সৌদি আরবে ভয়াবহ ড্রোন হামলার পেছনে ইরান: যুক্তরাষ্ট্র
সৌদি
আরবে দুটি তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলার জন্য সরাসরি ইরানকে দায়ী করেছেন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এ হামলার জন্য ইয়েমেনের হুতি
বিদ্রোহীরা দায় স্বীকার করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। ওদিকে সৌদি
আরবের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, ওই হামলার পর সৌদি আরবের অশোধিত তেল
উত্তোলন একদিনে কমে গেছে ৫৭ লাখ ব্যারেল, যা সৌদি আরবের মোট তেল উত্তোলনের
অর্ধেক। এমন প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবের নিরাপত্তার জন্য কাজ করতে প্রস্তুত বলে
জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে সৌদি আরবের
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, সর্বশেষ এই হামলার জবাব দিতে
ইচ্ছুক ও সক্ষম সৌদি আরব। সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস
এজেন্সির (এসপিএ) মতে, শনিবার এই দু’নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়। এ সময়
মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, এই সন্ত্রাসী আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত
তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
শুধু সৌদি আরবেই নয়, সারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র সৌদি আরবের আবকাইক। এছাড়া খুরাইস তেলক্ষেত্রেও ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে ভয়াবহ ক্ষতি হয় এসব তেলক্ষেত্রে। সৌদি আরবের মোট তেল উত্তোলন অর্ধেক কমে গেছে। ফলে এর বড় রকমের প্রভাব পড়বে বিশ্ব তেলবাজারে। রাষ্ট্রীয় সৌদি আরামকোর মালিকানাধীন এ তেলক্ষেত্রে হামলার দায় ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুতিরা স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। তাদের এমন বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে এ জন্য সরাসরি ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে শনিবার মোহাম্মদ বিন সালমান ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে ফোনে কথা হয়। ওয়াশিংটনে অবস্থিত সৌদি আরবের দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ট্রাম্প বলেছেন, ড্রোন হামলার প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবকে নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে সহযোগিতায় প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আরো বলেছেন, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব অর্থনীতিতে আঘাত লেগেছে।
২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধে লড়াই করছে হুতিরা। তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত সৌদি আরব-সংযুক্ত আরব আমিরাত নেতৃত্বাধীন জোট। সৌদি আরবে ওই হামলার দায় স্বীকার করে হুতিরা। তারা জানায়, এতে ১০টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্রে আবকাইকে এবং খুরাইসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে জানেন এমন ঘনিষ্ঠ দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ড্রোন হামলা ও আগুনের কারণে সৌদি আরবে একদিনে ৫০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরামকোর প্রাথমিক শেয়ার বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিল সৌদি আরব এমন সময়ে ওই হামলা চালানো হয়েছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, (প্রেসিডেন্ট হাসান) রুহানি ও (পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ) জারিফ যখন কূটনৈতিক উপায় অবলম্বনের কথা বলছেন তখন সৌদি আরবে প্রায় ১০০ হামলার নেপথ্যে রয়েছে তেহরান। উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানানোর মধ্যে ইরান এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় অপ্রত্যাশিত হামলা চালিয়েছে। তার এ অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাননি মাইক পম্পেও।
ওদিকে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহের জন্য তেহরানকে দায়ী করেছে রিয়াদ। তারা বলছে, এসব অস্ত্রই সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে। ইয়েমেনে অবস্থানরত জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথস শনিবার বলেছেন, সর্বশেষ এই পরিস্থিতিতে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সব পক্ষকে তিনি সংযত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। বলেছেন, এমন ঘটনা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বর হুমকি। এরই মধ্যে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে। তাকে আরো জটিল করে তুলেছে এই অবস্থা। জাতিসংঘ ইয়েমেন যুদ্ধের যখন একটি রাজনৈতিক সমাধান বের করার চেষ্টা করছে, তাকে বিপন্ন করছে এসব ঘটনা। ইয়েমেনে এরই মধ্যে গৃহযুদ্ধ বহু মাত্রা পেয়েছে। এই ড্রোন হামলার পর সেই উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাবে নিশ্চিত। এই গৃহযুদ্ধে এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। চরম এক দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ।
শুধু সৌদি আরবেই নয়, সারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র সৌদি আরবের আবকাইক। এছাড়া খুরাইস তেলক্ষেত্রেও ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে ভয়াবহ ক্ষতি হয় এসব তেলক্ষেত্রে। সৌদি আরবের মোট তেল উত্তোলন অর্ধেক কমে গেছে। ফলে এর বড় রকমের প্রভাব পড়বে বিশ্ব তেলবাজারে। রাষ্ট্রীয় সৌদি আরামকোর মালিকানাধীন এ তেলক্ষেত্রে হামলার দায় ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুতিরা স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। তাদের এমন বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে এ জন্য সরাসরি ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে শনিবার মোহাম্মদ বিন সালমান ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে ফোনে কথা হয়। ওয়াশিংটনে অবস্থিত সৌদি আরবের দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ট্রাম্প বলেছেন, ড্রোন হামলার প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবকে নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে সহযোগিতায় প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আরো বলেছেন, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব অর্থনীতিতে আঘাত লেগেছে।
২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধে লড়াই করছে হুতিরা। তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত সৌদি আরব-সংযুক্ত আরব আমিরাত নেতৃত্বাধীন জোট। সৌদি আরবে ওই হামলার দায় স্বীকার করে হুতিরা। তারা জানায়, এতে ১০টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্রে আবকাইকে এবং খুরাইসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে জানেন এমন ঘনিষ্ঠ দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ড্রোন হামলা ও আগুনের কারণে সৌদি আরবে একদিনে ৫০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরামকোর প্রাথমিক শেয়ার বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিল সৌদি আরব এমন সময়ে ওই হামলা চালানো হয়েছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, (প্রেসিডেন্ট হাসান) রুহানি ও (পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ) জারিফ যখন কূটনৈতিক উপায় অবলম্বনের কথা বলছেন তখন সৌদি আরবে প্রায় ১০০ হামলার নেপথ্যে রয়েছে তেহরান। উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানানোর মধ্যে ইরান এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় অপ্রত্যাশিত হামলা চালিয়েছে। তার এ অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাননি মাইক পম্পেও।
ওদিকে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহের জন্য তেহরানকে দায়ী করেছে রিয়াদ। তারা বলছে, এসব অস্ত্রই সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে। ইয়েমেনে অবস্থানরত জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথস শনিবার বলেছেন, সর্বশেষ এই পরিস্থিতিতে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সব পক্ষকে তিনি সংযত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। বলেছেন, এমন ঘটনা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বর হুমকি। এরই মধ্যে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে। তাকে আরো জটিল করে তুলেছে এই অবস্থা। জাতিসংঘ ইয়েমেন যুদ্ধের যখন একটি রাজনৈতিক সমাধান বের করার চেষ্টা করছে, তাকে বিপন্ন করছে এসব ঘটনা। ইয়েমেনে এরই মধ্যে গৃহযুদ্ধ বহু মাত্রা পেয়েছে। এই ড্রোন হামলার পর সেই উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাবে নিশ্চিত। এই গৃহযুদ্ধে এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। চরম এক দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ।
No comments