সৌদি তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বিশ্বের তেল সরবরাহ
সৌদি
আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি আরামকো’র দুটি স্থাপনায়
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ড্রোন হামলায় বিশ্বের তেল সরবরাহ বড় ধরনের
জটিলতায় পড়তে পারে। বেড়ে যেতে পারে তেলের দাম।
শনিবারের এই ড্রোন হামলায় উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয় ইরান। হুথিদের অত্যাধুনিক ড্রোন নির্মাণেও সহায়তা দিয়েছে তেহরান। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দাবি করেছেন, ইয়েমেন থেকে এই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন।
বিশ্বের বৃহত্তম তেল কোম্পানির আরামকোর মালিকানাধীন বড় দুটি তেল স্থাপনায় এই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ক্ষতির মুখে পড়েছে সবচেয়ে বড় তেল প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র আবকাইক। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলে খুরাইস তেল ক্ষেত্রে হামলার পর সেখানেও আগুন জ্বলছে। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ দাহারান থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত আবকাইক তেল স্থাপনা। আর সৌদির দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল স্থাপনা খুরাইস ওই স্থান থেকে আরও ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত।
সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সূত্র উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ড্রোন হামরায় প্রতিদিন ৫০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। যা সৌদি আরবের তেল উৎপাদনের অর্ধেক এবং বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৫ শতাংশ। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তেলের উৎপাদন আরও কমাতে পারে সৌদি আরব।
আইএইচএসে মারকিটের তেল পরামর্শক রজার ডিওয়ান বলেন, আবাইক হলো তেল সরবরাহ ব্যবস্থার হৃদপিণ্ড। মাত্রই এটা একটি হার্ট অ্যাটাকে পড়েছে। এর তীব্রতা আমরা জানি না।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক র্যাপিডান এনার্জি গ্রুপের রবার্ট ম্যাকনেলি বলেন, বিশ্বের তেল সরবরাহের জন্য আবাইক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এই ঘটনায় তেলের দাম বাড়ছে। যদি এই ব্যাঘাত দীর্ঘমেয়াদী হয় এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায় তাহলে তেলের আরও বেড়ে যাবে। এমনিতেই উল্লেখমাত্রায় বেড়েছে দাম।
ড্রোন হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে সৌদি আরব। ভয়াবহ ওই হামলার পর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। এ সময় যুবরাজ ট্রাম্পকে সাফ জানিয়ে দেন, এ হামলার জবাব দিতে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার টেলিফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যুবরাজের কথা হয়েছে। এ সময় এমবিএস জানান, ‘সন্ত্রাসী হামালা মোকাবিলায় রিয়াদ সক্ষম ও প্রস্তুত।’
যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি দূতাবাসের এক বিবৃতি বলা হয়েছে, ট্রাম্প এমবিএস-কে জানিয়েছেন, ‘ড্রোন হামলার পর সৌদি আরবের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশটিকে সহায়তায় প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।’
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরবে প্রায় ১০০ হামলার পেছনে তেহরান জড়িত। উত্তেজনা হ্রাসের সব আহ্বানের মধ্যেও ইরান এখন বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহে ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে।’
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি জানিয়েছে তারা পরিস্তিতি নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করছে। এক মুখপাত্র বলেন, আমরা সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আপাতত বাজারে তেলের সরবরাহ যথেষ্ট রয়েছে।
শনিবারের এই ড্রোন হামলায় উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয় ইরান। হুথিদের অত্যাধুনিক ড্রোন নির্মাণেও সহায়তা দিয়েছে তেহরান। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দাবি করেছেন, ইয়েমেন থেকে এই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনি হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন।
বিশ্বের বৃহত্তম তেল কোম্পানির আরামকোর মালিকানাধীন বড় দুটি তেল স্থাপনায় এই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ক্ষতির মুখে পড়েছে সবচেয়ে বড় তেল প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র আবকাইক। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলে খুরাইস তেল ক্ষেত্রে হামলার পর সেখানেও আগুন জ্বলছে। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ দাহারান থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত আবকাইক তেল স্থাপনা। আর সৌদির দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল স্থাপনা খুরাইস ওই স্থান থেকে আরও ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত।
সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সূত্র উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ড্রোন হামরায় প্রতিদিন ৫০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। যা সৌদি আরবের তেল উৎপাদনের অর্ধেক এবং বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৫ শতাংশ। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তেলের উৎপাদন আরও কমাতে পারে সৌদি আরব।
আইএইচএসে মারকিটের তেল পরামর্শক রজার ডিওয়ান বলেন, আবাইক হলো তেল সরবরাহ ব্যবস্থার হৃদপিণ্ড। মাত্রই এটা একটি হার্ট অ্যাটাকে পড়েছে। এর তীব্রতা আমরা জানি না।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক র্যাপিডান এনার্জি গ্রুপের রবার্ট ম্যাকনেলি বলেন, বিশ্বের তেল সরবরাহের জন্য আবাইক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এই ঘটনায় তেলের দাম বাড়ছে। যদি এই ব্যাঘাত দীর্ঘমেয়াদী হয় এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায় তাহলে তেলের আরও বেড়ে যাবে। এমনিতেই উল্লেখমাত্রায় বেড়েছে দাম।
ড্রোন হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে সৌদি আরব। ভয়াবহ ওই হামলার পর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। এ সময় যুবরাজ ট্রাম্পকে সাফ জানিয়ে দেন, এ হামলার জবাব দিতে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার টেলিফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যুবরাজের কথা হয়েছে। এ সময় এমবিএস জানান, ‘সন্ত্রাসী হামালা মোকাবিলায় রিয়াদ সক্ষম ও প্রস্তুত।’
যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি দূতাবাসের এক বিবৃতি বলা হয়েছে, ট্রাম্প এমবিএস-কে জানিয়েছেন, ‘ড্রোন হামলার পর সৌদি আরবের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশটিকে সহায়তায় প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।’
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরবে প্রায় ১০০ হামলার পেছনে তেহরান জড়িত। উত্তেজনা হ্রাসের সব আহ্বানের মধ্যেও ইরান এখন বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহে ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে।’
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি জানিয়েছে তারা পরিস্তিতি নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করছে। এক মুখপাত্র বলেন, আমরা সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আপাতত বাজারে তেলের সরবরাহ যথেষ্ট রয়েছে।
No comments