'প্রোটোকল' ছাড়াই রাজনীতি করবো: -আল নাহিয়ান খান জয় by সিরাজুল ইসলাম রুবেল
আল নাহিয়ান খান জয় |
ছাত্রলীগের
বিতর্কিত ‘প্রোটোকল’ পদ্ধতি ঝেড়ে ফেলে রাজনীতি করবেন বলে জানিয়েছেন
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি আল
নাহিয়ান খান জয়। ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার মধ্যরাতে বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া
একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, 'জননেত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু আমাদের ওপর আস্থা রেখে এ পর্যায়ে এসে দায়িত্ব দিয়েছেন, তিনি দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সে এগিয়ে নেওয়ার রাজনীতি আমরা অনুসরণ করবো।’
দায়িত্ব পাওয়ার পর পর গত শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অসুস্থ শিক্ষার্থীকে দেখতে তিনিসহ ছাত্রলীগের নতুন দায়িত্ব পাওয়া সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। তাদের সঙ্গে ছিলেন সদ্য দায়িত্ব হারানো সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক শোভন ও রাব্বানী। এসময় তাদের সামনে-পেছনে ছিল বরাবরের মতো ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মোটরসাইকেলের বহর। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে তাদের বাজানো হর্নে হাসপাতালের অসুস্থ রোগী ও তার স্বজনরা বিরক্তি প্রকাশ করে। দলের সবাই কেন্দ্রীয় নেতাদের এভাবে চলাফেরাকে বলছেন ‘প্রোটোকল’ রাজনীতি।
বিষয়টি সম্পর্কে ছাত্রলীগ সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, '‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি বৃহৎ সংগঠন। এক্ষেত্রে আমাদের যে ‘প্রটোকলের রাজনীতি’, তা পরিহার করেই রাজনীতি করবো। আমরা চেষ্টা করবো যেন সংগঠনের মধ্যে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। আমাদের পার্টি অনেক বড়। তাই অনেক অনুপ্রবেশকারী বিশৃঙ্খলা করতে চায়। আমরা ঝামেলা সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এবং তাদের সতর্ক করে দেবো যে, এভাবে রাজনীতি করলে আপনারা সংগঠনে থাকতে পারবেন না।’’
প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশানুযায়ী দায়িত্ব পালনে কতটুকু সফল হবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন। তিনি চেয়েছিলেন এই ছাত্রসংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় হবে, যার জন্য এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। এই সংগঠনকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু যে পরিকল্পনা নিয়েছিলেন, সেটি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত যে বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছেন, সে নির্দেশনুযায়ী পাশে থেকে আমরা কাজ করবো।’
সদ্য দায়িত্ব হারানো শোভন-রাব্বানীর কর্মকাণ্ড থেকে কোনও শিক্ষা নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আসলে আমরা মানুষ, আমাদের ভুল থাকবে৷ প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে। সেক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী আমাদের ওপর ছাত্রলীগের দায়িত্ব দিয়েছেন, সে দায়িত্ব সুন্দর এবং সুষ্ঠুভাবে পালন করাটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য থাকবে।
গণমাধ্যমে ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতিবাচক খবরে এর জনপ্রিয়তা কিছুটা কমেছে বলে অনেক মনে করছেন, সংগঠনকে জনপ্রিয় করতে আপনারা কী পরিকল্পনা নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি জনপ্রিয় সংগঠন। শিক্ষার্থীরা যা চায় তার সঙ্গে আমরা সব সময় একাত্মতা প্রকাশ করবো। আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্র রাজনীতি করবো। একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল ছাত্রলীগ আমরা দেশরত্নকে উপহার দেবো।
ছাত্রলীগের সব ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে কী ভাববেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন,' আমাদের হাতে সময় আছে মাত্র একবছর। এ সময়ের মধ্যে সকল ইউনিটের কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়া চেষ্টা করবো।'
তিনি বলেন, 'জননেত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু আমাদের ওপর আস্থা রেখে এ পর্যায়ে এসে দায়িত্ব দিয়েছেন, তিনি দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সে এগিয়ে নেওয়ার রাজনীতি আমরা অনুসরণ করবো।’
দায়িত্ব পাওয়ার পর পর গত শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অসুস্থ শিক্ষার্থীকে দেখতে তিনিসহ ছাত্রলীগের নতুন দায়িত্ব পাওয়া সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। তাদের সঙ্গে ছিলেন সদ্য দায়িত্ব হারানো সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক শোভন ও রাব্বানী। এসময় তাদের সামনে-পেছনে ছিল বরাবরের মতো ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মোটরসাইকেলের বহর। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে তাদের বাজানো হর্নে হাসপাতালের অসুস্থ রোগী ও তার স্বজনরা বিরক্তি প্রকাশ করে। দলের সবাই কেন্দ্রীয় নেতাদের এভাবে চলাফেরাকে বলছেন ‘প্রোটোকল’ রাজনীতি।
বিষয়টি সম্পর্কে ছাত্রলীগ সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, '‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি বৃহৎ সংগঠন। এক্ষেত্রে আমাদের যে ‘প্রটোকলের রাজনীতি’, তা পরিহার করেই রাজনীতি করবো। আমরা চেষ্টা করবো যেন সংগঠনের মধ্যে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। আমাদের পার্টি অনেক বড়। তাই অনেক অনুপ্রবেশকারী বিশৃঙ্খলা করতে চায়। আমরা ঝামেলা সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এবং তাদের সতর্ক করে দেবো যে, এভাবে রাজনীতি করলে আপনারা সংগঠনে থাকতে পারবেন না।’’
প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশানুযায়ী দায়িত্ব পালনে কতটুকু সফল হবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন। তিনি চেয়েছিলেন এই ছাত্রসংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় হবে, যার জন্য এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। এই সংগঠনকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু যে পরিকল্পনা নিয়েছিলেন, সেটি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত যে বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছেন, সে নির্দেশনুযায়ী পাশে থেকে আমরা কাজ করবো।’
সদ্য দায়িত্ব হারানো শোভন-রাব্বানীর কর্মকাণ্ড থেকে কোনও শিক্ষা নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আসলে আমরা মানুষ, আমাদের ভুল থাকবে৷ প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে। সেক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী আমাদের ওপর ছাত্রলীগের দায়িত্ব দিয়েছেন, সে দায়িত্ব সুন্দর এবং সুষ্ঠুভাবে পালন করাটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য থাকবে।
গণমাধ্যমে ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতিবাচক খবরে এর জনপ্রিয়তা কিছুটা কমেছে বলে অনেক মনে করছেন, সংগঠনকে জনপ্রিয় করতে আপনারা কী পরিকল্পনা নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি জনপ্রিয় সংগঠন। শিক্ষার্থীরা যা চায় তার সঙ্গে আমরা সব সময় একাত্মতা প্রকাশ করবো। আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্র রাজনীতি করবো। একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল ছাত্রলীগ আমরা দেশরত্নকে উপহার দেবো।
ছাত্রলীগের সব ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে কী ভাববেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আল নাহিয়ান খান জয় বলেন,' আমাদের হাতে সময় আছে মাত্র একবছর। এ সময়ের মধ্যে সকল ইউনিটের কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়া চেষ্টা করবো।'
No comments