এক পরিবারেই ১৪ অন্ধ by খালিদ হাসান
জন্মই
যেন আজন্ম পাপ তাদের। নিজের দাদা ও বাবা ছিলেন অন্ধ। কিন্তু বাপ-দাদার মতো
তাদেরও যে অন্ধ হয়ে দুনিয়ায় আসতে হবে তা হয়তো জানা ছিল না কারও। শুধু তাই
নয়- নিজের ভবিষ্যৎ সন্তানাদিও দেখতে পাবে না দুনিয়ার আলো, সে কথা জানলে
হয়তো বিয়েই করতেন না তারা। নিজেদের মতো তিন বোনের ভাগ্য। আজ জন্মান্ধ হওয়ায়
জীবনের স্বাদ আহ্লাদ আর সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখতে পান নি তারা। বগুড়ার
শিবগঞ্জের ময়দান হাটা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম সোবাহানপুর পোড়াবাড়ি এলাকায়
বাস করা জন্মান্ধ এক দুঃখী পরিবার। যে পরিবারের ১৭ জন সদস্যের ১৪ জনই
জন্মান্ধ।
পিতা আব্দুল জব্বার আলী ছিলেন অন্ধ। তার ঘর আলোকিত করে তিন ছেলে ও তিন মেয়ে জন্ম নিলেও আলো ফোটেনি তাদেরও চোখে। বাবা আব্দুল জব্বারের মৃত্যুর পর মানুষের দুয়ারে সাহায্য চেয়ে চেয়ে বড় হয়েছেন শহিদুল, বুলু, টুলু, জহিলা, শহিদা ও মমেনা নামের ছয় ভাই বোন। তিন বোনকে বিয়ে দিয়ে নিজেরাও সন্তানের চোখে পৃথিবী দেখার আশায় করেছিলেন বিয়ে। কিন্তু জন্মান্ধ ও দুঃখী ছয় ভাই বোনের সে আশাও পূরণ হয়নি। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় তাদের সন্তানরাও জন্ম নেয় অন্ধ হয়ে। তিন বোনকে বিয়ে দিলেও গর্ভের সন্তানরা অন্ধ হয়ে জন্ম নেয়ায় তাদের তালাক দিয়ে সন্তানদের রেখে চলে যায় স্বামীরা। তাই বাধ্য হয়ে তিন ভাইয়ের সঙ্গে একই অন্নে মানুষের করুণায় মানবেতর জীবনযাপন করছে এই অন্ধ পরিবার। পরিবারের মেজ ভাই বুলু মিয়ার দুই মেয়ের মধ্য বুলবুলি নামের এক মেয়ে জন্ম নেয় অন্ধ হয়ে। বিয়ের পর বড়বোন জহিলার ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় রুমি, মীম ও জীম বাবু, মেজবোন শহিদার ঘরে শরীফ, শ্যামলী ও ছোটবোন মমেনার ঘরে জন্ম নেয় মানিক ও রাজিয়া নামের দুই ফুটফুটে সন্তান। কিন্তু জন্মান্ধ হওয়ায় এদের কেউই দুনিয়ার আলো দেখতে পায়নি। গরিব ও অন্ধ সন্তান জন্ম দেয়ার কারণে তাদের তিন বোনের কপালে বেশিদিন জোটেনি স্বামীর সংসার। জন্মান্ধ ছোট ছোট বাচ্চাদের রেখে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায় পাষণ্ড স্বামীরা। অবশেষে শিশু বাচ্চাদের নিয়ে অন্ধ ভাইদের সঙ্গে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালাচ্ছেন তারা। পরিবারের বড়ছেলে জন্মান্ধ শহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের কেউ কাজে নেয় না। দেখতে পাই না বলে কোনো কিছু করতেও পারি না। তাই মানুষের কাছে সাহায্য চাই। আর এক ভাই বুলু মিয়া জানান, বাবার রেখে যাওয়া এই ছোট বাড়িতে অতিকষ্টে জীবন যাপন করছেন তারা। এদিকে, বোনেরাও জানালেন তাদের কষ্টের কথা। জানালেন ফুটফুটে শিশু সন্তানদের রেখে তাদের স্বামীরা ঘটিয়েছে বিবাহ বিচ্ছেদ। এখন মানুষের দুয়ারে ঘুরে ঘুরে সাহায্যের টাকায় অতিকষ্টে জীবন চালাতে হচ্ছে তাদের। এই ১৪ জন জনম দুঃখী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর মধ্যে মাত্র দুইজন পাচ্ছেন প্রতিবন্ধী ভাতা। বারবার ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের কাছে ধরনা ধরেও আর কারো কপালে জোটেনি ভাতা কার্ড। স্থায়ী সাহায্যের মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়াবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা এই অন্ধ পরিবারের।
পিতা আব্দুল জব্বার আলী ছিলেন অন্ধ। তার ঘর আলোকিত করে তিন ছেলে ও তিন মেয়ে জন্ম নিলেও আলো ফোটেনি তাদেরও চোখে। বাবা আব্দুল জব্বারের মৃত্যুর পর মানুষের দুয়ারে সাহায্য চেয়ে চেয়ে বড় হয়েছেন শহিদুল, বুলু, টুলু, জহিলা, শহিদা ও মমেনা নামের ছয় ভাই বোন। তিন বোনকে বিয়ে দিয়ে নিজেরাও সন্তানের চোখে পৃথিবী দেখার আশায় করেছিলেন বিয়ে। কিন্তু জন্মান্ধ ও দুঃখী ছয় ভাই বোনের সে আশাও পূরণ হয়নি। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় তাদের সন্তানরাও জন্ম নেয় অন্ধ হয়ে। তিন বোনকে বিয়ে দিলেও গর্ভের সন্তানরা অন্ধ হয়ে জন্ম নেয়ায় তাদের তালাক দিয়ে সন্তানদের রেখে চলে যায় স্বামীরা। তাই বাধ্য হয়ে তিন ভাইয়ের সঙ্গে একই অন্নে মানুষের করুণায় মানবেতর জীবনযাপন করছে এই অন্ধ পরিবার। পরিবারের মেজ ভাই বুলু মিয়ার দুই মেয়ের মধ্য বুলবুলি নামের এক মেয়ে জন্ম নেয় অন্ধ হয়ে। বিয়ের পর বড়বোন জহিলার ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় রুমি, মীম ও জীম বাবু, মেজবোন শহিদার ঘরে শরীফ, শ্যামলী ও ছোটবোন মমেনার ঘরে জন্ম নেয় মানিক ও রাজিয়া নামের দুই ফুটফুটে সন্তান। কিন্তু জন্মান্ধ হওয়ায় এদের কেউই দুনিয়ার আলো দেখতে পায়নি। গরিব ও অন্ধ সন্তান জন্ম দেয়ার কারণে তাদের তিন বোনের কপালে বেশিদিন জোটেনি স্বামীর সংসার। জন্মান্ধ ছোট ছোট বাচ্চাদের রেখে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায় পাষণ্ড স্বামীরা। অবশেষে শিশু বাচ্চাদের নিয়ে অন্ধ ভাইদের সঙ্গে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালাচ্ছেন তারা। পরিবারের বড়ছেলে জন্মান্ধ শহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের কেউ কাজে নেয় না। দেখতে পাই না বলে কোনো কিছু করতেও পারি না। তাই মানুষের কাছে সাহায্য চাই। আর এক ভাই বুলু মিয়া জানান, বাবার রেখে যাওয়া এই ছোট বাড়িতে অতিকষ্টে জীবন যাপন করছেন তারা। এদিকে, বোনেরাও জানালেন তাদের কষ্টের কথা। জানালেন ফুটফুটে শিশু সন্তানদের রেখে তাদের স্বামীরা ঘটিয়েছে বিবাহ বিচ্ছেদ। এখন মানুষের দুয়ারে ঘুরে ঘুরে সাহায্যের টাকায় অতিকষ্টে জীবন চালাতে হচ্ছে তাদের। এই ১৪ জন জনম দুঃখী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর মধ্যে মাত্র দুইজন পাচ্ছেন প্রতিবন্ধী ভাতা। বারবার ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের কাছে ধরনা ধরেও আর কারো কপালে জোটেনি ভাতা কার্ড। স্থায়ী সাহায্যের মাধ্যমে তাদের পাশে দাঁড়াবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা এই অন্ধ পরিবারের।
No comments