ভবিষ্যতে খাবার সংকটে পোকামাকড়ই সমাধান!
টিভি
পর্দার জনপ্রিয় চরিত্র বেয়ার গ্রিলসকে নিশ্চয়ই চেনা আছে। প্রতিকূল
পরিস্থিতিতে কিভাবে টিকে থাকতে হয় সেসব ব্যাপারে তার মত দক্ষ খুব কম লোকই
আছেন। বেয়ার গ্রিলসকে টিভি পর্দায় নানা প্রজাতির কীট পতঙ্গ খেতে দেখে নাক
মুখ বিকৃত করেননি এমন লোকের সংখ্যা নেই বললেই চলে। কিন্তু এমন যদি হয়
ভবিষ্যতে আপনাকেও হাঁটতে হচ্ছে সেই পথে? বেয়ার গ্রিলসের মতই বেঁচে থাকার
প্রয়োজনে আপনি খাচ্ছেন ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা পোকামাকড়?
সত্যি কথা বলতে পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আর ভবিষ্যত পৃথিবীর খাদ্য সমস্যার সমাধান হিসেবে এমন উদ্যোগ গ্রহণের পক্ষেই ধীরে ধীরে মতামত গড়ে উঠছে বিজ্ঞানীদের মাঝে। গবাদিপশুর খামারের কারণে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ ভূমি এবং পানি দূষণ ঘটছে। সেই সাথে দূষিত হচ্ছে চারপাশের বাতাস। খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ধ্বংস হচ্ছে বনভূমি। সেই সাথে গবাদিপশুর শ্বাস থেকে নির্গত গ্রিন হাউজ গ্যাস সব মিলিয়ে পরিবেশের জন্য সব দিক থেকেই বেশ ক্ষতির কারণ গবাদি পশু প্রতিপালন। সেদিক থেকেই নতুন দিনের বিবেচনায় ঠাঁই পাচ্ছে উদ্ভিদ এবং পোকামাকড়। তবে পোকামাকড় হবে জেনেটিক প্রযুক্তির যেন অল্প খেলেই আপনি পেতে পারেন পরিপূর্ণ পুষ্টি!
সম্প্রতি ফ্রন্টেয়ার ইন সাসটেইনেবল ফুডস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত আমেরিকার টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিবেদনে উদ্ভিদভোজী কীটপতঙ্গের মাংস, এর পুষ্টিবৃদ্ধি এবং অন্যান্য বিষয়ে ব্যাপক আকারে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। গবেষকরা দাবি করেন, ল্যাবরেটরিতে উৎপন্ন এইসব পোকা সাধারণ প্রোটিন উৎসের সমান পুষ্টি দিতে সক্ষম হবে।
গবেষণা প্রবন্ধের মূল লেখক নাটাইলি রুবিও বলেন, ‘পরিবেশ, গণস্বাস্থ্য এবং প্রাণীজীবনের উন্নয়নে আমাদের কার্যক্রম বর্তমান গবাদিপশু প্রতিপালন পদ্ধতির কারণে অনেকখানিই ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমাদের লক্ষ্য সময়ের সাথে টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা প্রচলন করা’।
জীন প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভুত প্রোটিন উৎস বা ল্যাবে উৎপন্ন পোকার মাধ্যমে মাটি ও পানি দূষণের পাশাপাশি বনায়ন উজাড় এবং জীববৈচিত্র্য নষ্টের বিরুদ্ধে ভাল একটি অবস্থান নেয়া যাবে বলে বিশ্বাস করেন গবেষক দল। যদিও এর বিপরীতে ভারী প্রোটিনের চাহিদা কতটা কমবে এবং উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীলতা কতটা নেমে আসবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
কিন্তু বিষয়টা যখন খাদ্য সংক্রান্ত তখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এর স্বাদ কেমন হবে? খেয়ে কি আসলেই তৃপ্ত হওয়া যাবে? জেনেটিক প্রযুক্তির ফলে পোকা মাকড়ের মাঝে বাড়তি পুষ্টি এবং প্রোটিন সররাহের পাশাপাশি কি স্বাদও পরিবর্তন করা সম্ভব?
এই প্রশ্নের জবাবে রুবিও জানান, এখনই এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। খুব ভাল সম্ভাবনা থাকা স্বত্তেও এখনই এইসব পোকামাকড় খাবার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য একেবারেই প্রস্তুত নয়। আমরা এখনো দুইটি মূল বিষয়ে নিজেদের উন্নতি করতে চাইছি। প্রথমত, প্রতিটি পতঙ্গের চামড়া নিয়ে ব্যাপক পরিমাণ চর্বি এবং মাংসের আলাদা আলাদা স্তর গড়ে তোলা। আর দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে এতে সত্যিকারের মাংসের স্বাদ নিয়ে আসা। এজন্য আমরা মাশরুমের প্রতি সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি যা বেশ সম্ভাবনাময় একটি বিকল্প হতে পারে।
এছাড়া একইসাথে বেশ কিছু পোকার সংকরায়নের মাধ্যমেও স্বাদে নতুন কিছু আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। কিন্তু গবেষয়াণ শেষে তাদের এই উদ্যোগ ঠিক কতটা মেনে নিবে পৃথিবীর মানুষ বা অতিরিক্ত পোকামাকড় ভক্ষণের কারণে প্রকৃতিতে জীবের ভারসাম্য কতটা রক্ষা হবে সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স ডেইলি
সত্যি কথা বলতে পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আর ভবিষ্যত পৃথিবীর খাদ্য সমস্যার সমাধান হিসেবে এমন উদ্যোগ গ্রহণের পক্ষেই ধীরে ধীরে মতামত গড়ে উঠছে বিজ্ঞানীদের মাঝে। গবাদিপশুর খামারের কারণে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ ভূমি এবং পানি দূষণ ঘটছে। সেই সাথে দূষিত হচ্ছে চারপাশের বাতাস। খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ধ্বংস হচ্ছে বনভূমি। সেই সাথে গবাদিপশুর শ্বাস থেকে নির্গত গ্রিন হাউজ গ্যাস সব মিলিয়ে পরিবেশের জন্য সব দিক থেকেই বেশ ক্ষতির কারণ গবাদি পশু প্রতিপালন। সেদিক থেকেই নতুন দিনের বিবেচনায় ঠাঁই পাচ্ছে উদ্ভিদ এবং পোকামাকড়। তবে পোকামাকড় হবে জেনেটিক প্রযুক্তির যেন অল্প খেলেই আপনি পেতে পারেন পরিপূর্ণ পুষ্টি!
সম্প্রতি ফ্রন্টেয়ার ইন সাসটেইনেবল ফুডস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত আমেরিকার টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিবেদনে উদ্ভিদভোজী কীটপতঙ্গের মাংস, এর পুষ্টিবৃদ্ধি এবং অন্যান্য বিষয়ে ব্যাপক আকারে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। গবেষকরা দাবি করেন, ল্যাবরেটরিতে উৎপন্ন এইসব পোকা সাধারণ প্রোটিন উৎসের সমান পুষ্টি দিতে সক্ষম হবে।
গবেষণা প্রবন্ধের মূল লেখক নাটাইলি রুবিও বলেন, ‘পরিবেশ, গণস্বাস্থ্য এবং প্রাণীজীবনের উন্নয়নে আমাদের কার্যক্রম বর্তমান গবাদিপশু প্রতিপালন পদ্ধতির কারণে অনেকখানিই ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমাদের লক্ষ্য সময়ের সাথে টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা প্রচলন করা’।
জীন প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভুত প্রোটিন উৎস বা ল্যাবে উৎপন্ন পোকার মাধ্যমে মাটি ও পানি দূষণের পাশাপাশি বনায়ন উজাড় এবং জীববৈচিত্র্য নষ্টের বিরুদ্ধে ভাল একটি অবস্থান নেয়া যাবে বলে বিশ্বাস করেন গবেষক দল। যদিও এর বিপরীতে ভারী প্রোটিনের চাহিদা কতটা কমবে এবং উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীলতা কতটা নেমে আসবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
কিন্তু বিষয়টা যখন খাদ্য সংক্রান্ত তখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এর স্বাদ কেমন হবে? খেয়ে কি আসলেই তৃপ্ত হওয়া যাবে? জেনেটিক প্রযুক্তির ফলে পোকা মাকড়ের মাঝে বাড়তি পুষ্টি এবং প্রোটিন সররাহের পাশাপাশি কি স্বাদও পরিবর্তন করা সম্ভব?
এই প্রশ্নের জবাবে রুবিও জানান, এখনই এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। খুব ভাল সম্ভাবনা থাকা স্বত্তেও এখনই এইসব পোকামাকড় খাবার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য একেবারেই প্রস্তুত নয়। আমরা এখনো দুইটি মূল বিষয়ে নিজেদের উন্নতি করতে চাইছি। প্রথমত, প্রতিটি পতঙ্গের চামড়া নিয়ে ব্যাপক পরিমাণ চর্বি এবং মাংসের আলাদা আলাদা স্তর গড়ে তোলা। আর দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে এতে সত্যিকারের মাংসের স্বাদ নিয়ে আসা। এজন্য আমরা মাশরুমের প্রতি সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি যা বেশ সম্ভাবনাময় একটি বিকল্প হতে পারে।
এছাড়া একইসাথে বেশ কিছু পোকার সংকরায়নের মাধ্যমেও স্বাদে নতুন কিছু আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। কিন্তু গবেষয়াণ শেষে তাদের এই উদ্যোগ ঠিক কতটা মেনে নিবে পৃথিবীর মানুষ বা অতিরিক্ত পোকামাকড় ভক্ষণের কারণে প্রকৃতিতে জীবের ভারসাম্য কতটা রক্ষা হবে সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স ডেইলি
No comments