বাতিল জাহাজের শীর্ষ গন্তব্য এখন বাংলাদেশ by মনিরা মুন্নি
বাতিল
জাহাজের সবচেয়ে বড় গন্তব্য হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথমার্থে
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এ ধরনের জাহাজ এসেছে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল
কোয়ালিশান।
এই সময়টাকে পুরো বিশ্বে জাহাজ ভাঙ্গা হয়েছে ৩৭৪টি এবং এর মধ্যে ১৫৬টি ভাঙ্গা হয়েছে বাংলাদেশে। যেটা মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উভয়েরই অপূরণীয় ক্ষতি করছে। এনজিও শিপব্রেকিং প্ল্যাটফর্মের (এনএসপি) প্রকাশিত তথ্যে এটা বেরিয়ে এসেছে।
এনএসপি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর একটা সংগঠন যারা জাহাজ ভাঙ্গার কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতির বিষয়টি কমিয়ে আনার জন্য কাজ করছে। সেই সাথে পুরো বিশ্ব জুড়েই যাতে জাহাজ ভাঙ্গার কাজটি পরিবেশকে রক্ষা করে করা হয়, সেজন্য চেষ্টা করছে তারা।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙ্গার কাজ ৬৭.৭৮ শতাংশ বেড়ে গেছে। ২০১৮ সালে জাহাজ ভাঙ্গা হয়েছিল ৯৩টি।
২০১৯ সালের প্রথমার্ধে ভারত বাতিল জাহাজ আমদানি করে ১১৬টি। ২০১৮ সালের জানুয়ারি-জুন সময়কালে তারা আমদানি করেছিল ১৭২টি।
তুরস্ক এ সময়ে ভেঙ্গেছে ৪৭টি জাহাজ, এর পর রয়েছে পাকিস্তান – যারা ভেঙ্গেছে ১৬টি, এরপর ইউরোপিয় ইউনিয়ন ১১টি এবং চীন ভেঙ্গেছে ছয়টি।
প্রাপ্ত তথ্যে আরও দেখা গেছে যে, ২০১৯ সালের প্রথমার্ধে দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলে ২৮৮টি ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ বিক্রি হয়েছে। আগের বছর একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ৩২১।
২০১৯ সালের প্রথম চতুর্থাংশে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুরের জাহাজ মালিকরা তাদের অধিকাংশ জাহাজ দক্ষিণ এশিয়ার শিপইয়ার্ডগুলোর কাছে বিক্রি করেছে। এরপর রয়েছে যথাক্রমে গ্রিক ও দক্ষিণ কোরিয়ান জাহাজ মালিকরা।
বাংলাদেশের চট্টগ্রামে, ভারতের আলাংয়ে, এবং পাকিস্তানের গাদানি ইয়ার্ডের কাছে এই জাহাজগুলো বিক্রি করা হয়। ‘ক্যাশ বায়াররা’ জাহাজগুলো কিনে শেষ সফরের জন্য জাহাজগুলোকে প্রস্তুত করে এইসব ইয়ার্ডে এনে বিক্রি করে।
২০১৮ সালে ইয়ার্ডগুলোর কাছে ৭৪৪টি বড় সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজ বিক্রি করা হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে ৫১৮টি জাহাজ ভাঙ্গা হয় বাংলাদেশ (১৮৫), ভারত (২৫৩) এবং পাকিস্তানের (৮০) শিপইয়ার্ডগুলোতে। এগুলো মিলিতভাবে পুরো বিশ্বের ভাঙ্গা জাহাজের ৯০.৪ শতাংশ।
বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙ্গার প্রক্রিয়াকে ‘নোংরা ও বিপজ্জনক’ আখ্যা দিয়ে এনএসপি বলেছে যে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও শ্রম আইনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে এখানে পরিবেশ, কর্মী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।
তারা জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিনজন কর্মী জাহাজ ভাঙ্গার সময় প্রাণ হারিয়েছে এবং আরও চারজন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
মানবাধিকার গ্রুপটি বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বাংলাদেশ শিপ রিসাইক্লিং অ্যাক্ট, ২০১৮টি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়।
এই সময়টাকে পুরো বিশ্বে জাহাজ ভাঙ্গা হয়েছে ৩৭৪টি এবং এর মধ্যে ১৫৬টি ভাঙ্গা হয়েছে বাংলাদেশে। যেটা মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উভয়েরই অপূরণীয় ক্ষতি করছে। এনজিও শিপব্রেকিং প্ল্যাটফর্মের (এনএসপি) প্রকাশিত তথ্যে এটা বেরিয়ে এসেছে।
এনএসপি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর একটা সংগঠন যারা জাহাজ ভাঙ্গার কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতির বিষয়টি কমিয়ে আনার জন্য কাজ করছে। সেই সাথে পুরো বিশ্ব জুড়েই যাতে জাহাজ ভাঙ্গার কাজটি পরিবেশকে রক্ষা করে করা হয়, সেজন্য চেষ্টা করছে তারা।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙ্গার কাজ ৬৭.৭৮ শতাংশ বেড়ে গেছে। ২০১৮ সালে জাহাজ ভাঙ্গা হয়েছিল ৯৩টি।
২০১৯ সালের প্রথমার্ধে ভারত বাতিল জাহাজ আমদানি করে ১১৬টি। ২০১৮ সালের জানুয়ারি-জুন সময়কালে তারা আমদানি করেছিল ১৭২টি।
তুরস্ক এ সময়ে ভেঙ্গেছে ৪৭টি জাহাজ, এর পর রয়েছে পাকিস্তান – যারা ভেঙ্গেছে ১৬টি, এরপর ইউরোপিয় ইউনিয়ন ১১টি এবং চীন ভেঙ্গেছে ছয়টি।
প্রাপ্ত তথ্যে আরও দেখা গেছে যে, ২০১৯ সালের প্রথমার্ধে দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলে ২৮৮টি ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ বিক্রি হয়েছে। আগের বছর একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ৩২১।
২০১৯ সালের প্রথম চতুর্থাংশে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুরের জাহাজ মালিকরা তাদের অধিকাংশ জাহাজ দক্ষিণ এশিয়ার শিপইয়ার্ডগুলোর কাছে বিক্রি করেছে। এরপর রয়েছে যথাক্রমে গ্রিক ও দক্ষিণ কোরিয়ান জাহাজ মালিকরা।
বাংলাদেশের চট্টগ্রামে, ভারতের আলাংয়ে, এবং পাকিস্তানের গাদানি ইয়ার্ডের কাছে এই জাহাজগুলো বিক্রি করা হয়। ‘ক্যাশ বায়াররা’ জাহাজগুলো কিনে শেষ সফরের জন্য জাহাজগুলোকে প্রস্তুত করে এইসব ইয়ার্ডে এনে বিক্রি করে।
২০১৮ সালে ইয়ার্ডগুলোর কাছে ৭৪৪টি বড় সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজ বিক্রি করা হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে ৫১৮টি জাহাজ ভাঙ্গা হয় বাংলাদেশ (১৮৫), ভারত (২৫৩) এবং পাকিস্তানের (৮০) শিপইয়ার্ডগুলোতে। এগুলো মিলিতভাবে পুরো বিশ্বের ভাঙ্গা জাহাজের ৯০.৪ শতাংশ।
বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙ্গার প্রক্রিয়াকে ‘নোংরা ও বিপজ্জনক’ আখ্যা দিয়ে এনএসপি বলেছে যে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও শ্রম আইনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে এখানে পরিবেশ, কর্মী ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।
তারা জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিনজন কর্মী জাহাজ ভাঙ্গার সময় প্রাণ হারিয়েছে এবং আরও চারজন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
মানবাধিকার গ্রুপটি বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বাংলাদেশ শিপ রিসাইক্লিং অ্যাক্ট, ২০১৮টি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়।
No comments