, 'মোহমান্দ এলাকায় তল্লাশি চৌকিতে ন্যাটো বিনা উসকানিতে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।' নিহত সেনাদের মধ্যে দুজন ঊর্ধ্বর্তন কর্মকর্তাও আছেন বলে দাবি করেন তিনি। পেশোয়ারের এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, 'হতাহতের খবর পেয়েছি। তবে সেনা চৌকিটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।' খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের গভর্নর মাসুদ কাওসার হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, 'সীমান্তের অন্য প্রান্ত থেকে চালানো এ ধরনের হামলা অগ্রহণযোগ্য এবং এটা মেনে নেওয়া হবে না।' তিনি এ হামলাকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ন্যাটোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা হামলা সম্পর্কে অবগত আছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। ন্যাটোর কমান্ডার জেনারেল জন অ্যালেন বলেন, 'বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্ত করা হবে। হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীরভাবে সমবেদনা প্রকাশ করছি।'
হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'পাকিস্তানের সেনা তল্লাশি চৌকিতে ন্যাটোর চালানো হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি।' এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী করাচি সফর সংক্ষিপ্ত করে ইসলামাবাদে ফিরে এসেছেন। সামরিক বাহিনীও হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। হামলার প্রতিবাদে আফগানিস্তানে অবস্থানরত ন্যাটো সেনাদের রসদ সরবরাহের পথ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। সরকারি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মুতাহির জেব বলেন, 'আমরা রসদবাহী ট্রাকের চলাচল স্থগিত রেখেছি। জামরুদ সীমান্ত থেকে রসদ ও তেলবাহী ৪০টি ট্যাংকার ও ট্রাক ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।' আরেক কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তার খাতিরে রসদ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা নিয়ে ছয় মাস ধরেই ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। এর মধ্যেই নতুন করে এ হামলার ঘটনা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো নাজুক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : বিবিসি।
মোহমান্দ পাকিস্তানের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ওই তল্লাশি চৌকিটি আফগানিস্তানের সীমান্ত থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ন্যাটোর হেলিকপ্টার তল্লাশি চৌকিটিতে দুই দফা হামলা চালায়। তিনি বলেন, 'মোহমান্দ এলাকায় তল্লাশি চৌকিতে ন্যাটো বিনা উসকানিতে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।' নিহত সেনাদের মধ্যে দুজন ঊর্ধ্বর্তন কর্মকর্তাও আছেন বলে দাবি করেন তিনি। পেশোয়ারের এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, 'হতাহতের খবর পেয়েছি। তবে সেনা চৌকিটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।' খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের গভর্নর মাসুদ কাওসার হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, 'সীমান্তের অন্য প্রান্ত থেকে চালানো এ ধরনের হামলা অগ্রহণযোগ্য এবং এটা মেনে নেওয়া হবে না।' তিনি এ হামলাকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ন্যাটোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা হামলা সম্পর্কে অবগত আছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। ন্যাটোর কমান্ডার জেনারেল জন অ্যালেন বলেন, 'বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্ত করা হবে। হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি আমি গভীরভাবে সমবেদনা প্রকাশ করছি।'
হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'পাকিস্তানের সেনা তল্লাশি চৌকিতে ন্যাটোর চালানো হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি।' এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী করাচি সফর সংক্ষিপ্ত করে ইসলামাবাদে ফিরে এসেছেন। সামরিক বাহিনীও হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। হামলার প্রতিবাদে আফগানিস্তানে অবস্থানরত ন্যাটো সেনাদের রসদ সরবরাহের পথ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। সরকারি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মুতাহির জেব বলেন, 'আমরা রসদবাহী ট্রাকের চলাচল স্থগিত রেখেছি। জামরুদ সীমান্ত থেকে রসদ ও তেলবাহী ৪০টি ট্যাংকার ও ট্রাক ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।' আরেক কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তার খাতিরে রসদ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরে আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা নিয়ে ছয় মাস ধরেই ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। এর মধ্যেই নতুন করে এ হামলার ঘটনা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো নাজুক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : বিবিসি।
No comments