কূপ থেকে উদ্ধার ৪৪টি মরদেহ শনাক্ত করেছেন মেক্সিকোর বিজ্ঞানীরা
মেক্সিকোর
জেলিস্কো রাজ্যের একটি কূপ থেকে উদ্ধার মানবদেহের খণ্ডিত অংশগুলো থেকে
৪৪টি মরদেহ শনাক্ত করতে সমর্থ হয়েছেন দেশটির ফরেনসিক বিজ্ঞানীরা। দেশটির
গুয়াদালাজারা শহরের ঠিক বাইরে থেকে উদ্ধার হওয়া মানবদেহের ওই অংশগুলো ১১৯টি
কালো ব্যাগে করে একটি কূপে পুঁতে রাখা হয়েছিল। ওই বিচ্ছিন্ন অংশগুলো
সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে উদ্ধার হওয়ার পর সম্প্রতি ওইগুলো ৪৪ ব্যক্তির
মরদেহ বলে শনাক্ত করেন ফরেনসিক বিজ্ঞানীরা।
মেক্সিকোর ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা প্রথমে সেখান থেকে আসা দুর্গন্ধের অভিযোগ করার পর সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে মানবদেহের ওই অংশগুলো উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। দেশটির মাদক সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হলো জেলিস্কো। এটা সহিংসতাপূর্ণ রাজ্যগুলোরও অন্যতম একটি। চলতি বছর এ রাজ্যে মরদেহের সন্ধান পাওয়ার এটা দ্বিতীয় বড় ঘটনা।
মানবদেহগুলোর বেশিরভাগ অংশ কেটে ফেলা হয়েছিল, এজন্য কর্তৃপক্ষকে ওইগুলো শনাক্ত করতে বিভিন্ন অংশ একত্র করতে হয়। তবে এখনও অনেক অংশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় একটি সংস্থা যারা নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করে। তারা শনাক্তকরণে সহায়তার জন্য আরও বিশেষজ্ঞ পাঠানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে। তারা জানিয়েছে, স্থানীয় ফরেনসিক বিভাগ ওই কাজে নিযুক্ত, তবে তাদের এ কাজ সম্পন্ন করার মতো প্রয়োজনীয় দক্ষতা নেই।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে লড়তে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর থেকে মেক্সিকোতে মাদক সংশ্লিষ্ট সহিংসতা বেড়েছে। তখন থেকে দুই লাখেরও বেশি মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ৩৭ হাজার মানুষ। স্বজনদের অভিযোগ, নিখোঁজ বা গুম যাওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পেতে মেক্সিকো সরকার খুব বেশি সক্রিয় নয়। এর আগেও ২০১৭ সালের মার্চে ভেরাক্রুজ রাজ্যের একটি গণকবর থেকে ২৫০টি মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়। তার আগে গুয়েরেরো রাজ্যের ৪৩ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়ে গেলে তাদের সন্ধান করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায় ওই রাজ্যে। ৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এমন আরও একটি গণকবরের সন্ধান পায় কর্তৃপক্ষ।
মেক্সিকোর ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা প্রথমে সেখান থেকে আসা দুর্গন্ধের অভিযোগ করার পর সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে মানবদেহের ওই অংশগুলো উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। দেশটির মাদক সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হলো জেলিস্কো। এটা সহিংসতাপূর্ণ রাজ্যগুলোরও অন্যতম একটি। চলতি বছর এ রাজ্যে মরদেহের সন্ধান পাওয়ার এটা দ্বিতীয় বড় ঘটনা।
মানবদেহগুলোর বেশিরভাগ অংশ কেটে ফেলা হয়েছিল, এজন্য কর্তৃপক্ষকে ওইগুলো শনাক্ত করতে বিভিন্ন অংশ একত্র করতে হয়। তবে এখনও অনেক অংশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় একটি সংস্থা যারা নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করে। তারা শনাক্তকরণে সহায়তার জন্য আরও বিশেষজ্ঞ পাঠানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে। তারা জানিয়েছে, স্থানীয় ফরেনসিক বিভাগ ওই কাজে নিযুক্ত, তবে তাদের এ কাজ সম্পন্ন করার মতো প্রয়োজনীয় দক্ষতা নেই।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে লড়তে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর থেকে মেক্সিকোতে মাদক সংশ্লিষ্ট সহিংসতা বেড়েছে। তখন থেকে দুই লাখেরও বেশি মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ৩৭ হাজার মানুষ। স্বজনদের অভিযোগ, নিখোঁজ বা গুম যাওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পেতে মেক্সিকো সরকার খুব বেশি সক্রিয় নয়। এর আগেও ২০১৭ সালের মার্চে ভেরাক্রুজ রাজ্যের একটি গণকবর থেকে ২৫০টি মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়। তার আগে গুয়েরেরো রাজ্যের ৪৩ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়ে গেলে তাদের সন্ধান করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায় ওই রাজ্যে। ৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এমন আরও একটি গণকবরের সন্ধান পায় কর্তৃপক্ষ।
No comments